বলাকা দত্ত - মায়াজম

Breaking

৫ জুন, ২০১৫

বলাকা দত্ত



মুখোশ ছাড়িয়ে






রুপিন অটোমেটিক লক বন্ধ করার আগে অার একবার তাকাল,অভীক যথারীতি গভীর ঘুমে। রুপিন সিঁড়ি দিয়ে লাফিয়ে লাফিয়ে নামছে,ভাবছে অার একটু দেরী হলেই সানরাইজ মিস্ হয়ে যাবে।
আধো আলোয় শিরশিরে নোনা হাওয়ায় সেই..ই হাওয়াই চটি, ওটা আদিত্য মানে আদি না! অআদিত্যই হাসিমুখে এগিয়ে এলো,কেমন আছো? ভালই আছি, তুমি কেমন? কোথায় আছো? কি করছো? বউ কোথায়? দাঁড়াও দাঁড়াও এক এক করে উত্তর দি, তোমার ওই এক স্বভাব দাঁড়ি কমা নেই। দিল্লিতে একটা খবরের কাগজে অফিসে চাকরী করি,বিয়ে করি নি। কেন? কেন? অার কবে করবে আদি? আদিত্য হাসে তোমার মত কাউকে খুঁজে পেলাম না তাই। তবে তোমায় দেখে বেশ বুঝতে পারছি রুপিন,তুমি কিন্তু মনের মত মানুষ পেয়ে গেছো।
ঠিক বলেছ আদি। বাড়ির চাপে প্রতিষ্ঠিত, উচ্চবংশের অভীককে যেদিন বিয়ে করার সিদ্ধান্ত নিলাম, ভেবেছিলাম মুখোশ পরে অভিনয় করেই জীবনটা কাটিয়ে দেব- ভারি তো একটা জীবন। কিন্তু যত দিন যেতে লাগলো ভালো থাকার অভিনয় করতে করতে কখন যেন ভালো থাকতে শুরু করলাম। মুখোশটা কখন খসে গেছে টেরও পাই নি।
হঠাৎই দুটো চায়ের ভাঁড় হাতে অভীক এসে দাঁড়াল,এই নাও রুপিন- সকাল থেকে তো তোমার চাও খাওয়া হয়নি। অাদিত্যবাবু অাপনারটাও ধরুন, না- না অত অবাক হওয়ার কিছু নেই, রুপিনের কাছে আমি আপনার অনেক গল্পো শুনেছি, আমার রুপিনের তো কোন মুখোশ নেই।
আদিত্যর মনে হল কতদিন পর অন্ধকারের মুখোশ ছিঁড়ে সানরাইজ হলো।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

Featured post

সোনালী মিত্র