এক। ভজহরি দাস বিরচিত বাদামতলার যে ইতিহাস
সেখানেই রয়ে গেছে আমার ভুলভাল ছাত্র-জীবন
রয়ে গেছে কিছু পাখিডাক কিছু কপোতাক্ষ
আমরাঙা-জামরাঙা-কামরাঙা সব উড়োমেঘ
আর লেডিজ-সাইকেল নিবেদিত গুপ্তহত্যাটি
দুই। হামেশাই
সুচিত্রা-ক্লাসে যাই
নাকখ্যাঁদা জিন-পরীদের
রূপকথা থেকে
এনতার
পড়ে নিই
কুলোপানা মুক ও
বধিরদের
ঢ্যাঙ-কুড়া-কুড়
তিন। সুর ও তালে বেজে চলা ঘেঁটুপুজো থেকে
যত শিখি
ততই বিভ্রান্ত হই
পানিফল-অনুমোদিত
সেই ভ্রান্তিবিলাস
শিশির-ভেজা
শিউলির লালায়তনে
আমাকে
ক্রমাগত মুগ্ধ করে
আনন্দিত
করে
চার। আমার
আনন্দ যেন চড়ক-মেলার কণ্ঠলগ্ন
পাঁপড়-ভাজার
মড়কের মতো
গো
বলতে শুধু গোবিন্দধাম কেন
সে গোবরডাঙাতেও
চলে যেতে পারে
তার
সেই যাওয়ার আনন্দেও লেগে থাকে
কিছু
মাথাব্যথা কিছু পরাগমিলন
এবং
কিছু উৎপটাং ফড়িংনাচের
বোতামছেঁড়া
অহংকার
পাঁচ। পুবে
ও পশ্চিমে যত হিসাব
বা বেহিসাব তাদের বংশধর হয়ে আমি
আমার সাধের নৌকার অনিয়মে বেঁধে ফেলতে
চাই তোমাকেও
তোমার হেঁসেলের ইশতেহারে উজ্জ্বল হোক বুনোঘোড়ার পোস্টার
জানি তোমার ডানার ইচ্ছেতেই আমার তাঁত বোনা হয়ে যাবে
সারা গায়ে ওমলেটেরগন্ধ নিয়ে যে সন্ধ্যা নামে
তার দিকে মেলে ধরি আমার মাংসাশী চোখ
আদিবাসি নদীর জলে নেমে ভেসে আসা আত্মহত্যাগুলিকে
ছিঁড়ে
ছিঁড়ে খাই আমার খিদের পায়ে
কোনো চাকা থাকে না
ছয়। অহংকারী মৌমাছিদের চরণধুলি থেকে জানি না
কে আমার কাগজের নৌকাটি
হরণ করে নিয়ে গেছে
পিঠের কালসিটেগুলো
নাহয় জামার নীচেই ঢাকা
থাক
আমার শিরা-উপশিরার অলিখিত
হাঁসেরা প্রাগৈতিহাসিক
মৃৎশিল্পের
জয়গানে কোনো খামতি রাখবে না
সাত। উদ্ভিদবিদ্যার
কাঁঠালছায়ায় সঞ্চারিত হবে
আমার
জাহাজডুবির খোসগল্প
আর তোমার খোঁপাকথার
ললাটলিখনে লিপিবদ্ধ হবে
আমার ত্বকচর্চার উত্থান ও পতনের গোপন কাহিনি
গোপনীয়তার আহ্নিক
গতি বড়ই বিচিত্র তার চোখে সানগ্লাস
মুখে তালমিছরি এবং হিপ-পকেটে এক রঙ-চটা নাবিকবৃত্তি
আনারস চাষ অথবা বেডসাইড-জোক্স
কোনোকিছুতেই
নেই জলপরীদের গায়ের গন্ধ
সুচিন্তিত মতামত দিন