প্রতিমা শিল্পী
পাটের সুতোলি বাম হাতে ধ'রে ডান হাত দিয়ে জোরসে টেনে -টেনে প্যাঁচ দিয়ে বাঁধছে কাঠামোর খড়ে । সুতোর টানে মৃদু কোঁ কোঁ শব্দ উঠছে । কতক্ষণ কে জানে , খড়খড়ে বাঁশের কাঠামো মুছে গিয়ে অবশেষে একটা অবয়ব এলো । শনি-মন্দিরের পাশে বকুল গাছের নিচে যেমনটি রোদ-বৃষ্টি মাথায় নিয়ে গত বছরের অথর্ব ঈশ্বরেরা প'ড়ে থাকেন খড়ের কাঠামো নিয়ে , ঠিক তেমনিভাবে তার পাশে এখন নতুন ঈশ্বরী । কিছুদিন এভাবে বিশ্রাম নেবেন অর্ধঈশ্বরী । এখনও তাঁর গতর গঠিত হয়নি রক্তে-মাংসে , চোখ গঠিত হয়নি , অতএব ঈশ্বরীর দেখার প্রশ্ন নেই বলেই মৃৎশিল্পী হরেন ক্লান্তিতে কখন যে তাঁর বুকে মাথা রেখে ঘুমিয়ে পড়েন , নিজেই জানে না । অর্ধঈশ্বরী ভাবতে থাকেন যে , তাঁর বুকে মাথা রেখে যিনি ঘুমিয়ে আছেন হয়তো তিনি দেবীর স্রষ্টা , না-হয় দেবতা !
হরেন পাল খড়ের অবয়বে প্রথম পলিমাটি চাপিয়েছেন । তারপরে ঈশ্বরীকে রোদের নিচে রেখে দিয়েছেন পরিবেশের উত্তাপের সঙ্গে মানিয়ে নেওয়ার জন্য । হরেন মনে মনে বলেনঃ দু'তিনদিন রোদে পুড়ে পুষ্ট হয়ে ওঠো মেয়ে , সামনে শুক্কুরবারে দ্বিতীয় পোঁচ পড়লে গায়ে-গতরে দিব্যি হয়ে উঠবি । তখন তোর দিক থেকে চোখ ফেরাই এমন সুমুন্দির বাচ্চা কেডা আছে !
শুক্রবারে দ্বিতীয় মাটির প্রলেপ পড়ে শরীরে । বাঁশের ছুরি দিয়ে শরীরের অতিরিক্ত মেদ ঝরিয়ে ফেলতে থাকেন হরেন । আরও নিটোল হতে হবে , আরও আরও শ্রীময়ী হতে হবে তোকে ! কোমর একটু ঝুঁকে আছে কেন ডান দিকে ? ছুরি দিয়ে সার্জারি করার পরে হরেন স্থির তাকিয়ে থাকেন , নাহ্ , তেমন শিল্প হচ্ছে কই ? নিজের কাজের প্রতি নিজেই প্রশ্ন তোলেন । দরজা বন্ধ করে সামনে দাঁড়িয়ে আছেন হেমাঙ্গি । সদ্য তিনশো টাকা মাসির হাতে দিয়ে তবেই পেয়েছে স্বর্গে প্রবেশের অধিকার । হেমাঙ্গি ব্লাউজ খুলতে খুলতে সামনে এসে বলেছিলেনঃ 'ঠাই টেঁকিয়ে আছ কেন গা , ঢের কাস্টমর রয়েচে , আর দেরি কোরো না , ৮- ৪৫ এর বনগাঁ নোকাল ধরতি হবে ।' হরেন চোখ বন্ধ করে ফেলেন , আবার ছুরি চালাতে থাকেন - চালাতে থাকেন --
নারীর কোমরের নিচ থেকে অন্ধকার অঞ্চলের রাজত্ব শুরু । বাম পা'টাকে একটু সামনের দিকে ডান পায়ের ওপর ঠেলে দেয় হরেন , জানু প্রদেশে আরও একটু মাটি চাপিয়ে দেয় । হেমাঙ্গি সায়া পরার আগের মুহূর্ত কি এভাবেই দাঁড়িয়ে ছিলেন ? ভাবতে চেষ্টা করেন হরেন......
কোমর থেকে যত উপরের দিকে উঠতে থাকে ছুরি , ততই নিজের থেকে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলেন হরেন । নাভির নিখুঁত খাদ আঁকতে গিয়ে - (তাকিয়ে দ্যাকছ কী , মনে-হয় কোনদিন মেয়েমানুষ দ্যাকুনি , হেমাঙ্গির ঝাঁঝালো কণ্ঠ ভেসে আসে ) নাভিকে সামান্য ভাসিরে রাখে নিম্ন পেটে । হরেনের শরীর ক্রমশ শক্ত হয়ে উঠতে থাকে , সারা শরীরের শক্তি নিচের দিকে বয়ে যাচ্ছে বলেই হয়তো তলপেটে চিনচিনে একটা ব্যথা অনুভব করছে ।
বাঁশের ছুরি যত বুকের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে ততই মাটি চাঁচার গতি বৃদ্ধি পাচ্ছে হরেনের । হেমাঙ্গি ঝুঁকে পড়েছেন হরেনের দিকে । হরেনের চোখের সামনে হেমাঙ্গির দু'টি চেরি ফল অদ্ভুত একাগ্র ভঙ্গীতে ঝুলে রয়েছে , যেন ডাকছে আয় , আয় , টকমিষ্টি স্বাদের জগতে ...
আরও আরও নিখুঁত , আরও পারদর্শিতায় ছুরি চালাতে থাকেন হরেন । চালাতে থাকেন হরেন । একবার ডান দিকের চেরি , একবার বা দিকের চেরিতে বাঁশ-ছুরির ফলা , হেমাঙ্গি গোঙানি স্বরে বলে ওঠেন - আরও নিখুঁত হরেন , আরও নিখুঁত ।
যেমন হেমাঙ্গির দুই নিখুঁত চেরির উপর হাবলে পড়ে কলকাতার শরীরী কারিগর ..
হরেন পাল খড়ের অবয়বে প্রথম পলিমাটি চাপিয়েছেন । তারপরে ঈশ্বরীকে রোদের নিচে রেখে দিয়েছেন পরিবেশের উত্তাপের সঙ্গে মানিয়ে নেওয়ার জন্য । হরেন মনে মনে বলেনঃ দু'তিনদিন রোদে পুড়ে পুষ্ট হয়ে ওঠো মেয়ে , সামনে শুক্কুরবারে দ্বিতীয় পোঁচ পড়লে গায়ে-গতরে দিব্যি হয়ে উঠবি । তখন তোর দিক থেকে চোখ ফেরাই এমন সুমুন্দির বাচ্চা কেডা আছে !
শুক্রবারে দ্বিতীয় মাটির প্রলেপ পড়ে শরীরে । বাঁশের ছুরি দিয়ে শরীরের অতিরিক্ত মেদ ঝরিয়ে ফেলতে থাকেন হরেন । আরও নিটোল হতে হবে , আরও আরও শ্রীময়ী হতে হবে তোকে ! কোমর একটু ঝুঁকে আছে কেন ডান দিকে ? ছুরি দিয়ে সার্জারি করার পরে হরেন স্থির তাকিয়ে থাকেন , নাহ্ , তেমন শিল্প হচ্ছে কই ? নিজের কাজের প্রতি নিজেই প্রশ্ন তোলেন । দরজা বন্ধ করে সামনে দাঁড়িয়ে আছেন হেমাঙ্গি । সদ্য তিনশো টাকা মাসির হাতে দিয়ে তবেই পেয়েছে স্বর্গে প্রবেশের অধিকার । হেমাঙ্গি ব্লাউজ খুলতে খুলতে সামনে এসে বলেছিলেনঃ 'ঠাই টেঁকিয়ে আছ কেন গা , ঢের কাস্টমর রয়েচে , আর দেরি কোরো না , ৮- ৪৫ এর বনগাঁ নোকাল ধরতি হবে ।' হরেন চোখ বন্ধ করে ফেলেন , আবার ছুরি চালাতে থাকেন - চালাতে থাকেন --
নারীর কোমরের নিচ থেকে অন্ধকার অঞ্চলের রাজত্ব শুরু । বাম পা'টাকে একটু সামনের দিকে ডান পায়ের ওপর ঠেলে দেয় হরেন , জানু প্রদেশে আরও একটু মাটি চাপিয়ে দেয় । হেমাঙ্গি সায়া পরার আগের মুহূর্ত কি এভাবেই দাঁড়িয়ে ছিলেন ? ভাবতে চেষ্টা করেন হরেন......
কোমর থেকে যত উপরের দিকে উঠতে থাকে ছুরি , ততই নিজের থেকে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলেন হরেন । নাভির নিখুঁত খাদ আঁকতে গিয়ে - (তাকিয়ে দ্যাকছ কী , মনে-হয় কোনদিন মেয়েমানুষ দ্যাকুনি , হেমাঙ্গির ঝাঁঝালো কণ্ঠ ভেসে আসে ) নাভিকে সামান্য ভাসিরে রাখে নিম্ন পেটে । হরেনের শরীর ক্রমশ শক্ত হয়ে উঠতে থাকে , সারা শরীরের শক্তি নিচের দিকে বয়ে যাচ্ছে বলেই হয়তো তলপেটে চিনচিনে একটা ব্যথা অনুভব করছে ।
বাঁশের ছুরি যত বুকের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে ততই মাটি চাঁচার গতি বৃদ্ধি পাচ্ছে হরেনের । হেমাঙ্গি ঝুঁকে পড়েছেন হরেনের দিকে । হরেনের চোখের সামনে হেমাঙ্গির দু'টি চেরি ফল অদ্ভুত একাগ্র ভঙ্গীতে ঝুলে রয়েছে , যেন ডাকছে আয় , আয় , টকমিষ্টি স্বাদের জগতে ...
আরও আরও নিখুঁত , আরও পারদর্শিতায় ছুরি চালাতে থাকেন হরেন । চালাতে থাকেন হরেন । একবার ডান দিকের চেরি , একবার বা দিকের চেরিতে বাঁশ-ছুরির ফলা , হেমাঙ্গি গোঙানি স্বরে বলে ওঠেন - আরও নিখুঁত হরেন , আরও নিখুঁত ।
যেমন হেমাঙ্গির দুই নিখুঁত চেরির উপর হাবলে পড়ে কলকাতার শরীরী কারিগর ..
..
সুচিন্তিত মতামত দিন