শিখা কর্মকার - মায়াজম

Breaking

৬ মে, ২০১৬

শিখা কর্মকার

         কবিতা কেমন লাগছে ...যখন কেউ জিজ্ঞাসা করে




 বুকের ভেতরে অভিমানের জরি, তিরতির করে কাঁপছে, যতই এড়াতে চাই তার কথা, ভুলতে চাই তার মুখ, হারাতে চাই তার কবিতার পংক্তি, ততবেশি আকর্ষক শক্তি দিয়ে সে আমাকে যেন সম্মোহিত করে রাখে | বেলা যায়, কাজে কাজে ভরে আছে দিনের প্রহর, হামিং এসে জানান দিয়ে যায় জীবন কত পলকা, তারই মধ্যে এই সব অনুভূতি এসে থমকে দিচ্ছে সময়ের কাঁটা | নাই বা জানতাম তোমার মনের রাজপ্রাসাদে কি পাখী ডাকছে, নাই বা শুনতাম আবেগের কুলুকুলু নদীর গান, শস্যক্ষেতে মসৃণ কাদায় নাহয় ভরা থাকতো দুই হাত, সেই হাতে আল্পনা দিতেই হবে তার কোনো কথা আছে? রাত এলে অন্ধকার ঘরে বসি, আর ততই জ্যোতির্ময় হয়ে ফুটে ওঠে সেই পরম আকাঙ্খিত অথচ না দেখতে চাওয়া মুখ, সেই ভরাট কন্ঠস্বর, সেই দাবদাহের পর যেন শান্ত কুয়োর নিবিড়তা. তোমার কবিতায় ভর করে ফিরে আসে নীলকুয়াসার কষ্ট মাখা মুখ, আবেগ আঁচল, চেনা রাজ্যপাট. ফিরে আসে হইহই আনন্দ শব্দ বুকে নিয়ে ছোটবেলার বন্ধুরা যারা পুকুরে ঝাঁপ দিতে দ্বিধা করত না সাঁতার না জানলেও সেই রকম বিশ্বস্ততা | আমি তো স্বেচ্ছা-নির্বাসনে এসে হারিয়ে ফেলেছি কত মুখ এ্যালবাম থেকে | তারপরও হিম লেগে মাঝরাতে যখন বাদাম ঝরে টুপটাপ, ঝরে পাইনের কোন, জেগে উঠে জানান দেয় তক্ষক, আর খুব চেনা ঘুমপাড়ানি গানের সুরের ভেতরে চুপি চুপি ফিরে আসে কবিতারা | কেউ কেউ অসমাপ্ত, কেউ কেউ বিরহে নীল, কেউ আবার ভালবাসায় নতুন শিশিরের মত ঝলমলে | ফিরে যেতে বললেও টান থেকে যায়, বুনো পাখীদের মত ফিরে ফিরে আসে, কোলে আসেনা, হাতে বসেনা, শুধু জানান দিয়ে যায় তাদের অস্তিত্বের কথা, আর আমি একা একা পুড়তে থাকি অদেখা শিখায় |

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

Featured post

সোনালী মিত্র