১ ওই লোকটার একটা প্রেম হোক
----------------------------
ওই লোকটার একটা প্রেম হোক
যে এখন নর্দমায় মুখ রেখে পরীদের কিসব বলছে!
ওর একটা প্রেম হোক
ওর জামা জুতো রাস্তা থেকে কুড়িয়ে নিয়ে কেউ কেচে দিক
আমরা অনেকে গাছের ডালে বাদুড়ের মতো লম্বাটে বুক ঝুলিয়ে এদিক ওদিক হাঁটছি
আমাদের মনগুলো মাঝরাতের হাওয়ায় শুকোক
তাদের কেউ টেনে নামাক
এই আমাদেরই মধ্যে কেউ কেউ!
হাতে হাতে!
আমরা আমাদের লম্বাটে মনগুলোকে আবার গিলে ফেলি
পরেরদিন অনেক হিসেবে ওগুলো দরকার
ওই লোকটার একটা প্রেম হোক
ও একটা বৃহদাকার শিশু
ওকে কেউ তৈলাক্ত বাঁশে ত্রৈরাশিকের অঙ্ক কষতে দিক
ওই মেয়েটার একটা দরদী হোক
রাতে মেসেজবক্সে টুং ক'রে একটা কলিংবেল পেলে
ওর জুতোর শুকতলা একটু ক'রে ক্ষয়ে যাক সংগুপ্ত নাচে
আমাদের বানান ভুল শুধরে দেবার মানুষগুলো বাঁচুক দীর্ঘদিন
আমাদের বন্ধুগুলোকে এয়ারটেল দিক লং ডিসট্যান্স কলের অবিরাম দ্রৌপদী ব্র্যাণ্ড শাড়ি
আমাদের অস্মিতার সিমেণ্টগুলোতে অশ্বত্থের বীজ পড়ুক এসে
আমার আকাশে একটা বিশাল ডানার মতো ক্ষমা নেমে আসছে দেখো
আর আমি আমার সেই বন্ধুর দিকে হাত নেড়ে নেড়ে গিরি গোবর্ধনের নীচে ঢুকে পড়ছি
ও কার কড়ে আঙুল?
একটুও বৃষ্টি আমার গায়ে লাগছে না!
দ্যাখো!
তবু এত সুখের মধ্যে আমার সেই ভিজতে থাকা ঠোঁট নীল হয়ে আসা বন্ধুকে
আমার মনে পড়ছে
ও ঠাকুর!
ও যে কেউ!
ওর একটা প্রেম হোক
ও একটা বৃহদাকার শিশু
ওকে কেউ তৈলাক্ত বাঁশে ত্রৈরাশিকের অঙ্ক কষতে দিক
ওই মেয়েটার একটা দরদী হোক
রাতে মেসেজবক্সে টুং ক'রে একটা কলিংবেল পেলে
ওর জুতোর শুকতলা একটু ক'রে ক্ষয়ে যাক সংগুপ্ত নাচে
আমাদের বানান ভুল শুধরে দেবার মানুষগুলো বাঁচুক দীর্ঘদিন
আমাদের বন্ধুগুলোকে এয়ারটেল দিক লং ডিসট্যান্স কলের অবিরাম দ্রৌপদী ব্র্যাণ্ড শাড়ি
আমাদের অস্মিতার সিমেণ্টগুলোতে অশ্বত্থের বীজ পড়ুক এসে
আমার আকাশে একটা বিশাল ডানার মতো ক্ষমা নেমে আসছে দেখো
আর আমি আমার সেই বন্ধুর দিকে হাত নেড়ে নেড়ে গিরি গোবর্ধনের নীচে ঢুকে পড়ছি
ও কার কড়ে আঙুল?
একটুও বৃষ্টি আমার গায়ে লাগছে না!
দ্যাখো!
তবু এত সুখের মধ্যে আমার সেই ভিজতে থাকা ঠোঁট নীল হয়ে আসা বন্ধুকে
আমার মনে পড়ছে
ও ঠাকুর!
ও যে কেউ!
ওর একটা প্রেম হোক
-----------------------------------------------
২) আপনি না থাকলে শুশ্রুষায় ফিরে যেতে হয়
আপনি না থাকলে আমায় বামপন্থায় সরে যেতে হয়
কারণ তখন পুঁজি জমাবার, রাখবার, কোন শাশ্বত কেন্দ্র থাকে না
কারণ তখন সর্বহারা সন্ধেগুলোয় কমরেড কমরেড ব'লে আগুনের চুল্লী জ্বালিয়ে
তাতে কিছু অনির্দেশ্য অস্পষ্ট উদ্দেশ্য গড়ে নেওয়া
উপরন্তু কমরেড কমরেড
একসঙ্গে থাকা
উপরন্তু কমরেড কমরেড
ঘর বড় বালাই
শীত বড় জ্বালা
আপনি না থাকলে আমায় গাছ পুঁততে যেতে হয়
কারণ তখন খুব ছায়াটায়া নিয়ে টানাটানি
কারণ তখন হাত বেড় দিতে গুঁড়ির অভাব
এবং মনের কাছে শতধা প্রণালী
তাদের চিহ্নের মতো শাবলে কোপানো কিছু আল
নতুবা অপেক্ষিত ঘোঁজ
মাঝে মধ্যে বৃষ্টি এসে গেলে
ভরা ঘরে, নাহোকের ভিড়ে
হঠাৎ বৃষ্টি এসে গেলে!
কারণ তখন খুব ছায়াটায়া নিয়ে টানাটানি
কারণ তখন হাত বেড় দিতে গুঁড়ির অভাব
এবং মনের কাছে শতধা প্রণালী
তাদের চিহ্নের মতো শাবলে কোপানো কিছু আল
নতুবা অপেক্ষিত ঘোঁজ
মাঝে মধ্যে বৃষ্টি এসে গেলে
ভরা ঘরে, নাহোকের ভিড়ে
হঠাৎ বৃষ্টি এসে গেলে!
আপনি না থাকলে আমি পিঁপড়েটাও মারি না
ঘাড়ের উপরে চললে তাদের হাতের নৌকোয় নামিয়ে রাখি
ঘর ঝাঁট দিতে গিয়ে তাদের উদ্বিগ্ন গর্তগুলো
সেখানে পড়ে থাকা আরশোলার টুকরো আর কাঠের গুঁড়ো
সব ফেরৎ দিই
কর্তৃপক্ষকে চিঠি পাঠাই
যেন মৌমাছির চাক না ভাঙা হয়
মিউনিসিপ্যালিটিকে চিঠি পাঠাই
যেন কুকুরগুলোকে না মারে
আপনাকে না লেখা চিঠিগুলো এইভাবে
নানান আমলার কাছে, সরকারের কাছে,
কেরানীর কাছে!
অকারণ ঘোরে।
তাদের উপর একটা টলটলে চোখের জল
সম্বোধন ঝাপসা ক'রে দিয়ে
সব লেখাকে উদ্দেশ্যবিহীন করে দেয়
জীবনকে মোক্ষের দিকে নিয়ে চলে
--------------------------------
ঘাড়ের উপরে চললে তাদের হাতের নৌকোয় নামিয়ে রাখি
ঘর ঝাঁট দিতে গিয়ে তাদের উদ্বিগ্ন গর্তগুলো
সেখানে পড়ে থাকা আরশোলার টুকরো আর কাঠের গুঁড়ো
সব ফেরৎ দিই
কর্তৃপক্ষকে চিঠি পাঠাই
যেন মৌমাছির চাক না ভাঙা হয়
মিউনিসিপ্যালিটিকে চিঠি পাঠাই
যেন কুকুরগুলোকে না মারে
আপনাকে না লেখা চিঠিগুলো এইভাবে
নানান আমলার কাছে, সরকারের কাছে,
কেরানীর কাছে!
অকারণ ঘোরে।
তাদের উপর একটা টলটলে চোখের জল
সম্বোধন ঝাপসা ক'রে দিয়ে
সব লেখাকে উদ্দেশ্যবিহীন করে দেয়
জীবনকে মোক্ষের দিকে নিয়ে চলে
--------------------------------
৩ চলতে থাকছে খেলা
এই ভিডিওগেমে অব্যবহৃত তিনটে প্রাণ হলদে হয়ে এলে
আরো তিনটে প্রাণ গজিয়ে ওঠে
এখানকার শরবনে কার্তিক ময়ূর চড়ে ঘুরবে
তাকে দিগদর্শন করিয়ে নিয়ে আসতে হবে আমায় তোমায়
আমি তো চড়ে বসেছি। তুমি কোথায়? রোম রোম এমন বসার দিনে?
সমস্ত পিঠ খুব আদেখলে হ্যাংলা হয়ে ওঠে
পেঁজা পেঁজা মেঘগুলো এনিমেশন আর্টিস্ট বড় ভালো এঁকেছে
দুর্গাপুজোর সকালে খিদে খিদে মুখে পাড়ার ভিয়েনে ঘিএ ভাজা সিঙ্গাড়ার গন্ধ
আরো তিনটে প্রাণ গজিয়ে ওঠে
এখানকার শরবনে কার্তিক ময়ূর চড়ে ঘুরবে
তাকে দিগদর্শন করিয়ে নিয়ে আসতে হবে আমায় তোমায়
আমি তো চড়ে বসেছি। তুমি কোথায়? রোম রোম এমন বসার দিনে?
সমস্ত পিঠ খুব আদেখলে হ্যাংলা হয়ে ওঠে
পেঁজা পেঁজা মেঘগুলো এনিমেশন আর্টিস্ট বড় ভালো এঁকেছে
দুর্গাপুজোর সকালে খিদে খিদে মুখে পাড়ার ভিয়েনে ঘিএ ভাজা সিঙ্গাড়ার গন্ধ
অপেক্ষা এমন একটা মৃত্যু পদ্ধতি!
গোল ঘূর্ণায়মান রেকর্ড ফিরে ফিরে এক পাশই বাজাচ্ছে
অপেক্ষা, গোল বলের মত চোখের জল, তাদের নুনটুকু রেখে উবে যাওয়া
সেই শূন্য কুণ্ড, মান, আর মাফ না করা, আর কখনো মাফ চাইতে না আসা
সে অসহ্য, সেই শেষ। এইখানেই যন্ত্র বিগড়ে গেছে
আবার ফিরে গেছে মেঘ মেঘ দিনে
ময়ূরের পিঠে আমার সমস্ত পিঠ তোমার বিস্তৃত বুক ছুঁয়ে
কাশফুল কাশফুল ওড়াউড়ি অসম্ভব ছুটি
আমরা নীচে তাকিয়ে তাকিয়ে দেখছি
এই একটা ওয়র্কিং মাদারের মতো মেনকা মেয়েটিকে নামিয়ে গেলো
এই শকুন্ত পাখিরা তাদের দীর্ঘপক্ষ্ম ডানার ছায়ায় তাকে সারাদিন দোলা দিলো
এই তিন সখী, অবিন ঠাকুর, মালিনীর জল
দুষ্মন্ত, শকুন্তলার ভিডিও গেমটি
সমস্ত বন বসন্ত বসন্ত রঙে
এইখানে তুমি অন্যমনস্ক হয়ে গেলে
রেবতী কেমন ক'রে ইন্দ্রের সভায় গিয়ে এক যুগ খুইয়ে এলেন
তার হিসাব শিখতে তুমি নেমে গেলে
লাঙল কাঁধে দেবতাটি তখন খর্বকায় শরীরে দীর্ঘকায়ার সঙ্গে প্রেম করছে
তাদের মধ্যে কর্পূরের মতো মিলিয়ে যাচ্ছে এক একটা যুগ
আমি বলছি বারবার, তুমি ঠোঁট শেখো
সেও যুগ যুগান্তর মিলিয়ে দেয়
আরো অনেক আধুনিক, আরো অনেক হতচ্ছাড়া যুগে
আয়ানের বউ ঠেস দিয়ে বসে আছে কদম্বের গাছে
তার মাঝে মাঝেই কালো ছোঁড়াটার সামনে স্নান হতে ইচ্ছে লাগে
আমি তাকে বলি, রাধে, সে এখন রাজপ্রাসাদের ছাদে
হাতির দাঁতের কাজ দেখে দেখে উৎফুল্ল হয়
নাম করা কূটনীতিজ্ঞ, যুদ্ধ যুদ্ধ খেলা, বক্তৃতা
ভুলে যাও, দুধ ঘিতে ফেরো
সেও আমায় চোখের ইশারায় দেখিয়ে দেয়
ময়ূর ঘুমিয়ে পড়েছে
তার পালকগুলি ঝরে গেছে
কবেকার বটতলায় অসংখ্য নুড়ি বাঁধা মানতের উইণ্ডচাইম
আমি সেইখানে থেমে আছি
তুমি নেমে গেছো অনেকদিন হলো
তাতে কী?
রাধার ভিডিওগেমে কালো সাদা স্ক্রীনে যমুনা ফুলে উঠবে এখুনি
ও একটা কালো বুকের উপর শুয়ে শুয়ে নদী পেরোবে এখনি
আমার ভিডিওগেমে অব্যবহৃত তিনটে হলুদ লাইফ
সেগুলোর ডিম থেকে আরো তিনটে লাইফ ফুটে উঠছে
চলতে থাকছে খেলা
---------------------------------------------------------------------
গোল ঘূর্ণায়মান রেকর্ড ফিরে ফিরে এক পাশই বাজাচ্ছে
অপেক্ষা, গোল বলের মত চোখের জল, তাদের নুনটুকু রেখে উবে যাওয়া
সেই শূন্য কুণ্ড, মান, আর মাফ না করা, আর কখনো মাফ চাইতে না আসা
সে অসহ্য, সেই শেষ। এইখানেই যন্ত্র বিগড়ে গেছে
আবার ফিরে গেছে মেঘ মেঘ দিনে
ময়ূরের পিঠে আমার সমস্ত পিঠ তোমার বিস্তৃত বুক ছুঁয়ে
কাশফুল কাশফুল ওড়াউড়ি অসম্ভব ছুটি
আমরা নীচে তাকিয়ে তাকিয়ে দেখছি
এই একটা ওয়র্কিং মাদারের মতো মেনকা মেয়েটিকে নামিয়ে গেলো
এই শকুন্ত পাখিরা তাদের দীর্ঘপক্ষ্ম ডানার ছায়ায় তাকে সারাদিন দোলা দিলো
এই তিন সখী, অবিন ঠাকুর, মালিনীর জল
দুষ্মন্ত, শকুন্তলার ভিডিও গেমটি
সমস্ত বন বসন্ত বসন্ত রঙে
এইখানে তুমি অন্যমনস্ক হয়ে গেলে
রেবতী কেমন ক'রে ইন্দ্রের সভায় গিয়ে এক যুগ খুইয়ে এলেন
তার হিসাব শিখতে তুমি নেমে গেলে
লাঙল কাঁধে দেবতাটি তখন খর্বকায় শরীরে দীর্ঘকায়ার সঙ্গে প্রেম করছে
তাদের মধ্যে কর্পূরের মতো মিলিয়ে যাচ্ছে এক একটা যুগ
আমি বলছি বারবার, তুমি ঠোঁট শেখো
সেও যুগ যুগান্তর মিলিয়ে দেয়
আরো অনেক আধুনিক, আরো অনেক হতচ্ছাড়া যুগে
আয়ানের বউ ঠেস দিয়ে বসে আছে কদম্বের গাছে
তার মাঝে মাঝেই কালো ছোঁড়াটার সামনে স্নান হতে ইচ্ছে লাগে
আমি তাকে বলি, রাধে, সে এখন রাজপ্রাসাদের ছাদে
হাতির দাঁতের কাজ দেখে দেখে উৎফুল্ল হয়
নাম করা কূটনীতিজ্ঞ, যুদ্ধ যুদ্ধ খেলা, বক্তৃতা
ভুলে যাও, দুধ ঘিতে ফেরো
সেও আমায় চোখের ইশারায় দেখিয়ে দেয়
ময়ূর ঘুমিয়ে পড়েছে
তার পালকগুলি ঝরে গেছে
কবেকার বটতলায় অসংখ্য নুড়ি বাঁধা মানতের উইণ্ডচাইম
আমি সেইখানে থেমে আছি
তুমি নেমে গেছো অনেকদিন হলো
তাতে কী?
রাধার ভিডিওগেমে কালো সাদা স্ক্রীনে যমুনা ফুলে উঠবে এখুনি
ও একটা কালো বুকের উপর শুয়ে শুয়ে নদী পেরোবে এখনি
আমার ভিডিওগেমে অব্যবহৃত তিনটে হলুদ লাইফ
সেগুলোর ডিম থেকে আরো তিনটে লাইফ ফুটে উঠছে
চলতে থাকছে খেলা
---------------------------------------------------------------------
৪ পিয়ানোর ঢাকনায় যাদের নিটোল ছায়া পড়ে
তোমার মৈথুনক্লান্ত আমার পুতুল
আমাকে বলে না
যে তুমি আমার হয়েছিলে
সে তার ডিজিট-ফ্রেমে ঘুম দিয়ে নেয়
সে ওদেরও চেনে
তোমার কাঁচের গ্লাসে অজলা সুরার শেষ বিন্দু তিনেক
আমাকে বলে না
যে তুমি আমার হয়েছিলে
----------------------
আমাকে বলে না
যে তুমি আমার হয়েছিলে
সে তার ডিজিট-ফ্রেমে ঘুম দিয়ে নেয়
সে ওদেরও চেনে
তোমার কাঁচের গ্লাসে অজলা সুরার শেষ বিন্দু তিনেক
আমাকে বলে না
যে তুমি আমার হয়েছিলে
----------------------
৫ হাত সরিও না
আমার পেট চিরে গেছে
এরকম যায়
মানুষেরা বোঝে না
মৌমাছিদের হুল অকারণ তীব্র তাদের নরম পেটের প্রান্তে
ফোটালেই ডুবে যায়
ডুবলে আর ওড়া যায় না
মানুষেরা বোঝে না
আমি উড়তে চাইও নি
ওটি স্নায়ু সংবেদ
উদ্যত হাত দেখে উড়তে গিয়ে আমার পেট ছিঁড়ে গেছে
আমি এই মনোরম বাগানে
আমার মধুক্ষরা দিনের স্মৃতিতে
আমার মধু খাওয়া সেই মানুষটার হাতে
চুপচাপ শুয়ে শুয়ে মরতে চাই
কি সুন্দর চারদিক
পাখিদের ডাক আমাদের ভালো লাগে না
পাখিরা আমাদের খায়
মানুষেরা বোঝে না
হাত পাতুন
একটা নতুন ফুল গন্ধ দিয়েছে
আমি আর একটুই, একটুই, শুয়ে থাকবো
এরকম যায়
মানুষেরা বোঝে না
মৌমাছিদের হুল অকারণ তীব্র তাদের নরম পেটের প্রান্তে
ফোটালেই ডুবে যায়
ডুবলে আর ওড়া যায় না
মানুষেরা বোঝে না
আমি উড়তে চাইও নি
ওটি স্নায়ু সংবেদ
উদ্যত হাত দেখে উড়তে গিয়ে আমার পেট ছিঁড়ে গেছে
আমি এই মনোরম বাগানে
আমার মধুক্ষরা দিনের স্মৃতিতে
আমার মধু খাওয়া সেই মানুষটার হাতে
চুপচাপ শুয়ে শুয়ে মরতে চাই
কি সুন্দর চারদিক
পাখিদের ডাক আমাদের ভালো লাগে না
পাখিরা আমাদের খায়
মানুষেরা বোঝে না
হাত পাতুন
একটা নতুন ফুল গন্ধ দিয়েছে
আমি আর একটুই, একটুই, শুয়ে থাকবো
-------------------------------------
সুচিন্তিত মতামত দিন