১
চোখের ভিতর ডুব দিয়ে দেখি , চোখ আজ কুকুরের মত স্মৃতিবহুল
আমি চাই , কথা বলুক তেড়ে যাক , সন্দেহভাজনের পা কামড়ে ধরুক
পুরাপুরি কুকুর হয়ে যাক চোখ !
২
আমাকে বারান্দায় শুতে দাও
বারান্দার পরেই তুমি আমাকে আকাশের ঠিকানা দাও
অচল মানুষ মেঘ , চিল আর কাটা ঘুড়ির
ভেসে যাওয়া দেখে
চায়ের ঘ্রাণ , ছোটো মেয়েটির স্নান
ঘরের ভেতর চুল , কারো হাত --
আমি মশারি থেকে বেরিয়ে এসেছি ,
আমার সংসার আসেনা
৩
ভালোবাসা পড়ে আছে , পাও দেখেনি
জুতো পরে চলে গেছে , ধুলো মেখে চলে গেছে
সবাই সাঁতার কেটেছে যখন পা ধুয়ে পড়ে গেছে
মাছেরা সাঁতারের সময় , সেতুর দুপাশে কত যে কথাবার্তা শোনে
আর বোঝে কেন এত থম থমে হয়ে থাকে লেজ
৪
ওই যে গেলাস ভর্তি বরফ তাকে তুমি শীতকাল বলো !
যে কারণে আমি কিছু যন্ত্রপাতি কিনি
আয়নায় মুখ দেখে , বুঝি বলগা হরিণের মত নিবিষ্ট ঘা কেনো মানুষের চোখে
অতি অনিদ্রায় কেবল চোখ নয়
নুড়িখন্ড হয়ে শয্যায় উজ্জ্বল হয়ে থাকে ভুল বোঝার মুদ্রাও
এই খনিজ শয্যায় আমাকে শিখতে হয় অনিদ্রা
মৃত্যু ছাড়া আমার তো অন্য কোনও নেশাও নেই
৫
ধরো , অন্ধও একদিন অনুবাদ করলো চোখ
যে ঘুম নির্দেশ করলো , সার্কাসের মেয়ের অলৌকিক দড়ি বেয়ে সে
যেন শূন্যতায় পৌঁছে যাওয়া কসরত
আমি অন্ধের অধিক আজ শুনতে পাচ্ছি তিমির কান্না
অবিশ্বাস করে করে ভেঙ্গে যাচ্ছি , হে ভূমিপুত্র
বিষণ্ণ ঠোঁটের দূরত্ব আজ সাত হাজার মাইল
অসম্ভব সুন্দর লেখা ভীষণ মুগ্ধ হলাম ।
উত্তরমুছুন