দু’জোড়া কৃত্রিম শুক্রাণু ভরে দিয়ে পরীক্ষামূলক ভাবে
ভিন্ন ভিন্ন দু’টো নলজাতক।
একজন গীতা, এটি মেয়ে
আরেকজন কোরান, ধরা যাক এটি ছেলে।
বিদ্যামন্দির, পরে মাদ্রাসার গন্ডী পেরিয়ে
একসাথে, গীতা-কোরানের বয়স গড়িয়েছে
এখন তাদের যৌবন-
মিলনের সময়।
স্বাভাবিক নিয়মে তাই উত্তাপ বাড়ছে
কৌলীন্যের চামচে ভরা হিংস্রতার উপদেশে,
ছেঁড়া-ফাটা ধর্মনিরপেক্ষতার আঁচলে
নিঃস্ব করা সহিষ্ণুতার আশ্বাসে।
মোমবাতি আর সাদাফুলের আদরের ফাঁক-ফোকরে
একটু জায়গা করে নেওয়া কোরানের আত্মবিশ্বাসেই
গীতা আজ সন্তান-সম্ভবা,
নতুনের প্রথম আলো দেখার অপেক্ষায়
ফুটপাথে নৈশকালিন বাতিস্তম্ভের লম্বা লাইন।
সময়ের ভর্তুকি যেহেতু শুধু মেটানো হয়
শবযাত্রার মিছিলে,তাই
বালিঘড়ির ব্যবহারে কখনও
অসহিষ্ণুতার উত্তাপ মাপা যায় নি।
নিজেই নিজের মাসোহারা হাঁকতে থাকা
ধর্মের কাঙালদের সেকুলারিসম্ বাজানো
লোকদেখানি নীলকন্ঠ হওয়ার সাধ আসলে
ঝুম বৃষ্টিতে কেঁচে নেওয়া চাঁদের কালশিটে দাগ;
শেয়ালের কন্ঠে যেমন বেঠোভেন সেই
গা শিরশিরে একটা সহানুভূতিই দেয়।
গীতা-কোরানের মিলনে ছেলে-মেয়ে কিংবা
ভগবান-খোদা যাই হোক না কেন
ভ্রূণের লিঙ্গ নির্ধারণে নিষেধ আছে।
তাই আমরা আগে নাস্তিক হই-
তারপর ধর্মনিরেপক্ষ-
তারওপরে গণতন্ত্র।
সুচিন্তিত মতামত দিন