মোনালি

মায়াজম
7
ববি প্রিন্ট
যখন কাকটি শেষবার ডেকেছিল....
আমি ঃ  জিরাফ, থেকে যাচ্ছে। রাত গিলে খাওয়া চাঁদের বানান শিখবে, তাই। আমরা রাস্তা পার হই। ঘড়ির মাধ্যাকর্ষণে শূন্য ঝুলে থাকে। ভেসে থাকে ব্যস্ত কাউচ ও লৌকিক কলিং বেল' । শূন্য  ঃ এই মহৎ আকাশ ও আদরের প্রিন্ট
পালাবার কোনও জায়গা
রাখে নি
এ ঘাস বীজ ও ডোরাকাটা জঙ্গল
বিক্রি হয়ে যাচ্ছে
আবার এবং আবার
তোমার আমার
যে ঘরটা অাঁকা ছিল ধোঁয়ায় লালায়
প্রসব যন্ত্রণা চিনেছিল ঘাই হরিণী....
আমি ঃ কেউই যে কোথাও যাচ্ছে না তার প্রমাণ কোটি বছরের অপরিবর্তিত প্রকার ও ওম্।  প্লাজমা আর মাংস হারানো  খোলস বেজে ওঠে মহৎ ফাঁকিতে। পলি পাথরের মিথুন গড়িয়ে যায় যুগান্তরে।
শূন্য  ঃ একটি মাত্র গ্লাস ভরে সমুদ্র উঠে এসেছিল। ঠোঁট ছুঁয়েছিল বুঝি, বারণ!
তুমি কি জানতে, নীল মলাটের নিচে মাংসের মিটার এত উত্তাপ ধরে রেখেছিল!
নদির পাড় ভাঙছে আর স্নান নিষেধ....
আমি ঃ বহিরাগত সাবধান। স্বয়ংক্রিয় পৌঁছে যাচ্ছে প্রয়োজন বহুতলের সবচেয়ে উঁচু ঘরটার প্রথম সকালে। দুভাগে ভেঙে যায় সমুদ্রের নিচে পড়ে থাকা অবহেলা আর এ জমি নামছে....  ইলেক্ট্রনের বাটি উলটে দিলে যেমন নেমে আসে অপর বিদ্যুৎ
শূন্য ঃ তুমি বলো এ আহ্লাদ উপচে উঠলে
বার্নার ভিজে যায় নিরন্ন
অথচ সমান ভাগ মাত্র চেয়েছিল মহামায়া আর যমুনার কাশ।এভাবে বদলাতে তো আমরাও চাই ই নি
সমুদ্রবিজ্ঞান জেনে গেছে তাই থেকে যাবে মাছেরা....
আমি ঃ একের পর  এক অবসন্ন মুখের মিছিল । বাইরের দরজা বন্ধ তাই তত এলোপাথারি নয়  হিংসা ও ভালবাসা। যতটা হলে বিস্ফোরণ, স্বাভাবিক বলে চালানো যায়। তারের ওপর দিয়ে হেঁটে যায় জাগতিক চেক। ফড়িং এর ফ্রেমে নীল ওড়ে, সাথে ডলফিন
শূন্য ঃ তোমার আংটি পলিপ্যাকে রাখা
বাঁধিয়ে যে দেব,
এ আশা এখনো রেখেছ কি?
স্বাদ আর গন্ধ বেশি টেনে আনে খিদে
তাই, আকন্ঠ গিলছি তোমার উলটো পিঠ
বাতাসও নামছে নিচে রসাতল বুঝে নিতে
আমি ঃ পাতালের পতঙ্গকুল যুক্তি ও দিবাস্বপ্নের নোট লিখে রাখে। লেখে মোহভঙ্গ।  দুরমুশ হয়ে যাওয়া চূর্ণ
সময়।  এ তুমিও জানো, মুখে যত ফোটে তত জুঁই, হৃদয়ে না। বরং ডানা'র গল্পে পৃথিবী চৌকোণ বাস্তবতা ছেড়ে ফিরে যাচ্ছে কমলালেবুর সান্দ্রতায়
শূন্য ঃ যে সকল মুদ্রায় ঘরকুনো বেড়াল জেগে ওঠে, ঝুঁকে আসে ভারে
কানে এসে ঘষে যায় ঠোঁট আর ফেটে যায় নিরাপদ বুদবুদ.... সে সকল
ঘোলা জলে গেল। সাথে  আরামকেদারা খাট ঈর্ষা আয়না
রাধার অপেক্ষা অন্ধকার পেরিয়ে ঠিক চিনে নেবে ডাইনোসরের ডিম
আমি ঃ এই শব্দেরা পারমাণবিক নৃসংশতা খুঁজছে না। জানতে চাইছে না এ সীমিত পরিসর রাজা থেকে রাজায় গড়িয়ে গড়িয়ে কত রক্ত ঘাম মূল্য বিনিময়ে মহার্ঘ্য হয়ে উঠল! অনুকূল কাচঘর কত জন্ম যে পাহারা দেবে অর্কিড,  ক্যাকটাস! 
শূন্য ঃ আরো একটু নেমে এসো। স্থির জানি,
বেড়ে আসা নখে ফুটবে খই।
বাবুই বাসার নষ্ট ডিম জমা রেখো না আর
গ্র্যান্ডফাদার'স ক্লক তার সুড়ঙ্গে টেনে নিচ্ছে অপেক্ষার অহং
আমি ঃ ক্রমশ রক্ত মাংস ক্ণা থেকে উধাও লাবণ্য ও জলকণা। নরম আদরের রোদ কালান্তরে যাবার আগে চিনে নিচ্ছে বল্কল কস্তুরি অগরু।  বিষ তির ও বিষণ্ণ সাপ ছেড়ে যাচ্ছে মথুরা।  মুছে যাচ্ছে  পেন্ডুলামের আসা যাওয়ার রাস্তা
শূন্য ঃ শোন! এখনি যেয়ো না।  ফড়িং এর শব ঢেকে দিয়ো চাদরে, যাতে রক্তদাগ তোমার, আমারও...
ঝর্ণা নিরুদ্দেশে, পাহাড়ের সাথে
আমি ঃ গ্লাস থেকে ঝরেছিল বুঝি যমুনা। কিন্তু কথা ছিল, মুখ থেকে মুখে ছিনিয়ে  নেওয়া হবে নেশা। সুসময় যে গেছে। স্থির জানি, ফিরবে না। তবু গুন গুন রেশ রেখে দেবেই, কেঁপে ওঠা  মাটি ও অন্তঃকরণ।
শূন্য ঃ এখানে টলটলে দীঘি। চোখের পাতায় একা নৌকো নেমে এলে, ছোটদের ছবি আঁকার ক্লাস শুরু হয়
শেষ
আমরা হাসলাম তাই চাওমিন আর চকোলেট আইসক্রিম একত্রে গলে গেল
শূন্য ঃ জড়িয়ে দিতে জানো না তবু পাটে পাট খুলে তুমি দেখবেই এ
মরণ খাদ 
আমি ঃ তবে, এখনই বলো তুমি, এখনই।
বলো, ভালবাসো

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

7মন্তব্যসমূহ

সুচিন্তিত মতামত দিন

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন