পিয়াল রায় - মায়াজম

Breaking

২৪ আগ, ২০১৮

পিয়াল রায়

           ফেসবুক... মুখ না বই?  

Related image

মায়াজমের এবারের সংখ্যা 'নেশা'। আমাকে লিখতে হবে ফেসবুকের নেশা নিয়ে। একেই তো বিপজ্জনক বিষয় তাতে সম্পাদিকা আবার হুকুম দিলেন কোনো  বানানো গপ্পটপ্প চলবে না, একেবারে নির্জলা বাস্তব তুলে ধরতে হবে। অনেক বাদানুবাদের পর ঠিক হল এ লেখা পড়ে কেউ যদি লেখিকাকে তুলোধোনা করতে চায় তাহলে সম্পাদিকাও সানন্দে তার পিঠ পেতে দেবেন এবং একইসাথে উভয়ে পাবলিক পিটুনি খাবার কড়ারে অবশেষে কলম নিয়ে থুড়ি মোবাইলের কি-বোর্ড আর আমার আঙুলগুলি নিয়ে বসে পড়া গেল। এমন সাহসী সম্পাদিকা পাওয়াও যে  বিরল ভাগ্যের ব্যাপার।জোক অ্যাপার্ট  পাঠক আমার এই রচনাটিকে একেবারেই ব্যক্তি আক্রমণ হিসেবে নেবেন না , এটি নেহাতই সাদামাটা একটা পর্যবেক্ষণ  মাত্র।পাঠক একমত হতেও পারেন, নাও পারেন। তবে কিনা সকলেরই নিজস্ব মতামত রাখার অধিকার রাষ্ট্র আমাদের দিয়েছে, তাই আমিও দুচার কথা লিখলাম। কোথাও কারো খারাপ লাগলে আমি আগেই ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি।  কাউকে পরিকল্পিত ভাবে আঘাত করার কোনো  ইচ্ছে আমার নেই।

ছোটবেলায় আমরা যেখানে থাকতাম আমাদের পাশের কোয়ার্টারে বৌ ছেলেপুলে নিয়ে থাকত এক হদ্দ মাতাল। তার কাজই ছিল রোজ গলা অব্দি বাংলা  টেনে গান গাইতে গাইতে টলতে টলতে বাড়িতে আসা আর বউকে আয়েস করে পেটানো। বউকে না মারলে মদের বাকি নেশাটুকু জমে উঠত না মোটেই।এদিকে বাইরেও তার আশনাই চলত কোনো এক বা একাধিক মহিলার সঙ্গে।মারের সময় লোকটার দুটি ছেলে এবং  দুটি মেয়ে কোথায় যে লুকিয়ে পড়ত তা আজও রহস্য। ঘরের এককোনে বসে দুলত শুধু পাঁচ ছ বছরের মানসিক এবং শারীরিক ভাবে অসুস্থ সর্বকনিষ্ঠ  সন্তানটি। তার কিছুই এসে যেত না এহেন সাংঘাতিক মহাপ্রলয়ে। মাতাল তো বউকে গুছিয়ে কয়েক ঘা দিয়ে আরামে ঘুমিয়ে পড়ত আর বউ  কাঁদতে কাঁদতেই তুমুল খিস্তি দিত আর রান্না করত। এটা ছিল রোজকার ঘটনা। আমি তখন কিছুতেই ভেবে পেতাম না মহিলা রান্নাটা আগে কেন করে রাখতেন না। পরে অনুমান করেছি  চোখের জল আর খিস্তিখাস্তা সহ রান্না সম্ভবত আরো বেশি সুস্বাদু হত। যাইহোক  দেহাতি এই পরিবারটিতে কোনোদিন কোনো আত্মীয় স্বজন আসতে দেখিনি। ওদের বাড়ির ছোট মেয়েটির সাথে ছিল আমার ভাব। নাম ছিল উষা। পাড়াশুদ্ধ লোক লোকটাকে উষার বাবা বলে ডাকত। যেদিন উষার বাবার ভালোবাসাটা উষার মায়ের প্রতি একটু বেশি রকম প্রবল হয়ে উঠত সেদিন পাড়ার লোকজন গিয়ে হম্বিতম্বি শুরু করে দিত। তাতে সাময়িক আরাম পাওয়া গেলেও ততদিনে আমরা জেনে গেছিলাম এর কোনো দীর্ঘমেয়াদী সমাধান নেই। মায়েরা মহিলা সমিতি থেকে কতবার উষার মাকে ওর বাবার নামে পুলিশে রিপোর্ট করতে বলেছে কিন্তু 'হামার মরদ' বলে কান্নাকাটি করে পাড়া মাথায় তুলতো উষার মা। তখনকার দিনে এ ধরনের উষার মায়েদের ছড়াছড়ি ছিল। এখনও কি আছে?  জানিনা। আমি অন্তত দেখতে পাই না। এই যে দেখতে না পাওয়া এটা তো ভালোই।  সমাজের দূষণ কম হবে। একটা পরিবারের ছেলেমেয়েরা ভেসে যাবার হাত থেকে রক্ষা পাবে। ঘুরিয়ে নাক দেখানোর আর কী প্রয়োজন, সরাসরি কথাতেই আসা যাক। উষার বাবা বা মায়ের যে প্রজাতিকে আমরা ছোটবেলায় দেখেছিলাম তারা আজও আছে। শুধু ডিজিটালাইজেশনের চকচকে পালিশ পড়েছে তাদের উপর । তারা যা করেন তা আর চোখের সামনে করেন না, করেন ভার্চুয়ালিটির বর্মের আড়ালে।  অবশ্য ভেবেও দেখেন না তাতে রিয়ালিটি একটুও বদলে যায় না। 


       নেশা তো শুধু রিয়েল জগতেই নেই,ভার্চুয়াল জগতেও আছে। বোধহয় সেটা আরো বেশি বেশি তীব্র আকারে আছে। সে নেশা ভালো কি মন্দ সে বিচারে আমি যাব না। আমার মনে হয় না সে বিচার করার সময় এখনও এসেছে। আজ বাদে কাল যদি ফেসবুক বন্ধ হয়ে যায় তখন হয়ত এর মূল্যায়ন করা সহজ হবে। ভার্চুয়াল দুনিয়া কতটা ভালো বা খারাপ ছিল।  তুলনা আসবে তখন। এখন আমরা এত মজে রয়েছি যে ভালো বা খারাপ বিচারের জন্য স্হির হয়ে বসার সময়টুকু নেই আমাদের হাতে। সুতরাং শুধু এখানে ঘটিত ঘটনাগুলোই তুলে ধরা যাক।

       কিছুদিন আগে ব্লু হোয়েল নামে একটি সব্বোনেশে খেলা আমাদের হাড়হিম করে দিয়েছিল। মূলত কিশোর বয়স্করাই ছিল এর আক্রমনের লক্ষ্য। খেলাটিতে মোট পঞ্চাশটি ধাপ পেরোতে হত।  প্রথমদিকে ব্যাপারটি মজাদার থাকলেও ধীরেধীরে তা ভয়ানক হয়ে উঠত ও খেলোয়ারের প্রাণ নিয়ে এর সমাপ্তি ঘটত। এত সুকৌশলে গোটা ঘটনাটি পরিচালিত হত যে আগাম সুরক্ষা গ্রহনের কোনো উপায়ই থাকত না। দিনরাত ফেসবুক ব্যবহারকারীদের ক্ষেত্রেও ব্যাপারটা ঠিক এরকমই। বাস্তব জগতের সাথে যোগাযোগ ক্রমশ ক্ষীণ থেকে ক্ষীণতম হতে থাকে পরিবর্তে বাড়তে থাকে ভার্চুয়াল বন্ধুত্ব। যতক্ষণ পর্যন্ত এটি সারাদিনে মাঝেমধ্যে  রিলাক্সেশনের  একটি সদুপায় বলে ভাবা হচ্ছে ততক্ষণ ঠিক আছে কিন্তু যখনই তা আসক্তির পর্যায়ে চলে যাচ্ছে,  সর্বনাশের কারন ঘটতে দেরি হচ্ছে না। নৌকোর ফুটো দিয়ে হু হু করে ঢুকে পড়ছে বেনোজল। সবকিছু ধুয়েমুছে সাফ করে নিয়ে যাওয়ার আগে তাকে আটকানোর কোনো উপায় থাকছে না। থাকবে কিকরে, রোগের সিম্পটম বোঝা গেলে তবে তো অসুখ সারানোর কথা আসবে।
তবে কিনা নেশা বলে কথা!  মুঝে তো তেরি লত্ লাগ গ্যয়ী... জমানা তাকে যতই গলত বলুক না কেন, আমি মোট্টে ছাড়ছি না। চেটেপুটে যতটা নেওয়া যায় ততটাই রস নিয়েই ছাড়ব। এই যে ইনবক্স, তা আছে কী করতে?  ভালোবাসার বন্যায় এক বা একাধিক পাবলিককে ভাসিয়ে দেবার জন্যই তো? একই সঙ্গে কতজনের সাথে প্রেম থুরি বন্ধুত্ব করতে পারা যায়, এ বুঝি সামান্য সুবিধা?  পেয়েছিল আমাদের বাবা মায়েরা এমন সুবিধা?  আমি বাপু পাচ্ছি।  আবার যদি দেখি বনিবনা হচ্ছে না, তাহলেও ইনবক্সই ভরসা। জয় মা কালি, কলকাত্তাবালী বলে বেজায় এক পেন্নাম ঠুকে দাও তার নামে কুৎসা রটিয়ে ইনবক্সে ইনবক্সে। আরেবাবা, কিছু মনের কথা তো হয়েছিল বন্ধু থাকার সময় নাকি?  মন খুলে কিছু গোপন কথা কি বলে নি?  ব্যস, আর কী চাই?  একটু এদিকওদিক করে, সামান্য পেইন্ট চড়িয়ে,  মোটা সরু দাগের স্কেচ করে ছড়িয়ে দাও আর চুপটি করে বোসো। দেখোই না কী হয় শেষপর্যন্ত।  তোমাকে তো আর কেউ জেরা করতে আসবে না। আর যদি আসেও ততদিনে খবরের রংচং অ্যায়সা বদলে গেছে যে অনায়াসেই বলিনি বলে মুখ মুছে ভাল মানুষের মতো ঝাঁকের কই এই ঝাঁকে নেহি তো ওই ঝাঁকে মিশে যেতেই পার।   আর ভগবানের কৃপায় শিকার যদি  কোনো মেয়েছেলে হয়, তাহলে তো সোনায় সোহাগা। বেশ রসালো খবর হয়ে ঘুরবে ফেসবুকের কানে কানে। নাও না,  কত মজা নেবে নাও। সারাদিন কেন আগামী কয়েকজন্মের খোরাক হয়ে যাবে বেঁচে থাকার। কিন্তু পুরুষ বিহনে যে মেয়েদের কলঙ্ক রচিত হতে পারেনা, সে কথাটা আর না তোলাই ভালো, ওটা মুর্খদের কাজ। হাজার হোক ফেসবুক হল গিয়ে, ওই যে,  তোমরা কীসব বলো না,   বিনোদনের জায়গা। 


          সাধে কী আর আমি জুকুদাদার এত্ত বড় ফ্যান? জুকুদাদা স্বীকার না পেলে তালপাতার পাখা হতেও রাজি আছি। তবু সঙ্গ ছাড়ছি না। এই যে কিছুদিন আগে এক ভদ্রলোক বললেন, মেয়েদের পঁয়তাল্লিশ হওয়ার আগেই নাকি যা গুছোবার গুছিয়ে নিতে হয়। তারপর তো আর পুরুষলোকে তাকে বাঁ হাত দিয়েও ছুঁয়ে দেখবে না। ওমা, কথা শুনে কোথা লুকোবো তারে ভেবে ভেবেই হয়রান হলাম।  ভাগ্যি কপাল করে এ যুগে জন্মেছিলাম আর ফেসবুকটাও করতে এসেছিলাম তাই তো এমন সত্যি কথাগুলো জানতে পারলাম। মা কালির দিব্যি একটুও বাড়িয়ে বলছি নাকো, এরপরেও জুকুদাদার পেরেমে পড়ব না? এমন সব অজানা তথ্য মগজে গজাল পুঁতে জানিয়ে দিচ্ছে যে তার প্রেমেই তো পড়ে থাকতে হয় কিনা?   পাঠকই বলুক। একজনকে জানতাম, তিনি আবার একজনের কথা অন্যের কাছে বলে ভারি সুখ নিতেন জিভের। তারপর দুপুরের খাবার খেয়ে তোফা ঘুম দিতেন। ঘুম থেকে উঠে চোঁয়া ঢেঁকুর তুলতে তুলতে  দেখতেন সকালে লাগানো চিঙ্গারিতে কেমন  ধোঁয়ায় ধোঁয়া চারদিক। তিনিও নিশ্চিন্ত।  আহা, বেঁচে থাকুক এমন কুটিরশিল্প।   বেঁচে থাকুক নেশারুদের ফেসবুক। এই তো সেদিন শুনলাম, আমার পোস্টে বন্ধুদের সাথে করা আমার খুনসুটি বা ভালোবাসাবাসি লুকিয়ে লুকিয়ে পড়ে একজন ( ভদ্রলোক বা ভদ্রমহিলা,  তা জানিনা) আমারই এক বন্ধুর কাছে নাকি বেজায় হাসাহাসি করেছেন !!  কেই বা করলেন, কেনই বা করলেন, তা স্বয়ং ঈশ্বরই জানেন আর জানেন তিনি। আমার বন্ধুটি এ ব্যাপারে মুখে কুলুপ এঁটেছেন তার সাথে বন্ধুত্ব হারাবার ভয়ে। তা বেশ, যা করেছেন বেশ করেছেন।মেয়েলোকের আবার এত এত ফূর্তি কিসের শুনি? শরম হায়া নেই? নাহয় দুকলম লিখতে পারে(আরে আরে, লিখতে পারার কথাটা আমার না, একেবারেই আমার না। ওটা আমার বিলকুলই আসে না) তাই বলে কমেন্ট সেকশানে পুরুষ বন্ধুদের সাথে  কথা  চালাচালি করতে হবে?  ছ্যা ছ্যা ছ্যা। মেয়েমানুষ মেয়েমানুষের মতো থাকবে কোথায় তা নয়, যত্তসব অসৈরণ। উনি হেসেছেন বেশ করেছেন। হাসবারই কথা বটে।যা পুরুষলোককে মানায় তা মেয়েলোককেও মানায় বুঝি? ওনার হাসি নিয়ে আমার বিন্দুমাত্র মাথাব্যথা নেই।  তাছাড়া পিঠপিছে হাসাহাসি করাটা তো অসাংবিধানিক কিছু না।তবু আমি বিষয়টা নিয়ে এলাম আলোচনায় এজন্য যে কতরকমের খোরাক যে ফেসবুকে ছড়িয়ে আছে, সেটা দেখানো যাবে। কিন্তু এতে করে যা স্পষ্ট হল তা হল ফেসবুক ব্যবহারের আধুনিকতা এখনও মোটেও সর্বত্রগামী হয়ে উঠতে পারে নি।যুগ যুগ ধরে প্রবাহিত পিতৃতান্ত্রিক সংকীর্ণতা কাটিয়ে ওঠা এতই সহজও নয়।  তিনিও  তো জানলেন না আমিও তার পিঠপিছে কত খিল্লি করে গেলাম। আমিও কি কম ইয়ে  নাকি?  


     আরেক ধরনের গা জ্বালানো প্রজাতি হল গায়ে পড়া প্রজাতি। এরা কোনো লেখা পোস্ট করেই ইনবক্সে দৌড়ে এসে সেটা পড়তে হুকুম করবেন।  তা না হয় পড়া গেল। পড়েটড়ে জানানো গেল পড়লাম। কিন্তু তাতে হবে নাকো। রীতিমতো পোস্টে গিয়ে লাইক এবং কমেন্ট করার জন্য ঝুলোঝুলি করতে থাকবেন। যদি সাড়া না দিই অভিমানের বন্যায় আমার ঠিকানা সুদ্ধু ভাসিয়ে নিয়ে যাবেন এমন পণ করে বসে থাকেন। আরে বাবা, লেখা ভালো হলে এমনিতেই তো মানুষ পড়বে। লাইকও দেবে। ভালোলাগা জানিয়ে আসবে। তবে কেন এমন ভিক্ষাবৃত্তি? স্বাভাবিকভাবেই আমি যাই না। ইচ্ছেই করে না। মেসেজ দেখে চুপ করে বসে থাকি। আরেবাবা, আমিও কম খুস্সট নাকি? মনে মনে বলি আমার কোনো পোস্টে তো বাবা তোমার চুলের সিকিভাগটাও দেখি না কোনোদিন। কোন্ লজ্জায় বলতে আসো তোমারটা দেখার জন্য?  তাদের পোস্টে দুশো পাঁচশো লাইক দেখলে মনে মনে মুচকি হাসি। কারন আমি তো জেনে গেছি এর সিক্রেটটা কী।  ব্যতিক্রম কি নেই? আছে। যারা নিজের লেখার জোরেই সম্ভ্রম আদায় করে নেন। তবে হ্যাঁ, যারা আমার পোস্টের ভালো এবং মন্দ নিয়ে মাথা ঘামায় তাদের জন্য আমার এ রুল না। সেখানে একবার বললেই আমি দৌড়ে যাই। বরং বলতে হল বলে আমিই নিজের কাছে নিজে লজ্জায় মরে থাকি। পরেরবার সতর্ক থাকব বলে নিজেই নিজের কান মুলতে থাকি বারবার। 


         একটা নিকষ অন্ধকার ঘরে যদি কাউকে রেখে দেওয়া যায়, সে চারদিকে অন্ধকারই দেখবে, এ নিয়ে কোনো তর্ক চলে না। কত সময় দেখি কত সামান্য বিষয় নিয়েও মানুষকে যুযুধান হতে।  সীমাহীন কাদা ছোঁড়াছুঁড়ি করতে।কেউ কারো মুখোমুখি দাঁড়াচ্ছে না বলেই কি এ হৃদয়হীনতা? বুঝি না।  মন খারাপ হয়। বন্ধুরা বলেন, এরা বাচ্চাদের মতো ঝগড়া করছে। কিন্তু শিশুরা কি নিজেদের মত প্রতিষ্ঠার জন্য নোংরা ভাষায় আক্রমন করতে পারে?  শিশুদের সাথে এই ধরনের মানুষের তুলনা কি কোনোভাবে চলে?  পৃথিবী এখনও যেটুকু পবিত্র আছে তা আছে শুধুমাত্র ফুলের মতো পবিত্র শিশুদের জন্য। ফেসবুকে আসি কবিতা বা লেখালিখি পড়ার জন্য। কী অসামান্য মেধা সেসব লেখায়।নাই বা পেল তারা লাইক, কমেন্টের বৈভব। নাহয় পড়ে রইল অনাথ শিশুটির মতো ধূলিমলিন, তবুও তার হাসিটি তো অকৃত্রিম।  সেখানে বিভাবরী জাগরণেই যায়, হাই তুলতে তুলতে ঘুমিয়ে পড়ে না।  লাইক কমেন্ট প্রত্যাশী কবিদের লেখা সসম্মানে এড়িয়ে গেলেও, এই সমস্ত লেখার সামনে নত হওয়া ছাড়া দ্বিতীয় কোনো অপশন থাকে না। হাজার অন্ধকারের মধ্যে এটুকুই তো আলো। 


       ফেসবুক শেষপর্যন্ত মুখ না বই নাকি সবমিলিয়ে একটা ভজকট জগাখিচুড়ি,  তা নিয়ে আগামী দিনে অন্য কোনো কলম মুখ খুলুক। আমি আপাতত এখানেই থামলাম।

1 টি মন্তব্য:

Featured post

সোনালী মিত্র