সম্পাদকীয়
যে জাতির অতীত নেই , সেই জাতির বর্তমান ও ভবিষ্যৎও নেই । যে প্রাণীর জীবাশ্ম আছে , তারা যে এককালে পৃথিবীতে ছিল , বলাইবাহুল্য । প্রাণীর এই থাকা বা না-থাকাটা হল ইতিহাস । দলিল । পৃথিবী নামক মঞ্চে এসে যারা অভিনয় কিছু-না কিছু করে গিয়েছেন ,তাদেরকেই আমরা খুঁজে পেয়েছি বর্তমানে । বঙ্গীয় সভ্যতার শিকড় প্রাচীনকালের মধ্যে ঢুকে রয়েছে ! নদীমাতৃক দেশ , তার সবুজে-ভরা ক্ষেতখামার , গোলাভরা ধান , যে সভ্যতাকে বিকশিত করেছিল তা আজও বর্তমান । স্তিমিত হয়ে আসা অতীতগুলি হয়তো এখনকার চেয়ে প্রাণবন্ত ছিল , হয়তো পাখির সঙ্গে শিস দিতে দিতে প্রভাতে ফসলের মধ্যে ঢুকে যেতেন তখনকার মানুষেরা ! আজকে সেই মানুষগুলি হয়তো নেই , হয়তো হারিয়ে গিয়েছে তাদের হাসিকান্নার দিনগুলি !
বর্তমানকে ভবিষ্যতের মধ্যে বাঁচিয়ে রাখতে গেলে অতীতগুলো জন্ম পরম্পরায় ছড়িয়ে দিতে হয় ! অতীতের বীজ থেকে আসে বর্তমানের সন্তান । বর্তমানের সামনে অতীতের দরজা খুলে না দিলে বুঝবে কী করে অতীত কেমন ছিল ! মায়াজম এবার আমাদের হারানো অতীতকে নিয়ে ফিরে এসেছে । ফেলে আসা সংস্কৃতি , মানুষের জীবনযাত্রা নিয়ে হাজির হয়েছে পাঠকের সামনে । মানুষের বিশ্বাস , লৌকিক আচার , দেবতা-উপদেবতা , সঙ্গীত , প্রভৃতি যে-অনুভবগুলি আত্মাকে সচল রাখত তাদেরকেই একবার নিজের মুখোমুখি দাঁড় করানো হয়েছে ।
এবারের মায়াজম সংখ্যা অন্য আঙ্গিকে ভরা । নতুন অনুভব আর রোমন্থনে পরিপূর্ণ । এবারের সংখ্যা একটু মন দিয়ে পড়ুন । ধীরে পড়ুন , অন্যকেও পড়ান । যারা এবারে লেখা দিয়ে সমৃদ্ধ করেছে মায়াজমকে তাদের আন্তরিক শুভেচ্ছা জানাই । শুভেচ্ছা জানাই মায়াজমের অগণিত পাঠক বন্ধুদের ।
আন্তরিক শুভেচ্ছাসহ সোনালী মিত্র
আন্তরিক শুভেচ্ছাসহ সোনালী মিত্র
সুচিন্তিত মতামত দিন