মৌসুমী মণ্ডল দেবনাথ

মায়াজম
0
পাকদণ্ডি
জোৎস্না রাতে আমি আর একলা থাকতে পারিনা। রূপকথায় চেনা পক্ষীরাজের পাখা ছুঁতে চলে যাই নিরুদ্দেশে। ধানের মতো ছড়িয়ে ছিটিয়ে উড়ে পড়তে থাকি পৃথিবীর বুকে। মাটিরা,জলেরা হাঁ করে গিলে খেতে থাকে আমাকে, যেন কত কত বছরের উপোসী শরীর। অনেক উঁচুতে কেরামতি করা সার্কাসের শরীর যেমন শুয়ে থাকে ঘাম আর এক পেট খিদে নিয়ে অনন্ত নিষাদে। ওরা সেই পাহাড় চূড়ো ছুঁয়ে আসা কীর্ণ মানুষের দল। সারা গায়ে বরফ মেখে এক পাহাড় থেকে আরেক পাহাড়ে স্টান্ট করে বেড়ায়। ওদের শরীর বেয়ে নেমে আসে স্বর্গীয় কাচের ঝরনা। এক সার্কাস ফেরত স্টান্টিয় যুবক আমার শতচ্ছিন্ন উরু ও বসন্তকাল সেলাই করে দেয়। হৃদভূমিতে লাগিয়ে দেয় গাছের চারা। শাখায় শাখায় অ্যাক্রেলিকের রঙের পরশ। বুনোফুলের সরগম আঁকে রঙ চটে যাওয়া তাঁবুতে। যেমন করে প্রাণ ছড়িয়ে পড়ে সা থেকে কলাবতীর দুর্বোধ্য পাকদণ্ডিতে। একদিন বসন্ত শেষ হয়ে আসে শিমূলের বনে। জমাট বাঁধা রক্তের মতো চিরস্থির হয়ে যায় পথ। আগুনে পুড়ে পুড়ে আমরা হারিয়ে ফেলেছি পাহাড় দেখতে যাওয়ার পা।
পৃথিবীর শেষতম ঋতুতে খুচরো পয়সার গা দিয়ে বেরোতে থাকে ভাতের গন্ধ...

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0মন্তব্যসমূহ

সুচিন্তিত মতামত দিন

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন (0)