ওর কথা আজ লিখবো ভাবি , ছোট্ট একটু আসা যাওয়া
সেই হরিণি শকুন্তলা , তেরোর কুঁড়ি সহজ সরল
পিতৃপুরুষ অসংযমী মেয়েলীপনা ব্যাথার খবর পায়না নাকি
সেই মেয়েটা ভেল ভেলেটা বড়ই নাজুক ওপর থেকে তাই মনে হয়
সেই মেয়েটা লক্ষীছাড়া বড়ই দামাল ভেতর ভেতর
রক্তে কলায় ঘুণ ধরেছে ঠিক বুঝেছে অভিমানী
ঘর গোছানী বাঘিনী নয় বাঘের মতন জীবনযাপন সপ্রতিভ
ভয়ডরহীন উদ্ধত ছাপ নান্দনিকের প্রেম পিয়াসী মৃত্যুসম
ঘরের ভেতর অনেক অসুখ ভাতের পাতে গোপন খিদে
খেলার মাঠে কর্ণ যেমন খুলতে পারে কবচ প্রাণের
আকাশ আকাশ অনেক আলো ক্লিষ্ট মুখের মুক্তো চোখে
আগলে রাখে মাটির পুতুল ভাই দুখানি পুঁই এর মাচা
বাবার খাবার দুপুরবেলা মায়ের ঘামে ঠিকেকাজের চোদ্দবাড়ি
পড়ার ফাঁকে রান্নাবাটি কাঠের উনুন বেদম ধোঁয়া
বুকের ভেতর কার্বন আর সালফিউরাস বিষাক্ত গ্যাস
সেই মেয়েটা হাত কেটেছে রক্ত আখর নাম লিখেছে
উল্কি কালি লোহিত কণায় প্রাণ যাকে চায়
মন বেঁধেছে গিট্টু এমন খোঁজ রাখেনি সেই প্রিয়জন
বন্ধ কথা চোখের দেখাও আসতে মানা ত্রিসীমানায়
রাগ করেছে প্রথম প্রথম কষ্টে পুড়ে মোম গলেছে অনাবশ্যক
এমন কতই ঘটছে তো রোজ এমন কতই অসাক্ষাতে
প্রেম পীরিতি চাইলে মেলে এমন কথাও কেউ বলেনা
সেই মেয়েটা বড্ড জেদী বড্ড অবুঝ এই বেলাতে
এত্ত কিছু সইতে পারে দশভূজার হাজার রূপে
ভাবতে পারো এইটুকুনি এমন কি আর সহ্য করা
এতই পারে এতই করে একলা একলা সর্বসহা
মেয়েটা তাই বিসর্জনের ঢাকের কাঠি ঢ্যাম কুরকুর
আগমনীর আগেই বাজায় মায়ের আচঁল কোল ছাড়িয়ে
বোধন হবে দৃষ্টি দানের পরে মাগো দেখবে যখন
ততক্ষণে শূন্যঘরে সেই মেয়েটা দীর্ঘশ্বাসের বাতাস মতন
রোগ পারেনি ভোগ ছিলনা অদম্য এই প্রাণকে দমায়
গোপন গোপন কান্না ছিল তুমিও কেন টের পেলেনা
ধন ছিলনা যশ ছিলনা শক্তি বিদ্যা আনন্দ রূপ
এমন আগুন প্রেমের কাঙ্গাল করলে কেন জেদসম্বল
দাউদাউ সেই জ্বলন চিতা সব খেয়েছে মান অভিমান
কেউ বোঝেনি বুকের ভেতর কোথায় এমন বারুদ ছিল
ভাইরা একা পূজার দিনে অঞ্জলি নেই মায়ের ফুলে
বাবার দোকান রমরমিয়ে রঙ্গিন ক্লিপ আর কাঁচের চুড়ি
ঝাপসা চোখে মেয়ের আদল ঝলমলানো মুখগুলোতে
পাড়ার পুজো একই রকম লাইট থিমের বড়াই জাহির
উমা মায়ের ঘরে এলে তুচ্ছ করে এসব কিছুই
সেই মেয়েটা ভেলভেলেটা তোমার মতই মায়ের ছিল …
সুচিন্তিত মতামত দিন