১
আমি ভুলে গিয়েছি কিভাবে পা থেকে জুতো খুলতে হয়
অথবা
বহুযুগ ধ’রে কোনো জুতো পরিনি আমি
একসময় ছিল-
অনির্দিষ্ট সময়ের জন্য আমি
কেবল ট্রেন চলাচল দেখতাম
তার মাঝে সূর্য কিভাবে অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া করে
আমার প্রেমিক আমাকে পুড়িয়ে ফেলেছে
শ্মশান থেকে নিয়ে এসেছে অস্থি’র ছাই
একটা বিড়াল অকালের মত আসে রোজ
আমার ছাই’এর কলসিতে মুখ দ্যায়
চাটে
কখনওবা কলসি গড়িয়ে পড়ে মাথার ভারে
প্রেমিক এসবের খবর রাখেনা
বড্ড চঞ্চল হ’য়ে পড়ে আছি কলসিতে
নিশ্চিন্ত ঘর চাই
একমাত্র মায়ের চেয়ে চিরশান্ত কেউ নেই
বাকি সবাই আকালের জিভ
বসন্তসখ নেই আমার
২
আমি দৌড়াতে চাই
একছুটে পেরোতে চাই কয়েকশো মাঠ আর
এক আলোকবর্ষ সমান মেলা
তাকে আমি মনে মনে আলোক বলে ডাকি
মুখোমুখি বসে
আবার কখনও হেলান দিয়ে
জীয়ন্ত কইমাছের মত
চলকে উঠি কথাদের সময়
বিছানা জুড়ে আমার বালিয়াড়ি প্রাসাদ
ঢেউ আসে ধুয়ে দ্যায়
আমি চিৎকার ক’রে কবিতা বলতে পারিনা
উল্লাস দাদা তখন খবর পড়ে
ধর্ষণের খবর, ডাকাতির খবর
নেতাদের খবর, ক্রিকেটের খবর
আমি হলে তখন কবিতা পড়তাম
ডুবুরির মত কবিতা
৩
আমি জামা শুকবো
ছাদ জুড়ে টাঙানো দড়িদের সাথে
ঝুলিয়ে ঝুলিয়ে
শীতের পরে বসন্তকাল না এলে
সেই জামা শুকবে না
আমার বাড়িতে কোনোদিন শীতই আসেনা
শীত মানে পথের পর পথ স্রেফ গাড়িগুলো
টপকে - হেঁটে যাওয়া
এবার ঠাণ্ডা পড়েছে
কিন্তু আমি তো রাস্তায় নামিনি
কোনো তরুণ কবি এসে উপহার দ্যায়নি তার কবিতার বই
বই বিনিময়েই প্রেম হ’য়ে যাবে
ঝড়ের মত
বই বিনিময়েই পেরিয়ে যাব শীতকাল
তারপর ছাদে উঠে
সদ্য শুকনো গরমের আঁচ লাগা জামাদের সাথে
একসাথে মাদুর বিছিয়ে বসে
কমলালেবু খাব
সুচিন্তিত মতামত দিন