খোকা,
গতকাল, ছিল আমার মাতৃত্বের জন্মদিন
মরচে প’ড়ে বছরগুলোয় অবাধ্য এক্সফলিয়েশন
ব্যস্ত নাগরিকদের কাছে হিসেব চাইতে নেই সিনিয়ার সিটিজেনদের
তবু, একদিন যে হাতে মুক্তো ঝরিয়েছিলাম যত্ন -আবেশে
সেই হাতে একটা চিঠির আশা জাগে
একটুকরো ইচ্ছে দিতে পারবি, আমায়?
জন্মদাত্রী
সুগত,
লুকিয়ে খাতার ফাঁকে চট করে চিঠিটা গুঁজে দিয়ে বলেছিলি
পরে পড়ে নিস
চিঠি, আনকোরা প্রেমিকার হাত ফসকেছিল
স্রষ্টা ছিঁড়েছিল তোর সে চিঠি
আমি পড়তে পারিনি
সেদিন তোকে বলতে পারি নি সুগত।
তোর শুকিয়ে যাওয়া প্রেম
বাসন্তী বসনা-রাজকন্যা ,
রাস্তার নীল নিয়নের নীচে একথোকা সৌন্দর্য
বাসন্তী বসনা, গজদন্তী
এক্কেবারে ভিন্ন এক জোনাকি
একটু চিনচিনে হাসি
৪৫বি চলে যেতেই, সিগারেট আঙুল পোড়াল
আমার শরীরে আবার সচরাচর দাগ মেলায় না।
তোমার অপরিচিত প্রেমিক
নীল ,
বুঝি নি যে, মিথ্যার কুহকের দিকে ঝুঁকে চলেছি
উষ্ণতার সাথে স্পেশাল এফেক্টের চমক
বিনিময়ে, ঝলসানোর অভিজ্ঞতাটা ছিল নতুন সংযোজন
বুঝি নি, একদিন সিলিঙে ঝুলবে ভালবাসা
আর অতৃপ্ত দোপাট্টা গলবস্ত্র হয়ে মৃত্যু ভিক্ষা করবে- আমৃত্যু
আসলে, পতঙ্গরা তো এভাবেই ম’রে।
তোমার একান্ত
তোমায়,
ওরা বলেছিল, লাইনের মাঝের জামার টুকরোটা নাকি তোমার
হ’তেই পারে না
কাগুজে খবরে উদ্ভ্রান্ত নই কখনোই
আমি কিন্তু পা ছড়িয়ে কাঁদি নি সেদিন
তাই আজও আমি লালেই সাজি
তাই আজও খিদে পায়-ভালবাসার।
তোমার ভালবাসা
ইন্দ্র ,
তুমি বলেছিলে, “মাধবীলতা ছানি কাটিও না প্লিজ
যাতে তোমার চলে যাওয়াটা স্পষ্ট না ঠেকে”
আমি এখনও ছানি কাটাই নি ইন্দ্র—
অথচ, আমি জানি তুমি কোনদিনই কথা রাখো নি
আর রাখবেও না।
তোমার মাধবী
মাধবী,
খবরের কাগজে পাঁচ লাইনের শ্রদ্ধাজ্ঞাপন
সাথে তোমার চশমাবিহীন ছবি
আমি ছানি কাটাতে চাইনি মাধবীলতা
তোমার চ’লে যাওয়াটা বড্ড স্পষ্ট এখন
কেন জানি না চশমায় আজ বে-মরশুমি মেঘ।
তোমার ইন্দ্র
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন