১
শরতের কাছে নয়, কাশের ঋণ হেমন্তের কাছে
রূপলাব্যণ্য পেরিয়ে ওর ফিকে রঙ হেমন্তই পুষে রাখে।
২
শুধু আকাশের সঙ্গ প্রার্থনা করছো উচ্চাকাঙ্ক্ষী পাতা
পর্ণমোচী হয়ে নেমে দ্যাখো, ধুলোও তোমার জন্য কি অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছে।
৩
তুমি যে বললে আমায় ভুলে যাবে, এ তবে কেমন নিষ্ঠুরতা!
তোমার কথাই ভাবছি প্রতিটা মূহুর্তে, তুমি কি তাহলে এখন ভোলোনি!
৪
তুমি মুগ্ধ হয়েছো বৃষ্টির রূপরসে। কত রকমের শব্দে বৃষ্টি তোমাকে আদর করে
ঝিরঝির, টিপটিপ, ঝমঝম, ফিসফিস, দুদ্দাড়...
অথচ বৃষ্টির নিজস্ব কোনো শব্দ নেই, ও যার ওপরে পড়ে তার শব্দটুকু প্রতিফলিত করে।
৫
আমি ঝুলে যাওয়া ছেঁড়া বোতামে দেখি শ্রাবণের কথকতা
যেন কালবৈশাখীর পরে বাবুই এর বাসা, এতই সুতোর ব্যথা!
৬
কখনো আমি ওপরে, তুমি নিচে। কখনো তুমি ওপরে, আমি নিচে।
সমান্তরালে আসার আগে আমরা শিখে নিই সব সম্পর্কই আসলে
কিছুটা উঁচুনিচু... কিছুটা নিচুউঁচু।
৭
তুমি ওর আলোয় মহিমান্বিত হয়েছ। ও কিন্তু পুড়ছে গলতে গলতে...
পোড়ার পরেও থেকে যায় কিছু মোম, আরো পুড়ে যাওয়া সলতে।
৮
পেন্সিল দিয়ে একটা করে দাগ টানছ আর তারপর মুছে ফেলছ ইরেজার দিয়ে
তুমি একটা করে দাগ মুছছো আর আমার ভিতরে ফুটে উঠছে একটা করে ছবি
সব ছবি শুধু দাগ হয়ে আছে ভিতরে।
৯
প্রত্যেকটা পোড়া সিগারেটের টুকরো আমার সন্তান
মরার আগে বারংবার ওরাই আমার মুখে আগুন দেয়।
১০
তুমি আসলে আমার কবিতার খাতা
শেষ হলে আনন্দে মশগুল হয়ে নিঃসাড় শুয়ে থাকি
আবার মনখারাপ হয়ে যায় আর একটাও সাদা পাতা নেই বলে।
অনবদ্য
উত্তরমুছুনকোন মতামত না দিয়ে বরং, অনুভব করি। :)
উত্তরমুছুনএই মন্তব্যটি লেখক দ্বারা সরানো হয়েছে।
উত্তরমুছুন