মলয় রায়চৌধুরী

মায়াজম
0
                                    যখন ফিরিঅলা ছিলুম











আমার নিজেরই বিশ্বাস হয় না যে আমার বাবা কাকা জ্যাঠা
ফিরিঅলা ছিলেন, রঞ্জক সাবান, জামের ভিনিগার, ফোটোর কেমিক্যাল
চলেনি কিছুই
ওনারা অসফল হয়েছিলেন বলে আমার ইচ্ছে হল
আমিও ফিরিঅলা হয়ে চেষ্টা করে দেখি
অন্ধকারে আমার চোখের চরিত্র বদলে যায় বলে
দশ আঙুলের গোড়ায় চোখ গজায়
আমার ভেতরে শৈশব চিরকাল থেকে গেছে নিজের শব্দভাঁড়ার নিয়ে
ফলে হয়ে উঠলুম প্রেমের ফিরিঅলা
টের পেলুম যে প্রেমিক-প্রেমিকার দেহের তাপমাত্রার যোগফল
তাদের একক তাপমাত্রার চেয়ে বেশি হয়
এই বাড়তি তাপমাত্রাই আমাকে সফল করে তুলল
যে তাপ থাকে দুজনের অবিনশ্বর কেন্দ্রে
আমি তারই ফিরিঅলা
আগে থেকেই জানতুম যে ফড়িংদেরও মস্তিষ্কবিকৃতি ঘটে
মগজ থেকে নিজের নামটা মাতাল হলেও যায় না
তার জন্য উন্মাদ হতে হবে, বদ্ধ উন্মাদ
প্রেমের ফিরিঅলা বিকৃতমস্তিষ্ক ফড়িঙের মতন
চামড়ায় আঘাতের দাগগুলো নিয়ে তাই আজকে গর্ববোধ করি
অনেকে মনে করে আইসক্রিম হলো প্রেমিকার ঠোঁটের অতীতকাল
আমি একবারই প্রেমে পড়েছি আর সেটাই যথেষ্ট
তারপর থেকে প্রেম ফিরি করে বেড়িয়েছি
সিঁড়ির তলায়, গঙ্গার ধারে, ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়ালে, লাইব্রেরিতে, রেস্তরাঁয়
ভাগ্যিস আমাদের বাড়িতে কলিং বেল ছিল না
নয়তো গ্রীষ্মের ঘেমো দুপুরে কোনো তরুণী বেল বাজিয়ে জানতে চাইতো
ফিরিঅলা আছে ? জরুরি প্রয়োজন !

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0মন্তব্যসমূহ

সুচিন্তিত মতামত দিন

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন (0)