সুজন ভট্টাচার্য

মায়াজম
1
                              সম্পাদকীয়


আতিথ্যের দায়টুকু স্বীকার করা ছাড়া অতিথির বিশেষ কোনো কর্তব্য থাকে না। যাবতীয় দায় নিয়ন্ত্রকের। সেই ভরসাতেই সোনালীর আহ্বানে রাজি হয়েছিলাম। সম্পাদনা নামক লেজুড়টি যতই থাকুক, আদতে তো সেই অতিথি। ছোটবেলায় সম্পাদ্য কষতে গিয়ে নানান যন্ত্রপাতি নিয়ে হাবুডুবু খেতে হোত। এখানে আর যাই হোক, সেই বিড়ম্বনা নেই। ঝক্কিটা সোনালীর। অদৃশ্য এক সংযোগসূত্রের মাধ্যমে ও শুধু আমাকে খানিক খানিক কথা জানাবে, আর আমিও সুভদ্র অতিথির মতো মাথা নেড়ে বলব - বা:,বা:, দারুণ হয়েছে।

কিন্তু গৃহকর্ত্রী হিসাবে সোনালী অতিথির প্রতি খুব সজাগ। পাছে অতিরিক্ত আরামে অতিথির শরীর খারাপ হয়, তাই মাঝেমাঝেই হাঁক পাড়ে - দাদা, টেবিলটা একটু সাজিয়ে দিন না, নুনের বাটিটা একটু দেবেন, ইত্যাদি। পৃথিবীতে অনেক অত্যাচারের প্রতিরোধ করা যায়, কিন্তু বোনের আবদার প্রত্যাখ্যান করা! নৈব নৈব চ। রাবণ রাজা অবধি পারেন নি। সেখানে এই ক্ষীণতনু নিরীহ লোকটি আর কী করে?

মোদ্দা কথা হোল, সাহিত্যের জগতে নিজেকে মধ্যম মানের পাঠক হিসাবেই নিজেকে চিনি। সোনালীর শখ হয়েছিল তার দাদাকে জনগণের সামনে সাজিয়ে গুজিয়ে পেশ করবে। পৃথিবীর সব বোনেরাই তার তার দাদাকে সম্রাট অ্যালেক্সান্ডার বলে মনে করে। ফলত, তলোয়ার ঘোরাতে পারি আর নাই পারি, খাপ হাতে নেমে পড়তে হোল রণভূমে। আমাকে টানতে গিয়ে ভয়ানক হ্যাপা সোনালীকে পোয়াতে হয়েছে। হাসিমুখে ও সব মেনে নিয়েছে। কৃতজ্ঞতা জানিয়ে সেই ঋণ শোধ করা যায় না।

মায়াজম সোনালীর সন্তান শুধু নয়, আরো অনেকের সাথে মিলে এই জমিটা ও সমবায় প্রথায় চাষ করতে চাইছে। সেই উদ্যোগ সফল হোক, এই কামনা করি। বর্তমান সংখ্যার অতিথি সম্পাদক হিসাবে সাহিত্যকার ও পাঠকদের সকলকে জানাই আমার আন্তরিক অভিবাদন।

                                                                               সুজন ভট্টাচার্য

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

1মন্তব্যসমূহ

সুচিন্তিত মতামত দিন

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন