মাতৃপক্ষ
আজকেই তো কলকাতায় ফেরার কথা পল্লবের । মাত্র তিনদিনের ছুটি । রাইদের বাড়িতে দুর্গাপুজোর নেমন্তন্ন । বনেদি বাড়ির পুজো । রাই পল্লবের ফেসবুক বন্ধু । তাও অনেক দিনের । একটা ইংলিশ মিডিয়াম স্কুলে পড়ায় । মাঝে দেখা হয়েছিল মাত্র একবার কলকাতা বইমেলায় । স্লিম চেহারার রাইকে দেখার পর থেকেই রাইয়ের প্রেমে সে পাগল হয়েছিল । তারপর আজ দেখা হবে । রাই হাওড়া স্টেশান থেকে নিয়ে যাবে ।
পল্লব ভুবনেশ্বরে একটি মাল্টি ন্যাশনাল কোম্পানীতে আছে । মেদিনীপুরের ছেলে । অন্যান্য বার পুজোর ছুটিতে গ্রামের বাড়িতে থাকে । এইবার রাইদের বাড়িতে থাকবে দুটো দিন । এখন পল্লব আর রাই দুজনে দু'জনকে ভালোবাসে । পরস্পর পরস্পকে প্রচন্ড চায় । পল্লব চেয়েছিল লজ বা হোটেলে দুটোদিন থাকবে । রাই-এর হবে না । রাই বলেছিল , আমাদের বাড়িতেই চলে এসো । বাবা-মাও তোমাকে দেখবে আর তুমিও বনেদি বাড়ির পুজো দেখবে । তাছাড়া তুমি যেটা চাও তা তো আমিও চাইছি সোনা--- হয়ে যাবে । আমি ম্যনেজ করে নেব ।
স্টেশনে নির্দিষ্ট জায়গায় রাই দাঁড়িয়ে ছিল । পল্লবকে নিয়ে ট্যাক্সিতে সোজা উত্তর কলকাতার বাড়ি । পথে পথে পুজো প্যান্ডেল । মানুষের ঢল । মন্ত্রোচ্চারণ । এতদিন পর রাইকে কাছে পেয়ে খুব খুশি পল্লব । ট্যাক্সির পেছনে বসে রাইয়ের হাতটা টেনে নিল নিজের বুকের কাছে । রাই আপত্তি করল না ।সারাটা পথ পল্লব রাইয়ের হাত ছাড়ল না ।
২
বাড়ির তিনতলায় পল্লবের থাকার জায়গা হয়েছে । এইটে আগে রাইয়ের পড়ার ঘর ছিল । টেবিল-চেয়ার আলনা সিঙ্গেল খাট সব-ই আছে , সঙ্গে এটাচ্ বাথরুম । কোনো সমস্যাই হবে না পল্লবের । রাই বললে , তুমি বাথরুমে গিয়ে ফ্রেশ হয়ে নাও । একটু পরেই আমি আসছি ।
পল্লব জানালা খুলে দেখল বেশ পুরনো বাড়ি । অনেকটা জায়গা জুড়ে । তবে লোকজন বেশি থাকে না । বাড়ির পেছন দিকটা আগাছায় ভরে গেছে । রাই বলেছিল বটে যে রাইদের ফ্যামিলি আর অকৃতদার বড় জ্যাঠামশাই থাকেন । অন্য সদস্যরা বাইরে থাকলেও পুজোর সময় একত্রিত হন ।
এখানে এসে বেশ ভালোই লাগল পল্লবের । ধুনোর গন্ধ আসছে । কিছুক্ষণ পর অষ্টমীর অঞ্জলি । বলি হবে । এই বলিতেই খুব আপত্তি পল্লবের । পথে আসতে আসতে বলেছিল , বলি হবে জানলে যেতাম না । বলি আমি সহ্য করতে পারি না । এগুলো বন্ধ হওয়া দরকার । রাই বলেছিল , দুশো বছরের প্রাচীন পুজো । বলি বন্ধ হবে না । অনেক বলেছি আগে , কাজ হয়নি । ঠিক আছে বলির সময় পুজোর ওখানে তোমায় থাকতে হবে না । ঘরেই থেকো ।
ফ্রেশ হয়ে নিলো পল্লব । সাদা পাঞ্জাবি-পাজামা পরে জানালার কাছে দাঁড়িয়ে সিগারেট ধরাল একটা । ঠিক তখনি রাই-এর আবির্ভাব । একটা কাঁসার থালায় লুচি তরকারি পায়েস আর মিষ্টি নিয়ে ।
৩
বেশ জোরে জোরে ঢাক বাজছে । কাঁসর-ঘন্টা । ধূপ-ধুনো-ফুলের মিলিত গন্ধে রাইদের বাড়িটাতে এক অলৌকিক পরিবেশের আবহ তৈরী হয়েছে । আরেটু পরেই বলি শুরু হবে । একটা কচি পাঁঠার ডাক নিরন্তর শোনা যাচ্ছে । ভেতরে ভেতরে খুব কষ্ট পাচ্ছে পল্লব । সে ঘরের মধ্যে পায়চারি করতে থাকে ।
--এই তো রাই চলে এসেছ, আমার খুব অস্বস্তি হচ্ছিল ।
-- কেন ? কী হয়েছে ? জানতে চাইল রাই ।
--বলি হচ্ছে ।
--সেজন্য-ই তো চলে এলাম ওপরে । আমিও বলির সময় থাকি না । তাছাড়া এখন কেউ ওপরে আসবে না , বলে দরজার ছিটকিনিটা তুলে দিলো । রাইয়ের চোখে দুষ্টুমির চাহুনী। কীসের একটা নেশা যেন । পল্লব তাকিয়ে থাকল । এক- পা দু-পা করে সামনে এগিয়ে গেল ।
--আরে চুপ করে দাঁড়িয়ে থাকবে নাকি ? এই যে পরশু রাতেই বললে , আমাকে কাছে পেলেই নাকি তুমি হিংস্র বাঘের মতো ছিঁড়ে ফেলবে ।
একটু যেন লজ্জা পেল পল্লব । --না আ আ, হ্যাঁ এ এ মানে বলছিলাম...
কিছু বলতে হবে না । কেবল আদর চাই আমার । বলেই বিছানায় শুইয়ে দিলো রাই পল্লবকে । তারপর চুমুতে ভরিয়ে দিলো পল্লবের গাল । এইবার পল্লব সাময়িক জড়তা কাটিয়ে উঠল । নতুন শাড়ি আর পারফিউমের গন্ধে ওর সেক্স জেগে উঠতে চাইছে । কাপড় সরিয়ে রাইয়ের স্তনে এলোমেলো মুখ ঘষতে থাকে । রাইয়ের গায়ের গন্ধটা টেনে নিতে থাকে । পল্লবের দুই হাতের মুঠোয় তখন অমৃতকলস দ্বয় । রাই বলতে থাকে এভাবে নয় , আগে ব্লাউজটা খুলবে তো ।বলে নিজেই ব্লাউজটা খুলে ফেলে । ব্রা-র হুকটা খুলে হিংস্র বাঘের মতো ঝাঁপিয়ে পড়ে পল্লব ।
বাইরে জোরো জোরে ঢাক বাজতে থাকে । ভেতরে রাইয়ের শীৎকার আরো পাগল করে তোলে পল্লবকে । সে বেশ কিছুক্ষণ ডুবে থাকে রাইয়ের সঙ্গে শরীরী খেলায় । রাই এবার বলতে থাকে -- পারছি না । প্লিজ , পল্লব প্লিজ...
পল্লব পাজামার দড়ি খোলে । কিন্তু ঘামতে থাকে । প্রবল ভাবে ঘামতে থাকে । কিছুতেই ওর পুরুষাঙ্গ জাগছে না । রাই উত্তেজনার চূড়ান্তে । বলতে থাকে , ওহ্ পল্লব , প্লিজ...বলে পল্লবের পৌরুষাঙ্গে হাত রাখে । সঙ্গে সঙ্গে ছিটকে নিজেকে সরিয়ে নেয় । উঠে বসে । ঝড় শেষের বিধ্বস্ত গাছের মতো । অবাক বিস্ময়ে বললে , এত কিছুর পরেও ওটা জাগল না ! আশ্চর্য !! অথচ রোজ রাতে তুমি যখন ফোনে সেক্স করতে তখন কীভাবে ... ? নাকি তোমার কোনো সমস্যা আছে ?
-- বুঝতে পারছি না রাই । আমার কেমন যেন নার্ভাস লাগছে । ধ্যুউস কিছুতেই জাগছে না । বলে লজ্জায় যেন মাটিতে মিশে যেতে থাকে ।
বাইরে আরো জোরে ঢাক বাজছে । বেজেই চলছে । পাঁঠাটার আওয়াজ শেষ বার হয়ে থেমে গেল । সবাই চিৎকার করে উঠল । জয়ধ্বনি হল । রাই বললে , বলি হয়ে গেল । উঠি এবার । বলে উঠতে গেল ।
'প্লিজ যেও না 'বলে পল্লব রাইকে কাছে টেনে নিজের মুখ রাখল তার বুকে । রাই পল্লবকে আরো কাছে টেনে নিলো । কেমন যেন কষ্ট হল । মায়া হল । নিজের অজান্তেই হাত বোলাতে থাকল পল্লবের মাথায় । এখন পল্লব রাইয়ের শরীর থেকে একটা মা মা গন্ধ পাচ্ছে । সে দু-হাত দিয়ে আরো শক্ত করে রাইকে জড়িয়ে ধরে
ভালো লাগলো
উত্তরমুছুন