জল-কিন্নরী
১.
সঘন কালো ব্যথায় আকাশ হয়েছে কালো।
একটি মেদুর প্রজাপতি রেণু পায়ে ঢুকে
যাচ্ছে শরীরে শরীরে।তার কুমকুম
ডানার সোহাগে ভিজে উঠছে ঠোঁট, দম
নিতে পারছিনা।সমস্ত শরীর রিম্ ঝিম
কুসুমবাস,বাইরে দিগন্তের ডানা ঘেঁষে
পুনর্নবা সমুদ্র,কী তুমুল স্রোত।জলপরী
রেশমি পোশাক খুলে উঠে আসছে ডাঙায়।
তার প্রগলভ নুপুরধ্বনি 'মরমে পশিল '।
পরীর নাভি পাত্র থেকে চলকে পড়ছে
আলো,শরীর যেন অবসন্ন মহুয়া।
জল কেন পদাবলী ধারায় সরে যাচ্ছে দূরে!
তবে কি সে জলের কিন্নরী ফিরে গেল
বিষণ্ণ জলতলে !
2.
অঙ্গকান্তি পুড়ে যাচ্ছে তাপে।রাত্রিজাগা
বাতাস কার অনুরোধে এসেছো শয্যাপাশে?
শীতল শুশ্রূষায় তপ্ত ব্যথাটুকু দুচোখে
কুলুকুলু। ক্ষীণকটি নৌকা ভাসে।ও কোন্
কিশোর প্রেমিক লগি ঠেলে ঠেলে সরে যাচ্ছে
দূরে,এলোমেলো হাওয়া, সর্বাঙ্গে পরিগন্ধ।
ঝাঁক ঝাঁক ইলিশ বিহ্বলতায় বুক কাঁপে।
আমাকে ডিঙিয়ে কোন্ ঘুমহীন দ্বীপে
তাকে নিয়ে যাও কিশোর ধীবর!ও তীর্থে
যাওয়ার পূর্বে ফিরিয়ে দাও তার তরঙ্গখচিত
নাকছাবি।ইহজীবনে ওটুকুই আমার
চিরায়ত আশা,নীল মুগ্ধ আশ্রয়।
সুচিন্তিত মতামত দিন