কাকলি দাশ ব্যানার্জী

মায়াজম
0
তাদের কী নামে ডাকি বলতো
খুব কাছ থেকে খিদেকে পোয়াতি হতে দেখেছো কখনো
দেখেছো? তার তঞ্চকতা প্রসব ?
টানটান হওয়া মেরুদণ্ডে উদ্ধত স্পর্ধা পুরোহিত হয়ে
চাহিদাকে পাপের মন্ত্র পড়িয়ে কেমন করে পাঠায়
সর্পিল পথে ,দেখেছো ?
দেখেছো কি ?তাগিদ কেমন
এগিয়ে গিয়ে সোজা ওঠে
শাইলকের ঘরে?
প্রবৃত্তি বলে ডেকো না ওকে
নূন্যতম প্রয়োজন যখন বঞ্চনার শিকার হয়
তখন স্রেফ অধিকার বুঝে নিতে
মরিয়া হাত
জমাট অন্ধকার হাঁতড়ে
এক আধ খানা রুটি কেড়ে নেয়
তোমাদের উপচানো স্বচ্ছলতার জৌলুস থেকে ,
তোমার উদ্বৃত্তের বিলাস থেকে নিয়ে আসে
এক টুকরো বাঁচার আলো ।
ওরা তঞ্চক ?
ইতিহাস চিরুনিতল্লাশি করে বলছে
তোমরা চিরকাল ওদের কান্নাকে গুমঘরে পাঠিয়েছ ,
ওগুলো প্রলাপগুলোকে বিনোদনের দেওয়ালে সেঁটে
আয়েসে হেলান দিয়ে উপভোগ করেছো ওদের আড়ষ্টতা
অবহেলার উনুনে ঝলসে দেবার সময়
একবারও ভাবো নি
তোমার জীবনেও ঝুপ করে আঁধার আসতে পারে
নিজেদের ঈশ্বর ভেবেছো আর ওদের শয়তান
অথচ ব্যাকরণগত সংজ্ঞা বলছে
যারা ওদের জীবনের সরলরেখার গতিতে
বারবার যব চিহ্ন বসিয়ে
নিশিন্তে ভাতঘুম দিয়েছে তারাই
ওদের ফেরারী করে ...
আদমসুমারিতে ওরা নিচের তলার আঁধার
আর তুমি আলো
যারা অসুখ ছড়ায়
ওদের ঘরে
ওদের সুখ কেড়ে নেওয়া ব্যাধির বিধান ভরে দিল
যারা ওদের আঙিনায়
তাদের কী নামে ডাকি বলতো ?
Like
Comment


একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0মন্তব্যসমূহ

সুচিন্তিত মতামত দিন

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন (0)