স .ত .ত .জীবন - মায়াজম

Breaking

১১ আগ, ২০১৭

স .ত .ত .জীবন

                           ঈশ্বর নেই.....


দার্থ বিদ্যার শিক্ষক ছিলেন নরেন কাকু
কত খেলেছেন ম্যাথের খেলা
একদিন কাক ভোরে প্রমাণই করে দিলেন- ঈশ্বর= জিরো স্কয়ার আর আত্মা= ওয়ান হাফ স্কয়ার। 
উল্লসিত নরেন কাকু সেদিন কাঁচা মরিচ ডলে একথালা পান্তা ভাত খেয়ে ফেললেন। 
সেই নরেন কাকুর মনুষ্য ছায়া আজ ছোট হতে হতে বৃত্তের বলয়ে। 
নরেন কাকু মুখ তুলে দূর নীহারিকার দিকে তাকিয়ে রইলেন ঝাপসা চোখে।
ছানি পরা চোখে শুধুই ধোঁয়াশা....
প্রদীপের আলো যদি অন্ধকারকে অতিক্রম করতে পারে-
তবে ঈশ্বর শুধু উপরেই থাকবে কেন?
নাস্তিকবাদে মোড়ানো নরেন কাকু এর উত্তরও হাতড়িয়ে চলে অনুক্ষণ। 
শারীরিক ছায়া বৃত্তটা মাটি কামড়িয়ে দীর্ঘ হতে থাকে
ত্রিমাত্রিক বস্তু; শর্তের সাথে আবহ মিলাতে গিয়ে ভাবাবেগে হোঁচট খায় নরেন কাকু
আলো, ছায়া, বাতাস, অনুভূতি, ব্যাথার তবে কি অস্তিত্ব নেই?
আছে তো.....
তবে এতো দিন বস্তুগত ডাইমেনশানে ঈশ্বরের বাস কোথায় ছিলেন?
অ্যাবস্ট্রাক্ট?
তাও তো নয়। 
নির্বোধ শিশুর মতো জরায়ুতে বসে পদাঘাত করেছি জননী- জন্মধাত্রীকে।
কুইপার বেল্ট অবজেক্টের পরিসীমা অতিক্রম করতে পারিনি বলে ব্ল্যাক হোলে স্নান সারা হয়নি আজও।
জীবনের এই প্রান্ত বেলায় নরেন কাকু ১০>৯>৮>৭>৬>৫>৪>৩>২>১>০
গুনতে গুনতে শূন্যতে এসে স্তম্ভিত হয়ে গেলেন
শূন্যের পূর্বে কি আছে?
স্বাভাবিক সংখ্যাতথ্যে শূন্যের পূর্বেই যদি কিছু না থাকে -
তবে ঈশ্বরের পূর্বে এতোদিন কি খুঁজেছেন তিনি?
বিহ্বলিত নরেন কাকু গ্রাভেটির টানে ছায়া কামড়ে পরে রইলেন কিছুক্ষন। 
বিপুল বিশ্বের দিকে তাকিয়ে কম্পিত ঠোঁটে বলতে লাগলেন-
" ঈশ্বর নেই" বাক্যটিতেও ঈশ্বর আছেন।
"ঈশ্বর নেই" বাক্যটিতেও ঈশ্বর আছেন!!

৫টি মন্তব্য:

  1. যুক্তি আছে,শূন্যের পূর্বে যদি কিছু না থাকে তবে শূন্যই ঘিরে আছে আমাদের।শূন্যকে ঘিরে আছে হাজার শূন্য।যেমন বিন্দু যদি বস্তু হয়,তবে বিন্দুকে ভাঙলে অণু,পরমাণু,প্রোটন,নিউট্রন,ইলেকট্রন.... বেশ,আরও ভাঙার অপেক্ষায়।যেমন,সূর্য্য থেকে আলো আসতে আট সেকেন্ড,তার আগেও বস্তুর অস্তিত্ব ছিল, আঁধারে বালিশটাকে ছুঁয়েও ববালিশ বলে বুঝি।

    উত্তরমুছুন
  2. নিহারিকার দূরত্ব পেরিয়ে বৃহত্বের অসীম থাকে। আর একককে বৃহত্তম দিয়ে ভাগ করলে ক্ষুদ্রতমের দিকে অসীম পাওয়া যায়। আমার‌ই মগজে(র) সবচেয়ে নিকটবর্তী কোটি অর্বুদ সংখ‍্যক নিউরণে ততোধিক পরমাণুর প্রত্যেকটি এক অসীমসংখ‍্যক অতলান্ত গভীর অসীমের অস্তিত্ব ঘোষণা করে।
    সেই অসীম সংখ্যক অসীম গভীরতা শূন্যে গিয়ে শেষ হয় বুঝি!
    আর সুবিশাল সহাকাশ কোথায় গিয়ে শেষ হয়? দূরত্ব বেঁকে গিয়ে আবার কাছে ফিরে আসে, তাই মহাবিশ্বের সকল বিন্দুই কেন্দ্রে অবস্থান করে। কি এক ধাঁধা!
    নরেন কাকুর গণিতের জগতে আমরা শূন্য ও অসীম নিয়ে সিদ্ধান্তহীন। root of -1 নিয়ে সিদ্ধান্তহীন, coordinates নিয়ে সিদ্ধান্তহীন... গণিত আবিষ্কার করে সবকিছুই গাণিতিক মডেলে ফেলতে চাচ্ছি, তাতে কিছুটা ফল‌ও পেয়েছি। কিন্তু শূন্য ও অসীম নিয়ে ফেঁসে গেছি! ওখানেই ঈশ্বর!
    আসলে আমাদের বুঝবার ক্ষমতা ও চেষ্টাই ঈশ্বরের দিকে অথবা ঈশ্বর থেকে দূরে নিয়ে যায়; অসীম ঈশ্বরে বা শূন্য ঈশ্বরে।

    উত্তরমুছুন

Featured post

সোনালী মিত্র