উমা মন্ডল

মায়াজম
0
                   উমা মন্ডলের কবিতা


শূন্যতা এবং...

জল ছলছল করে সাদা পাতার অবয়বে
মধ্যে শূন্য গহ্বর, কৃষ্ণশব্দ বয়ে যায় ..
সজোরে ধাক্কা মারে একশত হাড়ের চুবড়িতে
কেঁপে ওঠে,ছিঁড়ে যায় গ্রন্থিগুলি
হু,হু শীতে জমে যায় লাল অমাবস্যা তবুও সে চাঁদখেকো রাত,
এমন রাতে জীবনশিখা অভিশপ্ত...
নাবিকের দিক বারবার ভ্রান্তির কুয়াশায় মুরে যায়
দিকভ্রষ্ট পথিকের যন্ত্রণা মৃত সরীসৃপের পড়ে থাকা অস্থির মধ্যে ডুকরে ওঠে
এখন একপ্রস্থ কেঁদে নাও,জমে থাকা জীবাশ্মের স্তর খানিকটা পাতলা হোক
এরপর হিসাব মিলবে না রিখ্টারের মাত্রায়
ভূপৃষ্ঠের এই এবড়ো খেবড়ো স্কিনে টোনারের জল চুঁইয়ে পড়লেও ভুমিকম্প আসবে!
শূন্যতার বোঝা এই অসফল জীবন কতো বইবে বলো......


চিত্রনাট্যকার-
১.শিরা ছিঁড়ে গ্যাছে চিত্রনাট্যের
ফিনকি দিয়ে রক্ত উথলে হাতের তালুতে,এই রক্তের স্বাদ্ আলাদা
একচুমুকে শেষ হয়ে যাক জীবন্ত অক্ষরগুলি...
২. সাদা পাতার গায়ে শেষ নিঃশ্বাস ফেলা অবয়বগুলিকে দেখলে মায়া হয়
চোখে তো বসন্ত রোগের আঁচ লাগেনি, এই পুড়ে যাওয়া সময়ে শুধু ধোঁয়া ওঠে সম্পর্কের
তাহলে..
অভিশাপ দিয়েছে জরাগ্রস্ত ক্যামেরার চোখ!?
আহা বড়ো ভালোবাসতো নমস্য প্রবীণ!
ছোট,ছোট হামাগুড়ি কাটা যৌবনবৃক্ষে পোকা লাগলে কতো খুচরো অংশ আগলে রাখবে জননী!
অতএব ভোগ করো অভিশাপ...
৩. এই বন্ধ্যা উপত্যকায় এখন কালরাত্রি চমকায়
আকাশকে চিরে ফ্যালে নারী,ঈশ্বরে
কিছু রক্তবীজের জীন্ তুলে রাখা যাক,পরবর্তীতে নক্ষত্রচরিত্র সৃষ্টি হবে মানস কলমে.....


আমি আর আমার আকাশ-
দু মুঠো জীবন চেয়েছিলাম আকাশের কাছ থেকে
ওই আলো,রামধনু
উড়তে পারার ডানা,
খয়েরী পালক দিয়েছিলো বিধাতা
রংচটা..
কোন এক ঝোড়ো ঝর্ণার সাদা জলে চুবিয়ে দিয়েছিলাম ওই জন্মদাগ
রোদ আসেনি,ভিজে ভিজে লাগে
স্যাঁতস্যাঁতে ঘরে ড্যাম্প,আমার গলা ডুবে যায়..
সুর শুনেছো পরিযায়ী,মহাশূন্যের ওম..
কোন এক বৈশাখের নভোশ্চর চেয়েছিলো,বড়ো তেষ্টা তার!
আমাকে তাম্রপাত্রে গঙ্গা লিখে দাও,চোখে জল আসছে
ধুয়ে যাচ্ছি,ধুয়ে যাচ্ছি আকাশপথে....

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0মন্তব্যসমূহ

সুচিন্তিত মতামত দিন

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন (0)