মা গো বছরভর ধানী জমি , গোলা ভরা ধান
তবে কেন তোমার মেয়ের উপসি আখ্যান
শ্বশুরবাড়ির মানুষগুলো কেমন ধারা যেন
এত আছে তবু এদের আরও যে চাই কেন
আমার কী দোষ বলনা গো মা , গরীব ঘরের বিটি
ধন দৌলত নেই তো বাপের ; গতর দিয়ে খাটি
তবু কারো মন পাইনা একটাবারো কেউ
ডাক দেয় না এবার এসে ভাত খা বড় বৌ
পেটে আবার ছাওয়াল আমার দিন দিন শত্তুর
বাসন মাজি ভয়ে ভয়ে পিছল সিঁড়ির ভূত
ধাক্কা না দেয় । তবে মা গো কোথায় আমি যাবো ?
ঝিগিরিতে নুন-পান্তা কোথায় গিয়ে পাবো
ভাবছ বুঝি মেয়ের তোমার মরতে বড় ভয়
ভয় না গো মা পেটেরটাকে বাঁচাবার দুর্জয়
সংকল্পে লড়াই করি দাঁত দিয়ে দাঁত পিষে
নতুন জামা পরবেই ও তোমার পুজোয় এসে
আশীন মাসে এবার যখন আসবে তুমি মা
নাতীর জন্য প্রসাদী ফুল আনতে ভুলো না
এই চিঠি লেখার ঠিক সাত দিন পড়ে নিরুপমা মাহাত আট মাসের পোয়াতি পেট নিয়ে বাসন মাজতে গিয়ে ঘাটের পিছল সিঁড়ি থেকে পড়ে যায় ও মরে যায় । তারপরেও কাঁসর ঘণ্টা বাজে । রাজনন্দিনী মা ছেলেমেয়ে সহ তেলতেলে হাসি মুখে এসে পুজো নেন মর্তবাসীগণের । শুধু বোকার মত কাশফুল ফোটেনি । কেন যেন পদ্মেরও ক্রাইসিস হয়েছিল সেবছর । আর মেঘ মুখে আকাশটাও থম ধরেছিল বিশেষ চারটে দিন ।
লেখাটা পড়ে চোখ ভিজে উঠলো ।
উত্তরমুছুনMousumee pullen