পীযূষ বিশ্বাসের গ্রন্থালোচনা - মায়াজম

Breaking

৩০ সেপ, ২০১৬

পীযূষ বিশ্বাসের গ্রন্থালোচনা

কবি পীযূষ বিশ্বাসের কাব্যগ্রন্থ "আকাশ চুম্বন" এর আলোচনা






"কাঁটার উপর আঙুল রাখতে হয়
ঘণ্টার পর ঘণ্টা
মিনিটের পর মিনিট 
এই ভাবে যদিও বাঁচানো যায় না খাদ্যের সম্ভাবনা থেকে কোনো বীজকে
শেষমেশ পৃথিবীর পুথি থেকে মুখ ঘুরিয়ে নিতে হয়।"
-

কী ভীষণ অস্থিমজ্জাকে আঘাত করার মত ব্রহ্মাস্ত্র এই শব্দবিজ্ঞান ! 'আশ্চর্য' কিংবা 'অবাক' শব্দ দিয়েও বোধহয় আশ্চর্যকে ধরা যায় না । 'শব্দ'- কোথা থেকে কোথায় নিয়ে যায় আমাদের ? শব্দ কী অনুভব ? নাকি অনুভব নামক বস্তু নিজেই একটা শব্দ ? সদা পরিবর্তনশীল মনোজগতের খোঁজ আমরা আর ক'জন বা রাখি ! একটা পরিবর্তনশীল মননশীলতা যখন আরও পরিমার্জিত করে উপস্থাপন করা হয় , তখন বোধের ঘরে জন্ম নেয় একটা বিস্তৃত আকাশ । অবশ্য পরিমার্জিত অবস্থানের মধ্যে যদি ইচ্ছাকৃত অভিপ্রায় থাকে সেই পরিমার্জিত সংস্করণে কতটা বোধের ঘরে চুরি করতে পারে , সন্দেহ আছে । অনেক সময় উপস্থাপনের গায়ে আমরা এক একটা লেবেল সেঁটে দিই। কারো নাম দিই একচুমুক পানীয় ,কারোর নাম মেট্রো উন্নয়ন , আসলে যেটাকে পরিবর্তন ভাবছি সেটা সবসময় পরিবর্তন না হয়ে যেন কিসের ওপর ঝুলে থাকে ।

এসব প্রত্নতাত্বিক প্রসঙ্গ থাক । এবার মূল প্রসঙ্গে আসা যাক -উপরের কোট করা লাইন কটি তুলে নেওয়া সাম্প্রতিক কলকাতা বইমেলায় প্রকাশিত ( ২০১৬) কবি পীযূষকান্তি বিশ্বাস এর কাব্যগ্রন্থ "আকাশচুম্বন" থেকে । বইটির প্রচ্ছদ ভাবনাটি অতীত সুন্দর , উঁচু-উঁচু বিল্ডিংয়ের গগনচুম্বী আকাশ স্পর্শের মধ্যে একচিলতে আকাশ ছুঁয়ে দেবার সম্ভাবনা যেন পক্ষীজাত ছায়া হয়ে ছুটে যাচ্ছে মহাশূন্য অবস্থানে।এই সুন্দর প্রচ্ছদের মধ্যে আশিপাতার গ্রন্থটিতে রয়েছে মোট পঞ্চাশটি কবিতা । যে বিষয়টা প্রথমেই ভীষণভাবে মাইন্ড অ্যাটাক করলো সেটা হল , কবিতাগুলোর অত্যাধুনিক ফ্যান্টাবুলাস নাম। সচারচর কবিতার নামের এত অত্যাধুনিক এবং বৈচিত্র্য আমায় আকর্ষণ করেনি যেটা করলো এই বইটি। পকেট ভারী থাকলে হামেশাই দুকলম লেখার পর তিন কলমের দিন বই ছাপিয়ে বুক চিতিয়ে কবি হয়ে ওঠেন শহরিয়া সখের কবিগণ, শয়ে শয়ে বই প্রতিবছর কবিরা নিজের টাকা দিয়ে ছাপিয়েও আসছেন,সে বই বিক্রি হোক বা না হোক। পীযূষের গ্রন্থটিতে এক্সফ্যাক্টর কি আছে সেটা জানার প্রবল আগ্রহে আমায় বইয়ের ভিতরের কালো অক্ষরগুলো টানছিল। বিশেষ করে যে জিনিসটা ভালো লাগলো সেটা হচ্ছে "দিল্লী ফ্লেভার"....এই দিল্লী ফ্লেভার বিষয়টায় আসি ,কলকাতার কবিমহল যে ধরণের সাহিত্য চর্চা করবেন আশা করি গ্রাম্য কবিগণ ঠিক তেমন শব্দ -ভাষা -বোধে কবিতা লেখেন না , বা পড়াও হবেনা। মেট্রো দিল্লীর যে এয়ারগতির লাইফস্টাইল সেটাকে শব্দ বেঁধে কবিতার চলনে-বলনে এবং মননে তুলে আনা কম কথা নয় , এবং সেটা দিল্লীর কবিরা করে থাকেন , যেটা পীযূষের কবিতার একটা ভিন্নতর রসদ। কবিতার পাঠক এমনিতেই কম আর যথার্থ পাঠকের হাতে এইসব বই সেভাবে কি পৌছায়!এই প্রশ্নটা বারবার আমায় নাড়া দিচ্ছিল,কারণ এই পীযূষকান্তি হোক বা সোনালী মিত্র চিত্রটা তো আলাদা নয় ,সুদূর দিল্লীতে বসে বাংলা সাহিত্য নিয়ে নাড়াচাড়া করে এই সাংস্কৃতিক ধারাকে অব্যাহত রেখে সাধনা চালিয়ে যাওয়া বেশ কঠিন ও জেদের কাজ।যদি সাহিত্যপ্রেমী মানুষের কাছে আরো বেশি এইসব বই পৌঁছে দেওয়া যেত বাংলা কবিতার প্রেক্ষাপট আরো সমৃদ্ধ হত বলা যেতে পারে।

"বিষয়বস্তুর ভিতরে ঢুকে মনে হল
পথ হারিয়েছি
ফিরে আসার চিহ্নগুলো ধেবড়ে গেছে
পায়ে পায়ে
আর কবি বলেছিল
সাংকেতিক বাকগুলোর কথা
গ্রানাইট থেকে কীভাবে তুলে নিতে হয় প্রচ্ছদ
কীভাবে জানুয়ারির প্রত্যেক রাত্রির জন্য জুলাইকে অনেক শীতল হতে হয়
কীভাবে লগে হরিয়ালি একে গড়ে তুলতে হয়
বসন্তবিহার
মহীপালপুর থেকে 
একটানা গুড়গাও"(জল জ্বলে ওঠে পৃ:১৬)


 যেন একটা স্বমহিমায় নিজস্ব ব্র্যান্ড হয়ে যাওয়ার প্রচেষ্টা , অর্থাৎ গ্রন্থটির প্রতিটি লাইনই যেন পীযূষ চোখ বন্ধ করে বলা যায়।আর এই কাব্যনৈপুণ্য গড়ে তোলা খুব সহজ কাজ নয় ! নিজস্ব স্টাইলকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া ,এই যে কবিতা নিয়ে পরীক্ষা নিরীক্ষার প্রচেষ্টা করতে করতে লিখে ফেলা , এটা খুব একটা সহজ ব্যাপার নয় । গ্রন্থ সমালোচনা লিখতে গিয়ে বারবার চোখের সামনে ভেসে উঠছিল উচ্ছল,প্রাণশক্তিতে ভরপুর হাসিখুশি ছোট্টখাট্টো আপেলের মত ঝাচকচকে ফর্সা গালওয়ালা মানুষটি।যার সাথে তুমুল আড্ডা দেওয়া যায় , মন খুলে হো হো করে হাসা যায়,পীযূষ মানেই একটা সম্পূর্ণ প্যাকেজ আর কি।বইটির কবিতাগুলোয় সেই জীবনীশক্তিতে ভরপুর মানুষটাকেই যেন খুঁজে পাচ্ছিলাম বারংবার।


"সিসা হো ইয়া দিল হো 
আখিরাত দেয়াল ভেঙে নিজের নিজের ঘরটা গুছিয়ে নিয়ে হয়"(রাধিকা ডেয়ারি পৃ:২৬)



"দীর্ঘযাত্রার পথে ফেলে আসা টিপাটিপ বর্ষাপানি"(দিন. পৃ:১৪)




"এভাবে না ডাকা ভালো,টিপটিপ বর্ষাপানি

কতবার বলেছি হলুদ শাড়িটায় বারবার আপত্তি
জঙ্গলে আগুন ধরে যায়"(তন্দুরি পৃ:১৯)



বার একটা জিনিস বলি , উপরিউক্ত প্রতিটি কবিতায় একটা বিষয় ভীষণভাবে কমন ,তা হল কবিতার শরীরে শিল্পীর নিখুঁত তুলির ছোঁয়াতে গানের লাইনগুলো সমানুপাতিক হয়ে কবিতার সঙ্গে একই লয়ে একই সুরে প্রবাহিত হয়ে ভাবপ্রকাশের উপজীব্য হয়ে উঠেছে। এটা বাংলা সাহিত্যে একটা ঘরানা সৃষ্টির প্রয়াস বলা যেতেই পারে। তবে আমার ব্যক্তিগতভাবে মনে হয়েছে যথেচ্ছ ব্যবহারের ফলে পাঠক হয়ত কোথাও এটা হোঁচট খেতে পারেন ।শুধুমাত্র গানের লাইনই নয় ,প্রবাসী বাঙালী লেখকের কবিতার লাইনগুলো মনে করিয়ে দিচ্ছিল যেসব অমর সৃষ্টির আমি হাতে ধরে আছি তা কলকাতার থেকে বহুদূরে বসেই লেখা। প্রচুর পরিমাণে হিন্দি,উর্দু এবং ইংলিশ মিশ্রিত শব্দের প্রভাব(রান্ড্যম,প্যায়গাম,বিলকুল,মেহেঙ্গা ইত্যাদি)...এটা কবি সচেতন বিচক্ষণতার ব্যবহার করে লেখাকে শিল্পিত করে তুলতে চেয়েছেন নাকি আধুনিকতার দিব্য প্রয়োগ এ বিষয়ে বেশ একটা গোলকধাঁধায় পড়তে হয় পাঠককে ,অথচ কবিকে যেন মনে হয় সচেতন ও সার্থক ভাবেই প্রয়াগ করেছেন শব্দদের বোঝাপড়ায়,।


"পঁয়তাল্লিশ ডিগ্রিতে আকাশকে ছুঁতে চেয়ে/আকাশে দুই পা ঝুলিয়ে দিয়ে আমি লম্ব বানালাম "(অস্তে যাবার আগের নির্জনতা /পৃ:৩২)


বা



" গুছিয়ে নেবে তোমার কিউমুলো -নিম্বাস চুল

কোটি কোটি মেঘের শুঁড়ে জড়িয়ে নেবে 
তোমার ছায়াপথ ডিম?"
- কিংবা
"কিন্তু ইচ্ছেগুলি রঙিন 
তারও একটা রেনবো ইচ্ছে"(বৃষ্টি ভাঙা ধনুক /পৃ:১৭)



যে কথাটির অবতারণার জন্য এতগুলো কবিতা হাজির করা সেটা হল,কাব্যগ্রন্থটির অন্দরমহলের ধুক ধুক হৃদপিণ্ডতে হাত ছুঁয়ে দেখলাম ছড়িয়ে থাকা মণিকাঞ্চনে এক সুদূরপ্রসারী আকাশ ছোঁবার নেশা।মাটির কাছাকাছি গন্ধ তেমনভাবে চমকিত করে না,যতখানি করে হাওয়ার সাথে পাল্লা। কবিতাগুলি দেহাতি আবেশ ছেড়ে কবির প্রাক্তন পেশার(বিমানবাহিনী) একটা ঝলক বেশ বলিষ্ঠভাবেই নজরকাড়ে,শেকড়ের টান যেন এখানে উহ্য। "কিছু কিছু শিকড় যদিও লবণের স্বাদ পায়না"(খাজনা/পৃ:৫৪)কবি নিজেই বিড়বিড় করে আউড়ে গেছেন প্রচন্ড সত্যতা।

একটা হাওয়া বেলুন উড়ছে উড়ছে উড়ছে মাটির থেকে অনেক উঁচুতে যা কিনা বড় বেশি বৃক্ষের শ্বাসমূলে বিশ্বাসী মানুষদের ধরাছোঁয়ার বাইরে।

"জানি,এপথও যুদ্ধক্ষেত্রের দিকে চলে যাবে একদিন ..."(ফির মুসাফির /পৃ৪০)



"যে স্কার্টের নীচ দিয়ে এখনো আলো ঢোকেনি

যে নিয়ন খোলেনি এখনও ক্লিভেজ"(প্রতিজ্ঞা/পৃ:৫১)



"শুষ্ক গুহার মুখে ক্রমবর্ধমান খিদের চাপ,লালা ঝরিয়ে মরে যাচ্ছে দাঁত 

ছিঁড়ে যাচ্ছে চামড়া 
খুলে যাচ্ছে গুহামুখ
গুটিগুটি চারদেওয়ালে ঢুকে যাচ্ছে হেরো বাজিগর
করার্শিয়াল ব্রেক নিচ্ছে জাতিস্মর সুমন ...
কন্ডোমের রঙ পাল্টে দেয়ালে জায়গা করে নিচ্ছে সিলিকন ভ্যালি
ভোট শেয়ারে দখল করে নিচ্ছে গুগুল গ্লাস 
আন্ড্রয়েডের পর্দায় ভেসে উঠছে স্কোরবোর্ড..."
"আধুনিক দৌড় -ভাগে কিছুটা মিশে থাকে কার্বন 
বর্ষাফলকে ল্যুপ হয়ে ঘুরে আসে
তাম্র -প্রস্তরযুগ."(ল্যুপ/পৃ:৪২)







ক জীবৎকালে কোন লেখকের দশটি কবিতার লাইন একনাগাড়ে বলা গেলে জানা যায় তিনি যথেষ্ট খ্যাতিনামা কবি।কবি পীযূষের কবিতাগুলো পড়তে গিয়ে এমন কিছু অমূল্য লাইন ধারণ করলো হৃদয় ।একটি দৃশ্যের কতখানি গভীরে গেলে এমন মারাত্মক অনুভবি হয়ে ওঠে কলম।ঠিক এটাই যেন কবির প্লাস পয়েন্ট যার সম্পর্কে কবিও সচেতন ভাবেই ওয়াকিবহাল।

"ডিএনডি ব্রিজ ডাকছে
ব্রিজের নীচে যমুনা,জলের সাথে মিশে বাদামি স্রোত
রৌদ্রের কাঁধে চড়ে আসছে রাজধানীর সকাল"(ডিএনডি/পৃ:৫৫)



র্যবেক্ষণশক্তি এবং ভালবাসা না থাকলে বোধহয় এমনভাবে রাজধানীকে চিত্রিত করা সম্ভব নয়।যে প্রেক্ষাপট তৈরী হয়েছিল প্রথম দিকের কবিতাগুলোতে সেই প্রেক্ষাপটের সফল রূপায়ণ যেন দেখি শেষের দিকের কবিতা বলয়ে।কবির একান্ত বর্ণমালাকে ধরা -অধরা বিষয়টা কিছুটা আপেক্ষিক, কিছু কবিতার কথা বলতেই হয় এখানে -"ব্যথা,সাকার,প্রেম,স্ট্যাচু,রুটি বিক্রি হয়,অমৃতকুম্ভ,মিসলেনিয়াস,ইঞ্জিন"ইত্যাদি।কবিতাগুলি দারুণভাবেই নজরকাড়ে কবির নব্য বিষয় ভাবনায় , দক্ষতার সাথে শব্দ নিয়ে খেলা যেন কবির রক্তপ্রসূত ফল।একজন শিক্ষিত বাঙালী কবিকে অনুধাবন করাও সহজকার্য নয়,পাঠকেও অবশ্যই শিক্ষিত হতে হবে কবিসমানুপাতিক।


"তৃষ্ণাকে দিয়েছি আমি লাল জোড়া -ঠোঁট 
....
এখানে আমি প্রাতরাশে
মাখনের উপর রেখেছি শানিত ছুরিকা।"
বা
"এবার বাস্তভিটে,বাপঠাকুরদার জমি বিক্রয় করে দেওয়া যাক
ভেঙ্গে ফেলা যাক সুরক্ষা বলয়"



দিল্লীহাটের আড্ডায় যে কথাটি আমার প্রথমদিনের যোগদান থেকে শুনে আসছি দিল্লীবাসী প্রবাসী বাঙালী কবিদের মুখে তা হল,কবিতা হল আধুনিকতার সুউচ্চ নির্মাণ ,যেখানে কবিতার মধ্যে গল্প খুঁজতে চাওয়া ব্যাপারটা হবে অন্ধের দেশে আয়না ব্যবহারের মত।কবি পীযূষের গ্রন্থটি পড়ার সময় এই বোধটাকে মাথায় জিইয়ে রেখেই একের পর এক পাতা এগিয়ে চলে শেষ পাতা পর্যন্ত , শেষ পাতায় পৌঁছে আমার কিন্তু গল্পহীন কবিতা মোটেই মনে হলনা আলোচ্য কবিকে এবং তার গ্রন্থটিকেও , প্রতিটি কবিতার বিচরণভূমিতে প্রদীপের নীচের যে গাঢ় অন্ধকারটুকু বিরাজ করছে ঠিক ততখানি জুড়েই যেন এক একটা মঞ্চের পিছনের গল্পের অবস্থান।কিছু কিছু কবিতায় অতি আবেগ চোখে পড়লেও তাকে লাগাম পড়াবার মুন্সিয়ানা কবির কলমে বিদ্যমান তা পড়লেই বোঝা যায়।



"পাছে আর্জ হয়ে ছুটে আসে কিছু ব্লু লাইন"(অস্তনির্জন/পৃ:৪৫)
"হে প্রভু আমার ঘুম আসে/পাছে ঘুমবার আগে"(হাইওয়ে /পৃ:৯)



জিন্স মিনিস্কার্ট টিশার্ট পরিহিত নারীকে কপালজোড়া সিঁদুরের টিপ পড়ালে কেমন দেখায়! কবির বেশ কিছু কবিতাকে এই "পাছে" শব্দের ব্যবহার অনেকটা সেরকমই মনে হল , আর সেই সাথে এটাও মনে হল কবি হয়ত বিচক্ষণতার সাথেই এটার প্রয়োগ করেছেন সাহিত্যধারায় নব্য বন্দরের নির্মাণ হেতু।

লতে গেলে অনেক কিছু বলতে হয়,এত স্বল্প পরিসরে সব কবিতাকে তুলে ধরাও সম্ভব নয়।তবে যে কথাটি না বল্লেই নয় তা হল পীযূষ বিশ্বাসের মধ্যে একজন ভবিষ্যৎ সম্ভব্যকবি । তবে এই ঢেউকে আরো উচ্ছলতা না দিলে এক সময় স্তিমিত হয়ে পড়বে।লোহাকেও অব্যবহারে ফেলে রাখলে জং ধরে।কবিতা তো গানের মতই রেওয়াজ বা সাধনার বিষয়।তাই কবির কাছে আর্জি রাখবো তার কলম থেকে আরো সুন্দর আরো হৃদয়ের তোড়ন দ্বার ছুঁয়ে যাবার মত কিছু কবিতা পাবার।আশা রাখি কবির কলম সাহিত্যের আকাশে উজ্জ্বল নক্ষত্র অবস্থানে জ্বলজ্বল হয়ে বিরাজ করুক এবং খুব তাড়াতাড়ি কবির আগামী কাব্যগ্রন্থটি আসুক পাঠকের দরবারে।এগিয়ে চলুন কবি।


সোনালী মিত্র

২টি মন্তব্য:

Featured post

সোনালী মিত্র