রাজহাঁস ও পাতিহাঁস
দুজনেই হাঁস তবুও কোথায় যেন একটা অমিল আছে। অনেকটা জাতিগত বলা যেতে পারে। যেমন বিদেশী মানুষ আর দেশি মানুষ। পুকুরে
চরতে গিয়ে
দুজনের বন্ধুত্ব হয় আর ধীরে ধীরে দুজনেই কখন যে প্রেমে পড়ে গেছে তা কেউ
টের পাইনি। পুকুরে দুজনের একজন কেউ না এলেই মন খারাপ একে অপরের। কেউই নিজের
থেকে কথা বলতে চাই না একটা চাপা অভিমান। এই অভিমানের সাথে পুকুর পাড়ের
কচুরিপানা, দল
শালূক পদ্ম সবাই যেন শোকাচ্ছন্ন। তবে এই বিষণ্ণতা ক্ষণিকের নিজেরাই থাকতে পারে না, তখন পুকুর পাড়টাও
জমজমজমাট হোয়ে উঠে। রাজহাঁসের দিন দিন বয়স বাড়ছে সে বিয়ে থা করেনি তাই পাড়া
প্রতিবেশীরা অনেকে অনেক রকম কথা বার্তা বলে নিন্দে করে সে সবে কান দেয় না
রাজহাঁস। পাতিহাঁস রাজহাঁসের প্রেমে আগেই পড়েছে একথা জানিয়েছে , কিন্তু কিছু না বোঝার
ভান করে
এড়িয়ে যায় রাজহাঁস। যেন রাজহাঁস কিছুই জানে না সে পাতিহাঁস কে বোঝাতে চায়
যে সে তো পাতিহাঁসের থেকে অনেক বড়ো। এসব প্রেমটেম কেউ মেনে নেবে না। তাছাড়া
প্রেমের শেষ পরিণতি বলতে সবাই বিয়েকেই বোঝে ,
আর রাজহাঁস পাতিহাঁস
কে কখনই বিয়ে করতে পারবে না। কারণ পাতিহাঁসের দাদা অন্য আরেক
প্রজাতির হাঁস কে
বিয়ে করেছে বলে তাঁদের বাড়িতে অনেক অশান্তি কেউ সুখে নেই। আর যদি সুখেই না
থাকলো তাহলে বিয়ে কি জন্য। তাছাড়া পাতি হাঁস,
হাঁস প্রজাতির হলেও রাজ হাঁসের থেকে অনেক অনেক ছোটো এসব জেনে
কেনই বা পাতি হাঁসের সাথে বিয়ে প্রেম
এসব নিয়ে ভাববে। তবুও প্রেম বয়স মানে না, তাই হয়তো এক আদ্দিন
ইচ্ছে হয় পাতি হাঁস
কে জড়িয়ে চুমু টুমু খাবে কিন্তু পাতিহাঁস কাছে এলেই হৃদস্পন্দন বেড়ে যায়
কিছুই করে উঠতে পারে না। আর এই নিজের অক্ষমতা কে ঢেকে রাখতে চাই পালকের আড়ালে।
মনে মনে ভাবতে থাকে পাতি হাঁস যদি খারাপ ভাবে ব্যাপারটা নেয় তাহলে যে
বন্ধুত্ব টুকু রয়েছে সেটাও হারাবে। আর তাছাড়া পাতি হাঁস কে রাজ হাঁস কক্ষনোই
বিয়ে করতে পারবে না। আসলে শরীর শরীর কে চাইলেও এক শরীর আরেক শরীরের কাছে
যেতে পারে না এটাই সামাজিকতা, এটাই লৌকিকতা।
বয়:সন্ধির সাথে সাথে শরীর মন কিছুই যে আটকে থাকতে চায় না কে তা বুঝবে? তাই হয়তো পাতিহাঁস ধরা দিয়েছে আরেক হাঁসের কাছে। সে তাঁর প্রজাতিরেই বয়স তাঁর কাছাকাছি দুজনের মেলামেশা তে কোন বাধা নেই। তবে বিয়ের আগে শরীরী সর্বস্ব কারো বাড়ির লোকেই মেনে নেবে না। তবুও একদিন সন্ধ্যায় তাঁর বন্ধুর বাড়িতে মাতাল হয়ে পাতি হাঁস নিজেকে উজাড় করে দিলো। তারপর হোশ ফিরলে কি কান্না...... কি কান্না যেন থামতেই চাই না সমগ্র আকাশ যেন ফেটে পড়ছে ঐ ছোট্ট কুটীরে । কোথায় যেন একটা ভুল হয়ে গেছে। যে ভুলের কোন ক্ষমা নেই যে ভুল আর ঠিক করা যাবে না। মাঝে কয়েকটা দিন রাজহাঁসের সাথে পাতিহাঁসের কোন যোগাযোগ নেই। পাতি হাঁস যে একজন কে ভালবাসে সে কথাও জানে রাজ হাঁস আসলে পাতি হাঁস রাজ হাঁসের সাথে সব কথাই শেয়ার করে একজন ভালো বন্ধু ভেবে। তাই রাজ হাঁসেও অভ্যস্ত হয়ে গেছে সে বন্ধুত্বতায়। যদি পাতি হাঁস রাজ হাঁসের সাথে কথা না বলে এড়িয়ে চলে তাহলে রাজ হাঁস খুব কষ্ট পায়। আসলে রাজ হাঁস চাপা স্বভাবের নিজের দুঃখের কথা খুব কম শেয়ার করে প্রায় না করার মতোই বলা চলে। আসলে নিজের দুঃখের বোঝা কারো কাঁধে চাপাতে নারাজ ভালো সুন্দর মুহূর্তটি রাজহাঁসের জীবনে যে কক্ষনোই আসবে না এরকম ভাবনা একপ্রকার গেঁথেই নিয়েছে সে। এক বিকেলে পাতি হাঁস রাজ হাঁসের কাছে এসে, রাজ হাঁসকে অনেক অনেক কথা উজাড় করে দিলো । পাতিহাঁসের কোন আড়ষ্টতা নেই বলতে থাকলো তাঁর দেহ তত্ত্বের বিবরণ আর রাজ হাঁস গুম হয়ে গেলো।
কিছু কথাই বলতে পারছিলো না রাজ হাঁস। পাতি হাঁসেও বলতে বলতে কেঁদে ফেলছিল প্রায় কিন্তু রাজ হাঁস তাকে কাঁদতে দেয়নি আসলে অন্যদিকে ঘুরিয়ে দিয়েছিলো মোড় টা। সন্ধ্যে হতেই পাতি হাঁস বাড়ি ফিরে যায় বাড়ি ঢুকতে ঢুকতেই পাতি হাঁসকে জিজ্ঞাসা বাদ শুরু সে কেনই বা রাজ হাঁসের বাড়ি যায় আসলে একজন ছেলে বন্ধু আর একজন মেয়ে বন্ধু হলেই সমাজের অনেক চুলকানি তা ছাগল বেড়াল হাঁস মোরগ যেই হোক না কেন তাদেরও তো মানুষের মতোই একটা সমাজ আছে। পাতি হাঁস বাড়ি যাওয়ার পর রাজ হাঁস একা একা খুব কেঁদেছে। নিজেকেই প্রশ্ন করে রাজ হাঁস কার জন্য কেনই বা কাঁদছে ? পাতি হাঁস তো তাঁর একটা ভালো বন্ধু তাহলে সে সে কাকে শরীর দেবে আর কাকে দেবে না। এ নিয়ে তাঁর মাথা ব্যথার কারণ হওয়া উচিৎ নয় ,তাছাড়া সেও তো প্রাপ্ত বয়স্ক তাঁর ভালো মন্দ বিচার করার একটা স্বাধীনতা আছে। তাহলে এতো কান্না পাচ্ছে কেন পাতি হাঁসের বাড়ির কেউ মিছেমিছি সন্দেহ করেছে বলে নিজেই খুঁজে পায় না রাজ হাঁস শুধু নীরবে কেঁদে যায়। অনেক অনেক কান্নার পর নিজে নিজেই একটা শান্তি পাওয়া যায়। এরকম আগেও হয়েছে যখন স্বেচ্ছায় বিসর্জন দিয়েছে ভালো বাসা আরও আরও তাকে সুখী দ্যাখার জন্য। রাজহাঁসের কাছে একটা বড়ো প্রশ্ন চিহ্ন ভালো বাসা কি কেবলই শরীরী সর্বস্ব.........।।
বয়:সন্ধির সাথে সাথে শরীর মন কিছুই যে আটকে থাকতে চায় না কে তা বুঝবে? তাই হয়তো পাতিহাঁস ধরা দিয়েছে আরেক হাঁসের কাছে। সে তাঁর প্রজাতিরেই বয়স তাঁর কাছাকাছি দুজনের মেলামেশা তে কোন বাধা নেই। তবে বিয়ের আগে শরীরী সর্বস্ব কারো বাড়ির লোকেই মেনে নেবে না। তবুও একদিন সন্ধ্যায় তাঁর বন্ধুর বাড়িতে মাতাল হয়ে পাতি হাঁস নিজেকে উজাড় করে দিলো। তারপর হোশ ফিরলে কি কান্না...... কি কান্না যেন থামতেই চাই না সমগ্র আকাশ যেন ফেটে পড়ছে ঐ ছোট্ট কুটীরে । কোথায় যেন একটা ভুল হয়ে গেছে। যে ভুলের কোন ক্ষমা নেই যে ভুল আর ঠিক করা যাবে না। মাঝে কয়েকটা দিন রাজহাঁসের সাথে পাতিহাঁসের কোন যোগাযোগ নেই। পাতি হাঁস যে একজন কে ভালবাসে সে কথাও জানে রাজ হাঁস আসলে পাতি হাঁস রাজ হাঁসের সাথে সব কথাই শেয়ার করে একজন ভালো বন্ধু ভেবে। তাই রাজ হাঁসেও অভ্যস্ত হয়ে গেছে সে বন্ধুত্বতায়। যদি পাতি হাঁস রাজ হাঁসের সাথে কথা না বলে এড়িয়ে চলে তাহলে রাজ হাঁস খুব কষ্ট পায়। আসলে রাজ হাঁস চাপা স্বভাবের নিজের দুঃখের কথা খুব কম শেয়ার করে প্রায় না করার মতোই বলা চলে। আসলে নিজের দুঃখের বোঝা কারো কাঁধে চাপাতে নারাজ ভালো সুন্দর মুহূর্তটি রাজহাঁসের জীবনে যে কক্ষনোই আসবে না এরকম ভাবনা একপ্রকার গেঁথেই নিয়েছে সে। এক বিকেলে পাতি হাঁস রাজ হাঁসের কাছে এসে, রাজ হাঁসকে অনেক অনেক কথা উজাড় করে দিলো । পাতিহাঁসের কোন আড়ষ্টতা নেই বলতে থাকলো তাঁর দেহ তত্ত্বের বিবরণ আর রাজ হাঁস গুম হয়ে গেলো।
কিছু কথাই বলতে পারছিলো না রাজ হাঁস। পাতি হাঁসেও বলতে বলতে কেঁদে ফেলছিল প্রায় কিন্তু রাজ হাঁস তাকে কাঁদতে দেয়নি আসলে অন্যদিকে ঘুরিয়ে দিয়েছিলো মোড় টা। সন্ধ্যে হতেই পাতি হাঁস বাড়ি ফিরে যায় বাড়ি ঢুকতে ঢুকতেই পাতি হাঁসকে জিজ্ঞাসা বাদ শুরু সে কেনই বা রাজ হাঁসের বাড়ি যায় আসলে একজন ছেলে বন্ধু আর একজন মেয়ে বন্ধু হলেই সমাজের অনেক চুলকানি তা ছাগল বেড়াল হাঁস মোরগ যেই হোক না কেন তাদেরও তো মানুষের মতোই একটা সমাজ আছে। পাতি হাঁস বাড়ি যাওয়ার পর রাজ হাঁস একা একা খুব কেঁদেছে। নিজেকেই প্রশ্ন করে রাজ হাঁস কার জন্য কেনই বা কাঁদছে ? পাতি হাঁস তো তাঁর একটা ভালো বন্ধু তাহলে সে সে কাকে শরীর দেবে আর কাকে দেবে না। এ নিয়ে তাঁর মাথা ব্যথার কারণ হওয়া উচিৎ নয় ,তাছাড়া সেও তো প্রাপ্ত বয়স্ক তাঁর ভালো মন্দ বিচার করার একটা স্বাধীনতা আছে। তাহলে এতো কান্না পাচ্ছে কেন পাতি হাঁসের বাড়ির কেউ মিছেমিছি সন্দেহ করেছে বলে নিজেই খুঁজে পায় না রাজ হাঁস শুধু নীরবে কেঁদে যায়। অনেক অনেক কান্নার পর নিজে নিজেই একটা শান্তি পাওয়া যায়। এরকম আগেও হয়েছে যখন স্বেচ্ছায় বিসর্জন দিয়েছে ভালো বাসা আরও আরও তাকে সুখী দ্যাখার জন্য। রাজহাঁসের কাছে একটা বড়ো প্রশ্ন চিহ্ন ভালো বাসা কি কেবলই শরীরী সর্বস্ব.........।।
সুচিন্তিত মতামত দিন