সম্পাদকীয়
সে
ছিল সোনা ঝরা কৈশোরে
কাশ
ফুল কাশ ফুল! ট্রেনের কুঝিক কুঝিক! পাটভাঙা পটবস্ত্র! ছন্নছাড়া ছেলেবেলা! পড়ে
পাওয়া ফোস্কা, পড়ে যাওয়া বাসি ফুল! মাইকের তান, কিশোরের গান। লাজে রাঙা কলাবউ,
সুগন্ধি আতরের মৌ। আবলুসে সাইকেলে, চাপলুসে সঙ্গী- লালপেড়ে সাদা শাড়ি অপরূপ ভঙ্গী।
জীবন যেরকম ছিল আছে আর থাকবে, অনাদি শরতে মেঠো গন্ধই মাখবে। আর এখন যদি ঘোড়ানিম
ভেঙে আসে বছরের থিম? দুরন্ত বালুচরে কি বা সুর গাঁথা হয় তার দাম মেলে নাম মেলে
কিন্তু সুগন্ধী খাম আর মেলে না! তবু আশ্বিন আসে আর আসে আগমনীর সুর। আয় মা আমাদের
সঙ্গে কটাদিন হাত মিলিয়ে যা!
এত
রক্ত কেন রাজা
ভূস্বর্গ
ভয়ঙ্কর- বালুচে আব্বুলিশ। কাবেরীর ক্যাবারে- ও গো পুলিশ আমায় আলতো করে তুলিস। যে
যেখানে দাঁড়িয়ে সেখানেই পায়ে ব্যথা হয়ে যায় যে! তাই একটু নড়েচড়ে বসা। একটু আস্তিন
গুটনো, একটু সোলডার চার্জ। তফাত যাও তফাত যাও। আমি একমাত্র আমাদের, তুমি তোমরা সবই
পর। তোমার সঙ্গে বাঁধব কেন ঘর? তাই তোমার বাড়ি আমার বাড়ি! আমার বাড়ি আমার বাড়ি!
গুছিয়ে রাখি মুছিয়ে রাখি খুঁচিয়ে রাখি, যেমন করেই রাখি না কেন আমার বাড়ি আমার
বাড়ি, তোমার বাড়ি নেই! সমুদ্র সৈকতে তাই উপুড় হয়েই রই! তুমি খেলে শহীদ আর আমি খেলে
খতম খেল! তোমাদের স্মৃতি কলতানে আমাদের গাজোয়ারি রেল। হেঁটে যাই সমান্তরাল পথে
তুমি আমি পাশাপাশি আছি! হাতে হাত, তাও কি বা হয়? তোমরা যে বিশুদ্ধ পরগাছি। আমার এই
ঘরের কোণাটুকু আমারই যে স্বর্গ মর্ত্য রাজ। তুমি যদি পথভুলে আসো বেওয়ারিশ লাশ তুমি
আজ। তাই রক্তের বদলে রক্ত আর চোখের বদলে চোখ! শরীর জুড়ে বিশাকত জলকেলি আর সব দেশ
আজ অন্ধই হোক। তবু তো দেখতে হবে, ঠেকতে হবে, লিখতে হবে, শিখতে হবে নতুন দিনের গান!
এস রাজা মুকুটখানি ফেলে আমাদের এক হয়ে যাক তান।
গল্পগাছা
পরের
গল্প করতে করতে নিজেকে যেই ভুলেছি, পরের বেগুন তুলতে গিয়ে নিজেই পটল তুলেছি! তাই
আমাদের হাত নেই পা নেই অন্ধকার নেই আলো নেই! স্যাঁতস্যাঁতে পরিবেশে বেড়েই চলেছি
তড়বড়িয়ে। মনে সাধ পায়ে বাধ। আমি যে আর মানুষ নেই! কবিতা ছুঁয়ে বেড়েছি এই!
মুর্তিমান করালবদনী যেন ছিন্নমস্তা সারসমস্তা হয়ে উদ্দাম নৃত্যে মেতেছি সংসারেই।
সময় হয় নি তাই সময় ফুরিয়েছে। আমাদের হতাশা বোধ আমাকেই মাথা মুড়িয়েছে। আমাদের
যৌবনকাল আমাদের মধ্যে বুড়িয়েছে। আমাদের সোজা পথে হাঁটা আমাদের পথে ঘুরিয়েছে। তবু
ঘুরতে ঘুরতে মরতে মরতে ফিরতে ফিরতে ফিরে এসেছিই এই গল্পপুরীতে। আধা আধা গল্পগুলি
প্রবলা কাঁদা আর অবিচ্ছেদ্য অভিমানের পাহাড় বুকে নিয়ে বসে আছে তারা। ভাঙ ভাঙ ভাঙ
ভাঙ কারা আর খুলে দে জানলাখানি তোর! আসবে যদি আসুক না হয় অগম্যকাল ভোর!
নটে
গাছটি মুড়োক
এত
কথা কেন দাদা? আমি তুমি তুমি আমি পেরিয়ে আজ এতো কথা কেন? তার চেয়ে হাত থাক পেয়ালা
সাকি আর বুকে থাক মধুবাণ। হাতে থাক কাগজের বই গল্প হোক কবিতা হোক সে, চোখে আর মনে থাক
অমৃতগান। মায়াজমের সঙ্গে আমার এটুকু পথচলা টুকরো টুকরো গল্প কবিতা আর প্রবন্ধে
সাজিয়েছে সোনালী পরতে রূপালী মোড়কে। গান হয়ে বানভাসি হোক আজ আহা সোনালী কি শোনালি।
উৎসবের দিনগুলি আপনাদের সুখে আনন্দে কাটুক আর মায়জমের আদরে একটুও যদি ভাবার সময়
পান তাহলে আমার এই বাজে বকা আর সোনালীর কাজে থাকা সার্থক হয়। জয় হোক!
চমৎকার সম্পাদক-বচন। বেশ ভালো।
উত্তরমুছুনসুন্দর লেখা। অসাধারন।
উত্তরমুছুনঅভিনব সম্পাদকীয়। চমত্কার।
উত্তরমুছুনভালো লাগলো।
উত্তরমুছুনভালো লাগলো।
উত্তরমুছুন