ভাওয়াইয়াঃ হাটে মাঠে ঘাটে
১।
উত্তরবাংলার প্রাণবন্ত লোকসংগীত ভাওয়াইয়া। উত্তরবাংলার শ্রেষ্ঠতম লোকসংগীত ভাওয়াইয়া। আর্থ-সামাজিক প্রেক্ষিতের জায়মানতায় যুগ যুগ ধরে লোকপরম্পরায় নির্মিত হয়েছে ভাওয়াইয়া। উত্তরবাংলার আদি বাসিন্দা ভূমিপুত্র রাজবংশী জনগোষ্ঠী লালন পালন করেছে কৌম সংস্কৃতির পরিচয়বাহী এই গান। জীবনযাপনের দিনযাপনের সমগ্রটুকুই ধরা পড়েছে এই গানে। হাতি মহিষ গাড়িয়াল গরুর রাখাল পূজাচার উৎসবাদি বিরহব্যথা নারীজীবনকথা বারমাস্যা—সবই ধরা পড়ে ভাওয়াইয়ায়। সুরেন বসুনিয়া প্রথম ভাওয়াইয়ার রেকর্ড করেন। ক্রমে আব্বাসউদ্দিন নায়েব আলি টেপু কেদার চক্রবর্তী প্যারিমোহন দাস কেশব বর্মণ প্রতিমা বড়ুয়া প্রমুখের দক্ষতায় ভাওয়াইয়া আজ সার্বজনীনতা অর্জন করেছে। পৌঁছে গেছে বিশ্বের দরবারে। সময়ের দুঃসহ যাত্রায় কালের অভিঘাতে বিশ্বায়নের ফলশ্রুতিতে পাশ্চাত্যের ভোগবাদ ও পণ্যসর্বস্বতায় নগরায়ণের নিষ্ঠুর বাস্তবতায় অন্যান্য লোকসংস্কৃতির মতো ভাওয়াইয়াও আজ কোণঠাসা। অস্তিত্বের সংকটের সম্মুখীন।
একবার হরি বল মন রসনা/মানব দেহাটার গৌরব কৈর না
২।
ভাওয়াইয়া লোকজনপ্রবাহের অনিবার্য অঙ্গ। লোকমানুষের জীবন নিংড়ে উঠে আসা। বিশিষ্ট খ্যাতিমান শিল্পীগণ নিজস্বতা নিয়ে নিবিড় চর্চা করে চলেছেন। সমৃদ্ধ হচ্ছে আমাদের সংস্কৃতি। কিন্তু আমার উদ্দেশ্য খ্যাতিমান ও স্বীকৃত ভাওয়াইয়া শিল্পীদের নিয়ে লেখা নয়। একথা বাস্তব সত্যি চ্যালেঞ্জ আসবে, সংকট তীব্রতর হবে, বারবার ধুকতে থাকবে আমাদের
লোকসংস্কৃতি। বিভ্রান্তি তৈরী করা হবে বারবার। কিন্তু পৃথিবীর কোন লোকভাষা লোকশিল্প লোকসংস্কৃতিকে ধ্বংস করা যায় না। যাবে না। কারণ যতদিন লোকমানুষ থাকবেন, মাঠ খেত প্রান্তর ও হাওয়াবাতাস থাকবে ততদিন লোকজীবন ও লোকসংস্কৃতি তুমুল প্রোথিত থাকবে ভূমিতে,আবহমান ও আশ্চর্য চিরন্তনতায়।
ও তুই কিসত গোঁসা হলু রে/ লালবাজারের চ্যাংড়া বন্ধু রে
৩।
ভাওয়াইয়া বাঁচবে। এটাই অনিবার্য। এখন,এই ২০১৪ তে আমরা দেখি ধান কাটতে কাটতে সমবেত লোকগান গাইছে মানুষেরা। এখনো মফঃস্বল শহরে সারাদিনরাতের অনেকটাই ভ্যান, রিক্সা চালিয়ে যখন রিক্সাভ্যানচালক গ্রামের বাড়িতে ফেরেন তখন তাদের কণ্ঠে বাজে গান—
‘ও নয়া বিয়ানী/তোর সাথে মোর
মনগোঁসা/ এল্যাও রে আছে’
কিংবা,
‘ধান কাটে ধানুয়া ভাইয়া রে/ও জীবন ছাড়িয়া
কাটে নাড়া/ সেই মতন মানুষের জীবন
কখন টলিয়া পড়ে/ জীবন রে’
অথবা,
‘বড় লজ্জা দিলু মোক/ বড় শরম দিলু মোক
আপন মানুষ বলি এল্যা/ ক্যামনে মানু তোক’
এখনো ভোটপট্টি রাজারহাটের সব্জিবিক্রেতার গলায় শোনা যায়—
‘মুই আর যাবার নং/সন্ধাবেলাত
আর একেলা মুই/জলত যাবার নং’
রাঙ্গালীবাজনায় হাটবাজার করতে আসা দীনবালা রায় ডাকুয়া সহসঙ্গীনিদের সাথে রসিকতা করে এই ভাবে—
‘আলসিয়া রে আলসিয়া
মারিলু বিলাই কুন বেলা’
আবার,
খাগড়াবাড়ি গার্লসের ছাত্রীরা টিফিনের সময় মাঠে দাঁড়িয়ে যখন গেয়ে ওঠে—
‘আমতলী নদীতে/ঝামপলী খেলাইতে
আজি খসিয়া বা পড়িল/বালির শিষের
সেন্দুর রে...’
যে বাসে চড়ে আমি চাকরি করতে যাই সেই গাড়ির খালাসী যখন সাবলীল গেয়ে ওঠে-
‘ও কি ও মোর কাঁটল খুটার ওরে দোতরা/তুই
করিলু মোকে জনমের/বাউদিয়া রে’
নদীতে মাছ ধরতে ধরতে এখনো জালুয়ারা ভাওয়াইয়া গায়, বিকেলের মজলিসে আজও মেয়েবউদের কন্ঠে খোঁপা বাঁধবার গান-
‘তারপরে বান্ধিলুং খোপা/নাম দিনু তার উনি
তার উপুরা বসত করে/দেড় কুড়ি বাজারী’
রান্নাঘরের কাজ করতে করতে,উঠোনের ধান ঝাড়তে ঝাড়তে অনায়াস ভাওয়াইয়া গেয়ে ওঠে এখনো প্রান্তিক জনমানুষেরা।
ভেলোয়ার মুখত দেখং/মইফুলের বাহার
৪।
সংকটসকল তুমুল উড়ে যাবে। লোকসংস্কৃতি বেগবান হবে। ভাওয়াইয়াও বাঁচবে তার নিজস্বতার জোরে। হাটে মাঠে ঘাটে প্রান্তরে প্রান্তরে ছড়ানো সহজ সরল লোকায়ত মানুষদের খুব গভীর থেকে এইভাবে আবহমান উঠে আসতে থাকবে অনবদ্য লোকসংগীত ভাওয়াইয়া।
গান করিয়া সর্বনাশ/তবু না মেটে গানের হাউস
‘’ও বৈদেইশা বন্ধুরে,ও মোর সোনা বন্ধুরে/একবার উত্তরবাংলা আসিয়া যান/হামার জাগাখান দেখিয়া যান রে’’।এই আন্তরিক আহ্বান উত্তরের বিশিষ্ট ভাওয়াইয়া শিল্পীর।তিনি ধনেশ্বর রায়।দোতারা বাদক হিসেবেও আকাশবাণীতে নথিভুক্ত।দীর্ঘ ষাট বছর ধরে সঙ্গীতচর্চা ও শিক্ষকতার সঙ্গে যুক্ত শিল্পী লিখেছেন পাঁচশোর বেশী ভাওয়াইয়া গান।পেয়েছেন পঞ্চানন বর্মা পুরষ্কার।রাজ্য সরকার তাকে দিয়েছেন বঙ্গভূষণ।বয়সের ভার সয়েও স্বপ্ন দেখেন,আরো অনেক গুণী ছাত্রছাত্রী তৈরি করতে,যারা লোকসঙ্গীতের বিকৃতির বিরুদ্ধে কাজ করবে।স্বপ্নদ্রষ্টা এই লোকসঙ্গীতশিল্পীর স্বপ্নকথা লিখলেন সুবীর সরকার।
আপনার জন্ম,জন্মস্থান?
জলপাইগুড়ি জেলার ফালাকাটা ব্লকের জটেশ্বরের হেদায়েত নগরে ১৯৩৪ এর ২৮ অক্টোবরে আমার জন্ম।পরে পাকাপাকীভাবে চলে আসি আলিনগরে।
কেমন পরিবেশে ছেলেবেলা কেটেছে?
চারদিকে গ্রামীণ মানুষজন,নদীনালা,জঙ্গলঘেরা পরিবেশ।হাটবাজার থেকে লৌকিক পালাপার্বণ,কী ছিল না আমার ছেলেবেলায়! সেই সহজ সরল পরিবেশে চমৎকার এক বাল্যকাল কেটেছে আমার।বাড়ির কাছে মুজনাই নদী,লোকনাটকের,যাত্রাপালার,কুষাণ গানের সুরে সুরে কাটতো দিনগুলি।
ছেলেবেলার কিছু স্মৃতি?
অনেক,অনেক স্মৃতি আছে।একটি স্মৃতির কথা বলি।চার বছর বয়সে আমার মায়ের মৃত্যু হয়।আমাদের পরিবার মোটামুটি সম্পন্ন ছিল।জোতজমি ছাড়াও বাবা ব্যবসা করতেন হাটে হাটে ঘুরে।স্থানীয় জোতদার বোদং ধনীর সরকারের কাজও করতেন।আমি গরুর গাড়িতে চড়ে বাবার সাথে হাটেবাজারে ঘুরতাম।যেতাম ধনীর বাড়িতেও।তখন ৬/৭ বছর বয়স হবে।হাটে অনেক রাত হয়ে যাওয়ায় আমাদেরকে বোদং ধনীর বাড়িতে থেকে যেতে হয়।ওই বাড়িতে গৃহশিক্ষকতা করতেন লোকশিল্পী যত্নেশ্বর বর্মণের এক ভাই।এই বয়সে তার নাম মনে করতে পারছি না।তিনিও ভালো ভাওয়াইয়া গাইতেন।ওই রাতে খাওয়াদাওয়ার পরে বৈঠকখানা ঘরে দোতারা বাজিয়ে তিনি ৫/৬ টি ভাওয়াইয়া গেয়েছিলেন।বললে বিশ্বাস করবেন না,ওনার দোতারা বাজানো দেখে তৎক্ষণাৎ ওই গানগুলি এবং দোতারা বাজানোও শিখে নিয়েছিলাম।বাবা খুশী হয়ে পাঁচ কেজি ওজনের পাঠা দিয়ে পড়শিদেরকে ভোজ খাইয়েছিলেন।আর আমি দোতারা বাজিয়ে ওই গানগুলি গেয়েছিলাম।সবাই আশীর্বাদ দিয়েছিল,উৎসাহ যুগিয়েছিল।যা আমাকে আজও সতেজ রেখেছে।
লোকসঙ্গীতের জগতে এলেন কেন?
আমি ছোট থেকেই নজরুলগীতি গাইতাম।আশপাশে একটু পরিচিতিও হয়েছিল।কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক সত্য চ্যাটার্জ্জী আমার ১৪ বছর বয়সে গবেষণার কাজে উত্তরবঙ্গে এসেছিলেন।আমাদের বাড়িতে তিনি কয়েকদিন ছিলেন।প্রতিদিন তিনি আমার গান শুনতে চাইতেন।অথচ কোন মন্তব্য করতে চাইতেন না।আমার খুব হতাশ লাগতো।কলকাতা ফিরে যাবার আগের দিন তিনি আমাকে বললেন,নজরুলগীতি গাও ভাল কথা।কিন্তু উত্তরবাংলার প্রাণবন্ত ভাওয়াইয়া তোমাকে গাইতে হবে।এই গানে আশ্চর্য সম্পদ ছড়িয়ে রয়েছে।কলকাতা ও সভ্য সমাজে ভাওয়াইয়া গানের কদর রয়েছে।অনার সেই কথা গভীরভাবে আমাকে প্রভাবিত করেছিল।এইভাবেই আমার লোকসঙ্গীতের জগতে আসা।
সঙ্গীত গুরু হিসেবে কাদেরকে পেয়েছেন?
নজরুলগীতি শিখেছি সুধীর দের কাছে।আর রবীন্দ্রসঙ্গীত সুধীর লাহিড়ীর কাছে।ভাওয়াইয়া শিখেছি নরেন রায়ের কাছে।তবে জীবনের,জনমানুষের অনন্ত পাঠশালায় আমি নিরন্তর নিজেকে শিক্ষিত করে তুলেছি।আমার তো তেমন কোন প্রথাগত শিক্ষাজীবন নেই।প্রান্তিক মানুষ ও প্রকৃতিই আমার প্রকৃত শিক্ষক।লোকসঙ্গীত সংগ্রাহক হরিশ পাল মহাশয়ের সঙ্গে যোগাযোগ ঘটে জটেশ্বরের রেডিও মেকানিকস মধুসূদন শর্মার মাধ্যমে।১৯৬২ তে হরিশবাবু আমাকে কলকাতায় নিয়ে যান।H M V থেকে আমার গ্রামোফোন রেকর্ড বেরোয়।সেই সঙ্গে ‘কানাই ধামালি’ পালায় আমি সহশীল্পির ভূমিকাও পালন করি।আমার রেকর্ডে ২ টি গান ছিল।একটি হল,
‘বাপই মনভোলা/তোর সাথে মুই
যাবার চাং/বাঁশকাটার মেলা’
এবং অন্যটি ছিল,
‘বুড়াটা মাসে মাসে/বর্ত পালে
হরিনামের মালা/জপে
বুড়াটা/বিদুয়া নিবার চায়’
পরবর্তীতে গৌরীপুরের রাজা প্রকৃতিশচন্দ্র বড়ুয়ার(লালজী) আমন্ত্রণে গৌরীপুর রাজবাড়ীতে অতিথি হিসাবে গিয়েছিলাম।একটানা ৫২ টি ভাওয়াইয়া গান গেয়েছিলাম।লালজীর মেয়ে প্রবাদপ্রতীম লোকশিল্পী প্রতিমা বড়ুয়ার সঙ্গে যোগসূত্র গড়ে উঠেছিল।আর লালজী ছিলেন লোকগানের প্রকৃত সমঝদার।
সঙ্গীতের প্রতি আপনার ভালোবাসা এমনই যে,স্বরভঙ্গের কারনে নাকি আপনি আত্মহত্যা করতে গিয়েছিলেন?
সঙ্গীতই আমার সব।গান ছাড়া জীবন বৃথা।একসময় স্বরভঙ্গের কারণে অনেক বছর গান গাইতে পারি নি।সে যে কি যন্ত্রণার,বলে বোঝাতে পারবো না।আর সত্যিই সেসময় শুধুমাত্র গান গাইতে না পারার জন্য কয়েকবার আত্মহত্যাও করতে গিয়েছিলাম।গান ছাড়া আসলে আমার কিছুই নেই।বলতে চাই, ‘গান গান করিয়া সর্বনাশ/তবু না মেটে গানের হাউস’।
আপনি তো বহু জনপ্রিয় গানের রচয়িতা।গীতিকার হিসাবে আপনার প্রতিক্রিয়া?
আমি প্রায় ৫০০ টি ভাওয়াইয়া গান লিখেছি।সেইসঙ্গে আমার লেখা লোকনাটক-‘কাঁটোল খুটার দোতরা’ বেশ সাড়া ফেলেছিল।আমার লেখা অনেক গানই জনপ্রিয়তা অর্জন করেছে,বহু শিল্পী সেগুলো গেয়ে থাকেন।তবে আমার লেখা__‘’ও বৈদেইশা বন্ধুরে,ও মোর সোনা বন্ধুরে/একবার উত্তরবাংলা আসিয়া যান/হামার জাগাখান দেখিয়া যান রে/মনের কথা কয়া যান রে/হামার কথাখান শুনিয়া যান রে’’-এই ধরণের বহু গান আমাকে উত্তরবাংলার বাইরে লোকপ্রিয় করে তুলেছে।গানের সঙ্গে থাকতে আমার সবসময় ভালো লাগে।আনন্দ পাই।উৎসাহিত হই।আবার এই খ্যাতি আমাকে ভারি বিব্রত করে।
লোকসঙ্গীত নিয়ে আপনার ভবিষ্যৎ ভাবনা ও পরিকল্পনা কী?
ছোটবেলায় বিয়েবাড়িতে সানাই-এর সুর শুনে গানের তাল ও লয় তৈরি হয়েছিল.৬০ বছর ধরে সঙ্গীতচর্চা ও শিক্ষকতা করে আসছি।যতদিন বাঁচবো লোকসঙ্গীত নিয়েই কাজ করে যেতে চাই।অনেক বয়স হল,তবু স্বপ্ন দেখি,আরও অনেক গুণী ছাত্র ছাত্রী তৈরি করবো।যারা লোকসঙ্গীতের বিকৃতির বিরুদ্ধে কাজ করবে।লুপ্তপ্রায় সঙ্গীতধারার পুনরুদ্ধার ও সংরক্ষণের বিষয়েও কাজ করতে চাই।
কোন দুঃখের স্মৃতি?
এখন লোকসংস্কৃতির গুরুত্ব ও মর্যাদা অনেক বেড়েছে।কিন্তু আমাদের বাল্য ও কৈশোরে ভাওয়াইয়া ছিল ব্রাত্য এবং অবহেলিত।এই গান সভ্যসমাজে গাওয়া যেত না।আমার মনে পড়ে,একদিন দুপুরবেলায় বাড়িতে দোতারা বাজিয়ে গান গাইছিলাম।এমন সময় পাশের বাড়ির লোক এসে আমাকে শারীরিকভাবে নিগ্রহ করেছিল।প্রায় ৫৫ বছর আগের কথা।তবু আজও সেই দুঃখটা ভুলি নি।
উত্তরবাংলার লোকসংস্কৃতির ভবিষ্যৎ কী?
এখন গাড়িয়াল মৈষা্ল রাখালবন্ধু হাতির মাহুত বাউদিয়া –এরা নেই।সময়ের সঙ্গে অনেক কিছুই বদলে যায়।এই নিয়ে আক্ষেপ করে লাভ নেই।তবে মানুষ থাকবে চিরদিন।হাটবাজার থাকবে।মানুষের দুঃখ সুখ আবেগ ভালোবাসা যতদিন থাকবে ততদিন লোকগানকে কেউ মারতে পারবে না।লোকসংস্কৃতি আমাদের শিকড়।আর শিক্ষিত সমাজ আজকের দিনে আগ্রহের সঙ্গে লোকসংস্কৃতি চর্চায় এগিয়ে এসেছে।এটাই বোধহয় আপনার প্রশ্নের উত্তর।
সুবীর সরকারঃ ভালো থাকুন,খুব ভাল লাগল,কথা বলে।
ধনেশ্বর রায়ঃ আপনিও ভালো থাকবেন।আসবেন আবার।
সুচিন্তিত মতামত দিন