রাজর্ষি কুণ্ডু

মায়াজম
0
                                        সেপ্টেম্বরের দিকে









নিজের একলা হোয়ে যাওয়া দেখতে দেখতে এভাবেই শুরু হোয়ে গ্যাছে জুলাই গান! না রৌদ্র, অ-বৃষ্টির মাঝামাঝি ভ্যাপসা গরমে বোনা হচ্ছে কাশ ফুলের বীজ। এরকম এক আশাময় সময়ের গর্ভে মানুষেরা প্রায়ই ভুলে যায় প্রেমিকাদের সব রকম; ধরাযাক যে একটা কুকুর রাস্তায় ডাকছে।। আচ্ছা, ধরাযাককে নাকচ ক'রা হোলো লিখিত ভাবে, রাস্তায় অনেকগুলো কুকুর ডাকছে! এদিকে সম্পর্কের ধাঁচ আঁচের নিভু নিভু আগুনে প্রায়! সুস্বাদু আগুনে দেখে নেওয়া যাক নৈঃশব্দতা, গায়ে গলা শব্দ ঘাম। ঐ যা হয় আর কি, তা আগুনই! প্রত্যেকটা মানুষছায়াপোড়া পাতায় স্পষ্ট বহুবার আবিষ্কৃত অঞ্চলের ম্যাপ, একাকার মন এক হোয়ে অনালোকিত তফাৎরেখায় আঁকছে ইতিহাস, কলম্বাসের ভ্রমণকাহিনীর অ-অনুকরণে!

সেপ্টেম্বরের পরের দিকে

যে ভাবনা গুলো ভাবিনি সে গুলোই ভাবছি এখন; নির্মল ও নির্লিপ্ত ব্যাপার। কাশ ফুল বিয়োজনের সময়ে প্রেমিকারা ফিরে এলেও নভেম্বর গান হয়না! অবশ্য এদিকে ফোঁটাফোঁটা কুয়াশা পড়ছে, মাথার দিককার জানলা বন্ধ, যদিও বৃষ্টির সম্ভাবনা কম। ফ্যান বন্ধ ক’রার আগে লোকে ধরে নিচ্ছে যে রাতে গরম লাগবে মনে হয় তারপর ধরে নেওয়াকে নাকচ না করেই অন্ধকার হোয়ে যাচ্ছে বিছানায়! অন্ধকারের রেখা বলতে পারেন, দেখতেও পারেন। মনে করবেন না যে ওগুলো আলো, বরং ধরে নিন ওগুলো মানুষ, এরকম ক’রে এগোলে কিছু না ধরেই একসময়ে জেনে যাবেন অন্ধকার, ভবিষ্যৎ আর দীর্ঘস্থায়িত্বতার আয়োজনসূত্র!

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0মন্তব্যসমূহ

সুচিন্তিত মতামত দিন

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন (0)