ঠিক তখনই কলকাতায়
গোলাপের তোড়া হাতে বাসন্তী প্রেম নিয়ে দাঁড়িয়ে রয়েছে পার্ক স্ট্রিট
আমি ১৯৫২-র ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় - হৃদয়ে একুশের রক্ত নিয়ে তার সামনে গিয়ে দাঁড়ালাম...ঠিক তখনই কলকাতায়
কী যে এক হাওয়া দিল কোথা থেকে - গর্বিত অভিমানে এলোমেলো হয়ে গেল চলমান শহরের নকশা আর মনে হল
বম্বের ডান্স-বারে যে পাচার হওয়া মেয়েটি বাংলায় কেঁদে ওঠে আজও
যে ছেলেটি ছাদ থেকে ঝাঁপ দেবার আগে অসহায় রাগে বলে ওঠে - বোকাচোদা
চুল্লির ছাই থেকে , কবরের তলা থেকে
যে ধোঁয়ামুখ বাংলায় বিদায় জানায় - তাদের সবার জন্মদিন একুশে , একুশে, একুশে ফেব্রুয়ারি…
---------------------------
ছায়ার নৌকো
হরিশ্চন্দ্র ঘাটে যে মানুষ ধোঁয়া হয়ে ওড়ে
কিংবা যে হৃদয় উবে যায় মণিকর্ণিকায়
গঙ্গায় আলোর মালা হয়ে দুলে ওঠে যে সব মুখেরা -
বেনারসে , ঘাটে বসে তাদের ডাকতে থাকি আমি
হাজার বছর আগে আমাকে যে চুমু খেয়েছিল
মনে হয় , সে আমায় ছুঁয়ে নেবে আজ
ছায়ার নৌকো আমি, ভাসতে ভাসতে দেখি
এসে পড়েছি এই প্রাচীন কাশীধামে ...
এখনো লিখছি চিঠি
আর উড়িয়ে দিচ্ছি তোর নামে।
besh bhalo laglo
উত্তরমুছুন