সৃশর্মিষ্ঠা

মায়াজম
1




ব্যাধ ও ব্যাধি

ব্যাধি ঋষি আঁকে দৈবাৎ জটা
সৃ জলাশয়ে আজ সৃজনের ঘটা
মাছেদের পেটে পেটে ঘাম বিনিময়
ঢেউ জানে না ঢেউ কতিপয় নয়
মেয়েটির অজানা বারুদ আদল
অন্ডের আগুন শেষে জলের মাদল
তুমি যদি ফিরে আসো উল্টোরথ ভেবে
ও পাড়ার জোঁক এসে যোনি শুষে নেবে
রেবেকা এখন হাঁটে প্রজ্ঞার সাথে
সোনারতরী পড়ে কাঁদে টেরাকোটা রাতে
#


অগত্যা
প্রকৃত দাবানল আদতে অনলের জোট
ধোঁয়ার আড়ালে ধ্বনিত সর্পিল ঠোঁট
এই বুঝি রোদ খায়
পৃথিবী ডিঙিয়ে যায়
গাঢ় জোছনার ভার
চিন্তা করো না আর
আশঙ্কা চিরকালই মাংসজ
ত্রাসে সরে যায় গ্রহবিগ্রহ
ক্ষেতে লেগেছে ফাগুন
চিৎ সাঁতারে আগুন
চুমু চেয়েছিল রমণের বিলাসে
যদিও রমণী মেঘ দ্বিধার কেলাসে
সঞ্চিত প্রজাপতি মেরেছে বারবার
ঈশ্বর আদতে মিথ্যে মিথের সর্দার
অগত্যা আকাশ চিনেছে বিরহ দাউদাউ
বৈরাগী বাউল যেমন সাধের লাউ


নদী নামের মেয়েটি
সায়াহ্নের পক্ষকালে থমকে শতাব্দী। সংগত দৃষ্টি অনু্যায়ী লাঙলের স্বভাবে লুকিয়ে কৃষকের ধানপিপাসা। নীলের অসভ্য বুকে সেঁধিয়েছে এক ঝাঁক পানকৌড়ি। ঐশ্বরিক উনানের সোহাগি উষ্ণতায় ঘুমিয়ে গৃহস্থ। আর কোনো প্রাণী নেই এমনই দাবি করে দুপুরের তলোয়ার। পৃথিবীর শেষ প্রান্তে গড়িয়েছে ঘাটের সিঁড়ি। বিসর্জনের ধাপে পড়ে আছে ধরণীর মেয়ে। তার সীতাস্নিগ্ধ শরীরে জলঙ্গী বিশ্রাম। শালুক ফুটেছে আমোদের মেজাজে। আর আছে কামিনীদ্বীপের মূঢ় স্তব্ধতা নিয়ে দুটি ক্রেংকার, যারা জগৎ-সংসারকে নিরঞ্জন ফাঁকি দিয়ে ভিড়েছে বংশের উদ্বোধনে।
অব্যর্থ চোখের ফাটলে সুফি আকাশ। নিচে নিবিড় অবহেলায় স্থলের জটিলতা বয়ে গেছে অনায়াস নেপথ্যে। রমা দোল খায় পাতালের খোলে। যার তরল আয়ু জুড়ে অবর্ণনীয় শান্তি। যেন এক সুজাতাগ্রস্ত নারীবোধির ভিতর বইছে সামগ্রিক ইহকাল পরকাল...


#
অপারগতা
হেমন্তের সাথে এ সময়ের সামঞ্জস্য নেই
ক্ষুধার্ত বাঘের গর্জনে শীতের চলাফেরা
উড়াল তুলোর নক্সায় ঝড়ছে বরফ
কবি লিখছে বিন্দু বিন্দু মাঘ
এলিয়েনের সাথে সঙ্গমে ব্যস্ত আমার শরীর
রক্তের অপার্থিব চলন দেখে
দানব হয়ে উঠেছে নাৎসি পাখি
ভয়ে ভয়ে খুন হচ্ছে কফির দানা
আর হেমন্তের যকৃৎ

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

1মন্তব্যসমূহ

সুচিন্তিত মতামত দিন

  1. অসাধারণ কবির লেখনী। “লাঙলের স্বভাবে লুকিয়ে কৃষকের ধন পিপাসা” — আহা অনবদ্য লাইন।
    মুগ্ধতা নিয়ে এক নিশ্বাসে পড়লাম।

    উত্তরমুছুন
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন