দেবীদুর্গা, দুর্গাপূজা ও একটি দিব্য সংখ্যা- '৯' !
প্রকৃতির সাথে নিজস্ব মাহাত্ম্য নিয়ে অদ্ভুতভাবে জুড়ে আছে 'সংখ্যা' । ধর্মের বিভিন্ন ধারা ও মতানুযায়ী কিছু কিছু সংখ্যার বৈশিষ্ট্য অপরিসীম। হিন্দুধর্ম মতে ৫,৭,৯,১০,১১,৫১,১০৮ ইত্যাদি সংখ্যা উল্লেখনীয়, আরবি অক্ষরের মানের হিসাবে “বিসমিল্লাহির রহমানির রহীম” এর যে সংখ্যা বা মান নির্ধারণ করা হয়েছে তা হলো '৭৮৬'। খৃস্টানরা ১৩, ৬৬৬ অশুভ শক্তির সংখ্যা বলে বিশ্বাস করেন আবার সূর্যের আলোর বা রামধনুর সাতটি রঙের সাথে সম্পৃক্ত '৭' সংখ্যাটিকে কে শুভ বলে মনে করেন। জগতের প্রায় সকল কর্মকাণ্ডই 'সংখ্যা' দ্বারা নিয়ন্ত্রিত এমন বিশ্বাস সভ্যতার বিকাশের সাথে সাথে মানুষ মনে গড়ে উঠেছে ।
আমাদের আজকের আলোচ্য বিষয় দেবীদুর্গা ও দুর্গা পূজার সাথে মূলত '৯' সংখ্যাটির ভূমিকা । প্রসঙ্গক্রমে দুর্গাপূজা ছাড়াও এই '৯' সংখ্যাটির কিছু বিশেষত্ব অন্যভাবেও বিচার করা যাক। হিন্দুমতে বিশ্বাস করা হয় '৯' সংখ্যাটি ব্রহ্ম ।এটি শুধু প্রচলিত মনের বিশ্বাসই নয় এতে আছে গাণিতিক বিশ্লেষণও। বাংলা ভাষার বর্ণমালার অক্ষরের সাংখ্যিক স্পন্দন অনুসারে, ব্রহ্ম= ব+র+হ+ম= ২৩+২৭+৩৩+২৫= ১০৮ (১+০+৮) = ৯ । গাণিতিক বিশ্লেষণ ছাড়াও আয়ুর্বেদ ও যোগ বিশ্লেষণেও প্রমাণিত হয় ৯ এর বিশেষত্ব। মানবদেহে যেমন মোট ১০৮টি পথ ধরে চালিকাশক্তি এসে হৃদপিণ্ডকে সচল রাখে ঠিক তেমনই মানব শরীরে আছে 'নবদ্বার', দেহস্থ ৯টি ছিদ্র । দুই চক্ষু, দুই কর্ণ, দুই নাসারন্ধ্র, মুখ, পায়ু ও উপস্থ। মানবদেহের অবসানকালে, প্রাণ এই নবদ্বারের যে কোন একটা দ্বার থেকে নির্গত হয়।
'৯' সংখ্যাটির সাথে সংশ্লিষ্ট হয়ে আছে নবগ্রহ (পৌরাণিক) (সূর্য, চন্দ্র, মঙ্গল,বুধ, বৃহস্পতি, শুক্র, শনি, রাহু, কেতু), নবরত্ন (ধন্বন্তরি, ক্ষপণক, অমরসিংহ,শঙ্কু, বেতালভট্ট, ঘটকর্পর, কালিদাস,বরাহমিহির, বররুচি), নবরস (আদি বা শৃঙ্গার, হাস্য, করুণ, রৌদ্র, বীর, ভয়ানক, বীভৎস, অদ্ভুত,শান্ত), নবগুণ (আচার, বিনয়, বিদ্যা, প্রতিষ্ঠা,তীর্থদর্শন, নিষ্ঠা, আবৃত্তি, তপ, দান), নবশাখ (তাঁতি, মালাকার, সদগোপ,নাপিত, বারুই, কামার, কুমোর, তিলি, ময়রা), রামচরিতমানস ৯ দিনে পাঠ সম্পূর্ণ করতে হয়, যাকে 'নবাহ্ন পরায়ণ' বলা হয়। 'সত্য, শৌচ, অহিংসা, ক্ষম, দান, দয়া, দম, অস্তেয়, ইন্দ্ৰিয়নিগ্ৰহ এই ৯টি ধর্ম গৃহস্থ ব্যক্তির স্বর্গের সোপানস্বরূপ বলে মানা হয়। শ্রী চক্র যন্ত্রে ৫৪টি করে পুরুষ ও প্রকৃতির সৃষ্টির মিলন হিসাবে দেখা হয়। নারায়ণ পূজায় থাকে ১০৮টি তুলসীপাতা, জপমালাতে ১০৮টি মনকা, হিন্দু দেবতাদের অষ্টোওর শতনাম। চার যুগ অর্থাৎ সত্য যুগ, ত্রেতা যুগ, দ্বাপর যুগ, কলি যুগের বয়সের মোট পরিমাণ ৪৩,২০,০০০ বছর...অর্থাৎ যার সমষ্টিগত যোগফল সংখ্যা '৯' ।
-২-
এবার আসি আলোচ্য বিষয় দুর্গা ও দুর্গাপূজার সাথে এই (১+০+৮) = ৯ ও ৯ সংখ্যাটির উপস্থিতি ও বিশ্লেষণে । শারদীয় দুর্গোৎসবের সূত্রকার হিসাবে সত্যযুগের পর ত্রেতাযুগে শ্রীরামচন্দ্রের নাম সর্বজনবিদিত। সীতা উদ্ধার কামনায় শরৎকালে দেবী দুর্গাপূজা করেছিলেন শ্রীরামচন্দ্র। পূজা অকালে অনুষ্ঠিত হয়। বোধন পূজার মাধ্যমে নিদ্রিতা দেবীকে জাগরিত করতে হয়। পৌরাণিক মান্যতা অনুসারে শরৎকালে দেবদেবীরা নিদ্রিত থাকেন। শ্রীরামচন্দ্র অসময়ে দেবীকে জাগ্রত করে পূজা করেছিলেন বলে এই পূজাকে ‘অকালবোধন’ বলা হয়। শারদীয় দুর্গা উৎসব পালনের মধ্য দিয়ে অশুভ শক্তিকে নিঃশেষ করে শুভশক্তির উদয় হয়।
দেবীদুর্গা ও দুর্গাপূজায় (১+০+৮) = ৯ ও '৯' সংখ্যাটির উপস্থিতি অনস্বীকার্য । দেবী দুর্গার ১০৮ টি নাম, দুর্গাপূজায় প্রয়োজন হয় ১০৮ টি পদ্ম , ১০৮টি বেলপাতার মালা, সন্ধিপূজায় প্রজ্বলিত হয় ১০৮টি প্রদীপ । দেখা যায় এই '৯' সংখ্যাটির অনুষঙ্গ দেবীদুর্গা ও দুর্গা পূজার সাথে আশ্চর্য ভাবে জড়িয়ে আছে ও নানা প্রথায় এই সংখ্যাটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
'নবরাত্রি'
রাবণবধ ও সীতা উদ্ধারের জন্য রামচন্দ্র দুর্গতিনাশিনী দুর্গার অকালবোধন করে নবরাত্র ব্রত পালন করেছিলেন। নবরাত্র ব্রত আশ্বিনের শুক্লা প্রতিপদ থেকে নবমী পর্যন্ত হয় । মা দুর্গা এই সময় অর্থাৎ আশ্বিনের শুক্লা প্রতিপদ তিথি থেকে নবমী অবধি মোট ন'দিন নয়টি রূপ ধারণ করেন। পিতামহ ব্রহ্মা দেবীর এই নয়টি রূপের নামকরণ করেছিলেন। মহালয়ার সাথে সাথে কৃষ্ণপক্ষের অবসান হয়। দেবীপক্ষের সূচনা হয়। শরৎকালীন এই নবরাত্রি উৎসবকে বলা হয় 'শারদ নবরাত্রি'।শরৎকালে যেমন দুর্গা পূজার সাথে সাথে নব দুর্গার পূজার্চনা করা হয় তেমন বসন্তকালেও বাসন্তী পূজার সাথে নয়দিন ধরে চলে নবদুর্গার পূজা। শুক্লপক্ষের প্রতিপদ থেকে নবমী পর্যন্ত এই পূজার নিয়ম। নবরাত্রির পূজা দেবী শৈল্যপুত্রীর পূজা দিয়ে আরম্ভ হয় সমাপ্তি ঘটে সিদ্ধিদাত্রীর পূজা দিয়ে।
-৩-
নবদুর্গা
পিতামহ ব্রহ্মা দেবীর নয়টি রূপের নামকরণ করেছিলেন। সনাতনধর্মী বাঙালিরা দুর্গার যে মূর্তিটি শারদীয়া উৎসবে পূজা করে থাকেন, সেই মূর্তিটির শাস্ত্রসম্মত নাম 'মহিষাসুরমর্দিনী' দুর্গা। শ্রীশ্রীচণ্ডী অনুসারে যে দেবী "নিঃশেষদেবগণশক্তিসমূহমূর্ত্যাঃ" (সকল দেবতার সম্মিলিত শক্তির প্রতিমূর্তি) তিনিই দুর্গা। দুর্গা শক্তির রূপ, তিনি পরব্রহ্ম, তিনি সর্বভূতে বিরাজমানা, তিনি আদি শক্তি, পরমাপ্রকৃতি স্বরূপা । 'নবদুর্গা' দুর্গার নয়টি নামের নয়টি বৈচিত্র্যময় রূপভেদ। এঁরা প্রত্যেকেই দেবীর নয়টি কায়াব্যূহ মূর্তি। 'নবদুর্গা' নামে এঁরাই পরিচিত।
শ্রীশ্রীচন্ডীর দেবীকবচ অধ্যায়ের তৃতীয় থেকে পঞ্চম শ্লোকে নবদুর্গার উল্লেখ আছেঃ
প্রথমং শৈলপুত্রীতি দ্বিতীয়ং ব্রহ্মচারিণী।
তৃতীয়ং চন্দ্রঘন্টেতি কুষ্মান্ডেতি চতুর্থকম্।।
পঞ্চমং স্কন্দমাতেতি ষষ্ঠং কাত্যায়নী তথা।
সপ্তমং কালরাত্রীতি মহাগৌরীতি চাষ্টমম্।।
নবমং সিদ্ধিদাত্রী চ নবদুর্গা প্রকীর্তিতাঃ।
উক্তোন্যেতানি নামানি ব্রহ্মনৈবমহাত্মানা।
এই নয় রূপ হল যথাক্রমেঃ শৈলপুত্রী, ব্রহ্মচারিণী, চন্দ্রঘণ্টা, কুষ্মাণ্ডা, স্কন্দমাতা, কাত্যায়নী, কালরাত্রি, মহাগৌরী এবং সিদ্ধিদাত্রী ৷ প্রতি শরৎকালে নবরাত্রির নয় দিনে প্রতিদিন দেবী দুর্গার এই নয় রূপের এক একজনকে পূজা করা হয় নবরাত্রিতে দেবী দুর্গার পূজার যোগসাধনা, যোগপদ্ধতি অত্যন্ত উচ্চ মার্গের সাধনক্ষেত্রের সঙ্গে যুক্ত।
'নবমাতৃকা'
শাক্তমতে, মহাশক্তির কয়েকটি বিশেষরূপকে একত্রে মাতৃকা নামে অভিহিত করা হয়। সংখ্যায় ৯ হওয়ার কারণে এঁরা 'নব-মাতৃকা' নামে পূজিত হন । এঁরা হলেন: ব্রহ্মাণী, বৈষ্ণবী, মাহেশ্বরী, ইন্দ্রাণী, কৌমারী, বারাহী , চামুণ্ডা, নারসিংহী ও শিবদূতী।
তন্ত্রে, পুরাণে আরও কয়েকজন দুর্গা নামধারিণী দেবীর সন্ধান পাওয়া যায়। যেমনঃ পঞ্চদুর্গা, নবদুর্গা, বনদুর্গা, অগ্নিদুর্গা, বিন্ধ্যবাসিনী-দুর্গা, রিপুমারি-দুর্গা, অপরাজিতা-দুর্গা।
-৪-
'নবকন্যার দ্বারের মাটি'
শাক্তসম্প্রদায়ের তন্ত্রশাস্ত্র মতে, দুর্গা প্রতিমা তৈরিতে "নবকন্যার দ্বারের মাটি" অপরিহার্য। এই নবকন্যা তাদের কর্মপদ্ধতি অনুসারে নির্ধারিত হয়েছিলো। এই নবকন্যা হলেন: নর্তকী/অভিনেত্রী, কাপালিক, পতিতা, ধোপানী, নাপিতিনী, ব্রাহ্মণী, শূদ্রাণী গোয়ালিনী ও মালিনী। মা দুর্গার পূজা পদ্ধতি যেহেতু শাক্তদর্শন ও শাক্তসম্প্রদায়ের আধারে সৃষ্টি হয়েছে তাই শাক্ত সম্প্রদায়ে চিহ্নিত নবকন্যার প্রতীক স্বরূপ তাদের দ্বারের মাটি নেওয়া হয় প্রতিমা গড়তে। এছাড়াও সপ্তম নদী, ৫১শক্তিপিঠ এবং পঞ্চম প্রাণীর দেহাবশেষ প্রতিমা গড়ানোর কাজে ব্যবহৃত হয়। দুর্গার মহাস্নানে নানাবিধ মৃত্তিকার প্রয়োজন হয়: রাজদ্বার (রাজার দরজার কাছে যেখানে ন্যায় বিচারের জন্যে বহু মানুষের সমাগম হয়), দেবালয় মৃত্তিকা (মন্দির), নদীর সংগমস্থল মাটি (মোহনা), পর্বতশৃঙ্গের মৃত্তিকা, বরাহদন্ত মৃত্তিকা,গোষ্পদী মৃত্তিকা (গোবংশের পায়ের ক্ষুরের মাটি), গজদন্তের মৃত্তিকা (হাতির দাঁতে লাগা মাটি), বল্লীকমাটি (উইপোকা মাটি), বৃষসিং মৃত্তিকা (ষাঁড়ের সিং এ লাগা মাটি)
সমাজের সব অংশের মিলন-আগত দুর্গাপূজার পবিত্র উদ্দেশ্য । পঞ্চশস্য থেকে দশমৃত্তিকা যা কিছু ব্যবহার করা হয় দুর্গাপূজায় , তার মধ্যে সামাজিক অবস্থা ও বিজ্ঞানমানসিকতা এবং পূজায় সবার অংশগ্রহণের ছাপ পাওয়া যায় বলে দাবি করছেন পুরাণবিশারদরা৷
'নবপত্রিকা'
রম্ভা, কচ্বী, হরিদ্রা চ জয়ন্তী বিল্বদাড়িমৌ।
অশোক মানকশ্চৈব ধান্যঞ্চ নবপত্রিকা ।।
নয়টি প্রাকৃতিক সবুজ শক্তির সঙ্গে আধ্যাত্মিক চেতনশক্তির মিলন হয় মাদুর্গার চিন্ময়ী রূপটি। এই কলা বৌয়ের অবগুণ্ঠনেই যে প্রতিস্থাপন করা হয় সেই কলাবৌকে বলা হয় 'নবপত্রিকা'। ভূমি বা মাটি হল মাতা, মৃৎশক্তি যা ধারণ করে সব জীবনদায়িনী উদ্ভিদকে। এই নবপত্রিকাকে দুর্গারূপে পূজা করা হয়। '৯' টি উদ্ভিদের প্রত্যেকটির গুরুত্ব আছে। প্রত্যেকটি উদ্ভিদই দুর্গার এক-একটি রূপ এবং তার কারিকাশক্তির অর্থ বহন করে। এরা সমষ্টিগতভাবে মাদুর্গা বা মহাশক্তির প্রতিনিধি। যদিও পত্রিকা শব্দটির অর্থ হল পাতা, কিন্তু নবপত্রিকায় নয়টি চারাগাছ থাকে। আবক্ষ অবগুণ্ঠনের আড়ালে নববধূর একটি প্রতিমূর্তি কল্পনা করা হয়। যে নয়টি চারাগাছের সমষ্টিকে একত্রিত করে অপরাজিতার রজ্জু দিয়ে বেঁধে নবপত্রিকা তৈরি করা হয় সেই নয়টি উদ্ভিদের নাম শ্লোকাকারে লেখা আছে, আর এই নয়টি গাছের প্রত্যেকের আবার অধিষ্ঠাত্রী দেবী আছেন। এঁরাই আবার এই সময় নবদুর্গা রূপে পূজিতা হন। তাই দুর্গাপূজার মন্ত্রে পাই, “ওঁ পত্রিকে নবদুর্গে ত্বং মহাদেব মনোরমে” এই মন্ত্রে দেবীকে সম্বোধন করে নবপত্রিকাকে দেবীজ্ঞান করা হয়। দেবীদুর্গা স্বয়ং কুলবৃক্ষদের প্রধান অধিষ্ঠাত্রী দেবী । স্নানান্তে নতুন শাড়ি পরিয়ে তিনটি মঙ্গলঘটে আমপাতা, সিঁদুর স্বস্তিকা এঁকে, জল ভরে এক সঙ্গে ঢাকের বাদ্য, শঙ্খ, ঘণ্টা উলুধ্বনি দিয়ে তাকে বরণ করে মণ্ডপে মায়ের মৃন্ময়ীমূর্তির সঙ্গে স্থাপন করা হয়।
বহু যুগের বিশ্বাস, সংখ্যাবিজ্ঞান, ধর্মীয় প্রথা সবমিলিয়ে এই 'সংখ্যাগুলি' চিরন্তন ও পবিত্র হয়ে আছে। মহাবিজ্ঞানী আইনস্টাইনের ভাষায়, ‘নিশ্চয়ই এর পেছনে রয়েছে এক অকল্পনীয় মহাজ্ঞানী সত্তার এক রহস্যময় অভিপ্রেত। বিজ্ঞানীর জিজ্ঞাসা সেখানে বিমূঢ় হয়ে যায়, বিজ্ঞানের সমাগত চূড়ান্ত অগ্রগতিও সেখান থেকে স্তব্ধ হয়ে ফিরে আসে, কিন্তু সেই অনন্ত মহাজাগতিক রহস্যের প্রতিভাস বিজ্ঞানীর মনকে এই নিশ্চিত প্রত্যয়ে উদ্বেল করে তোলে, এই মহাবিশ্বের একজন নিয়ন্তা রয়েছেন। তিনি অলৌকিক জ্ঞানময়, তাঁর সৃষ্টিকে অনুভব করা যায় কিন্তু তাকে কল্পনা করা যায় না।’
তথ্যসূত্রঃ বিভিন্ন ওয়েবসাইট ও ব্লগ
সুচিন্তিত মতামত দিন