কর্ণ শীল - মায়াজম

Breaking

২৪ আগ, ২০১৮

কর্ণ শীল

★মদুক্তিকর্ণামৃত ★

Image result for wallpaper of drinks

দ্যাখো বাপু নেশা করে শাহ্...

  সে তোমরা যতই নাক সিঁটকে থাকো নেশাড়ু আর সাঁতারু, সাঁতার কাটবেই সে জলপথ হোক বা বায়ুপথ।

    এই আমি, শ্রী শ্রীল মহামহোপাধ্যায় কন্নো শীল, কত যে খোদ খলিফাকে লাট লেফাফা হয়ে দেখেছি এ ডাকবাক্স ও পোস্টম্যানের ঘাড় ঘুরে প্রপঞ্চময় নিত্যপথের মায়া ভুলে এলোটালমাটালমেলো রাস্তা মাপতে, তা লিপিবদ্ধ করলে একটি "বৃহৎমদ্যসার "গ্রন্থ হয়ে যেত।

   তা, কোনও কাজ শুরু করার আগে গুরুপদবন্দনা আবশ্যিক। 

তা করে নিই বিধিপূর্বক।

   "সর্বপ্রথম ভজি আমি শ্রী বলরাজ শীল
     তদুত্তরে ভজি আমি রাজবংশী অখিল,
  হজ শেখের চরণ 'পরে শত বাংলা শিশি,
  সবার ওপর আদিত্যরাজ, প্রণাম দিবানিশি "

       এইবার শুরু করি।

আমাদের গ্রামকে গাঁ বলতে গেলে বাপু বুকের পাটা লাগবে।  দু কিলোমিটারের মধ্যে যদিও কোনও এ.টি.এম বা হাসপাতাল নেই, মদের দোকান পনেরটি তো কম করে আছেই। দেশী চোলাইয়ের উনুন, বাংলার চটঘেরা ঠেক  থেকে শুরু করে "সিভ্যাস লাইফের " হোর্ডিং, আবগারি পুলিশের মুখে ছাই দিয়ে দিব্য জ্বলজ্বল করছে। 

    তা একবার হলো কি,  হজ শেখের ইচ্ছে হলো রাজা বাদশার কেতায় তিনি মদ্যপান করবেন।মানে পান, অনুপান আর ইয়ে..ওই বেগমজান আর কি ..?
 ওদিকে তিনি ট্যাঁকশূন্যের অমুকুটিত সুলতান। 

অগত্যা দেশী চোলাই কয়েক প্যাকেট জোগাড় করা হলো।  এদিকে আবার তাকে "চিক "বলে। ওই প্লাস্টিকের প্যাকেট আর কি। 

এক চেইন, এক টাকা প্যাকেট লাল লঙ্কার আচার আর একজন সাঁওতাল আধবুড়ি মহিলাকে সঙ্গে নিয়ে সোজা গঙ্গার চরে।

   ধান টান কাটা শেষ। আল পড়ে আছে জ্যোৎস্না কেটে কেটে।

   হজ শেখের দুই ইয়ারও "হজ দা, হজ বাবু "ইত্যাদি তেল মেরে মূর্তিমান নেপো হয়ে লকলক করতে করতে হাজির।

  ঢুকু ঢুকু নেশা বেশ চাড়িয়ে উঠেছে। জোছনার গায়ে ফুলফুল সর্ষেদানা। 

হজ'র দুই ইয়ার,  সাঁওতাল মেয়েটিকে নিয়ে বেশ আলের ধারে জৈবিক ক্রিয়া সেরে সুরে পাতলা হয়ে গেছে।

   হজ'র তখন উচ্চকোটির তূরীয় অবস্থা। 

সারাদিন খালিপেটে চোলাই গেলার পর দেহে কিছু তো অবশিষ্ট তো নেইই, তদুপরি কমদামী আচারের প্রভাবে বিষময় অম্বল গলা বুক ছাড়িয়ে মাথা পর্যন্ত ঠেলা দিয়েছে আর সমস্ত অর্গানিজমের সাম্রাজ্য পুরো হেলে পড়েছে, যা খাড়া করা খোদ মদনদেবেরও অসাধ্য। 

   মেয়েটি দুতিনবার চেষ্টা করে যখন দেখলো, হজ'র কাছে এখন দুনিয়ার বেবাক নারী দেবীবৎ, সে একটি ছোট্ট লাথি জায়গামতো মেরে সোজা হাঁটা।

   ওই কথায় বলে না, চৈতন্যোদয়, ...এক লাথিতেই হজর পূর্ণ রতিলাভ ঘটলো। সে অনুভব করলো তার সারাদিনের আয়..সারাদিনই বা শুধু বলি কেন? প্রায় দু তিন দিনের আয় জলে যেতে বসেছে, আর তার সলতনত শুধু শিরাজী পান  করেই ক্ষ্যামা দিতে চলেছে খোজার নামে, সে আর সহ্য করতে পারলো না। প্রচণ্ড জোরে লাফ দিয়ে মেয়েটির পা চেপে ধরলো, আর করুণ সুরে কেঁদে উঠলো, "বুন..বুন রে..তোর পায়ে ধরি বুন, আর একবার দে বুন ..!"

    মেয়েটি এই অসম্ভব সম্বোধনে, হাসবে না কাঁদবে ঠিক করতে না পেরে, হজ'র দেওয়া সব টাকা হজকেই ফেরত দিয়ে মিহি সুরে বললো, "তুই মাথায় জল দিয়ে, চাট্টি খেজুর খেয়ে আমার ঘরে আয় ভাই...তোকে আমি বিনি মাগনায় দেবো। "

তারপর আর জানিনা।

হজ তার পরেও বে হিচক মদ গিলেছে, কিন্তু তার একদিন কা সুলতান হওয়ার গল্প আর বিশেষ মনে পড়েনা।

                                     ★
আদিত্যের বাবা মদ্যপান এবং মদ্যপায়ী, এই দুই বর্গকে দু চক্ষে কেন বোধ করি স্বপ্নেও দেখতে পারেননা। তাঁর হাতে আবগারি দপ্তরের ভার দেওয়া হলে, যে কোনও রাজ্যকে ড্রাই বানাতে বোধহয় এক ফোঁটাও হাত কাঁপবেনা।

   তা দত্যিকুলেও পেল্লাদ জন্মেছিলেন, চাষীর মেয়েও যোদ্ধা হয়,ঘোর মদ্যবিরোধীর ঘরে ঘোরতর মদ্যপ জন্মাবে এ আর পরম আশ্চর্য কি?

   ইতিহাস বলে, মদে ইয়ার আর মেয়েছেলেতে ওয়ার। সাক্ষ্যও তার বড় একটা কম নেই মহাফেজখানায়।

   এই দর্শনে চক্ষুষ্মাণ যুক্তিবাদী..থুড়ি, মদ্যবাদী আদিত্য বেশ জাঁকিয়ে দার্শনিক হয়ে উঠলো, এবং সান্ধ্য দু গেলাশি, চার গেলাশি আড্ডা জমিয়ে ফেলতে তার খুব একটা বেগ পেতে হলো না।

     স্থানীয় রেলওয়ে স্টেশনের চার নম্বর প্লাটফর্মের গা ঘেঁষে, পশ্চিমে গ্রামের কম্যুনিটি হল।তা কম্পাউন্ড ঘেরা হলেও পাঁচিলের উচ্চতা দু আড়াই হাতের বেশী নয়। বোতল, চাট, খবরের কাগজ, মোমবাতি,  জল ইত্যাদি গুছিয়ে বসে পড়তে পারলেই হলো।

     উত্তরে বিরাট কম্যুনিটি বিল্ডিং। দক্ষিণে পাঁচিল। আলোও বাইরে যায়না। হাওয়া লেগে মোমবাতি নিভে যাবে, সে সম্ভাবনাও নেই যদি না বড়সড় ঝড়বৃষ্টি হয়।

   বর্ষার দিনগুলোতে লাগোয়া স্টোররুম কাম কিচেনের বারান্দায় হাত পা ছড়িয়ে বসলেই হলো। পাঁচতারা বার কোথায় লাগে তার কাছে?

    টিপটিপে বৃষ্টি, লাল বা সাদা পানীয়, মাঝে মাঝে কাঁচালঙ্কা বা গাঢ় মাটন গ্রেভী লালায়িত রসনার হু হা..দ্যাখো বাপু লেখকের দল, রসদ পাও কিনা?

    কিন্তু রোজই সোমদেব বা ব্যাকাস সদয় হবেন এমনটা স্বয়ং জিউসও তো গ্যারান্টি দিতে পারবেন না।  


   সেদিনও এমন টিপটিপে সন্ধ্যা। স্টোররুমের দরজায় বিজন, বলরাজ আর আদিত্য ঠ্যাঙ ছড়িয়ে বসে সবে দুতিন পাত্তর মখমলি যবরস গলায় ঢেলেছে। 

   স্টোর রুমটা মূল বিল্ডিংয়ের ঠিক পশ্চিমে অবস্থিত। মনে প্রশ্ন জাগতেই পারে, এমন রাজকীয় আরাম বাদ দিয়ে, সবাই ঘাসের ওপরে অন্যদিন আসর পাতে কেন?

   ব্যাপারটি হচ্ছে, মূল দরজা থেকে সরাসরি উত্তরে এই বারান্দার অবস্থান। ফটকের লাগোয়া পায়ে চলা রাস্তা থেকে দিনে দুপুরেই বারান্দাটি স্পষ্ট দেখতে পাওয়া যায়।

  আর রাতে তো কথাই নেই।বিশেষ করে নিকষ কালো বর্ষার রাতে মোমবাতির আলো বা পেন্সিল টর্চের নড়াচড়া পথচলতি মানুষের চোখে পড়তে বাধ্য, সে তার ইচ্ছা না থাকলেও।

   ভরসা একটাই গ্রামের বর্ষার রাতে কেউই খুব একটা গেরাহ্যি করেনা, কে আধা ব্যবহৃত -আধা পরিত্যক্ত কম্যুনিটি হলে মদ গিলছে। 

  আর করলেও, মাতালকে কে বাপু সেধে ঘাঁটাতে যাবে? 

তা সেদিন, বেশ গাব্দা একটা পার্শে ভাজা মুখে পুরে বলরাজ শুরু করেছে তার মরশুমি ফুলের বেড তৈরীর বাখান (রোজই করে)। বিজন আয়েশ করে সিগ্রেটটা ধরিয়ে বড় বড় টান দিয়েছে দুটো। এমন সময় আদিত্য আর্তনাদ করে উঠলো,

"এই রে..!বাবা! .."

    মুহুর্তের মধ্যে একটা ঝড় উঠলো যেন। আদিত্য কিছু বুঝে ওঠার আগেই দেখতে পেল মুখে গোটা মাছ নিয়েই বলরাজ টোট্যালি " নেই " হয়ে গেলো। প্রায় সোয়া ক্যুইন্টাল দেহটা যেন ভোজবাজিতে মিলিয়ে গেলো। বিজনের মুখের সিগ্রেট উড়ে গিয়ে ভাঙা বাল্বের হোল্ডারে আটকে রইলো, আর সেও পশ্চিমে ছুট লাগালো,একমাত্র যেদিকের পাঁচিলই শুধু ছ হাতেরও বেশী উঁচু।

    ইয়া আখাম্বা বছর ষাটের প্রবীণ। গলার আওয়াজ শুনলে বাঘ অব্দি ই.এন.টি খুঁজতে বসে।

    মাছভাজার কাঁড়ি, কাঁচা ক্রাঞ্চি বাদাম আর "১০০ পাইপার্স "হাতে নিয়ে আদিত্যই শুধু পালাতে পারেনি। মূর্তিমান বার -কাম -রেস্তোরাঁ হয়ে "একলা মোদো রক্ষা করে আসল মদের গড়। "

    -শূয়ারের বাচ্চা!এখানে বসে মদ মারছ? লজ্জা করেনা..জানিস আমাদের বংশে কেউ কোনওদিন..ইত্যাদি, অমুক। উর্ধ্বতন অক্ষৌহিণী সংখ্যক বংশলতিকার মদ্যহীনতার বীরগাথা শুনিয়ে তিনি যখন বিদায় নিলেন, আদিত্যের হাতের মদ পর্যন্ত ভয়ে চুপ করে আছে। দুগাল, কান গরম হয়ে আছে তন্দুরি তাওয়ার মতো।

   হবেনা? 

     গলায় যেমন বাঘ ডাকে, চিত্তানন্দের হাতটিও তেমনই বাঘেরই থাবা।

    দুচোখ ভর্তি একরাশ সর্ষেফুলের মধ্যে দিয়েই আদিত্য দেখতে পেল, পশ্চিমের প্রাচীরের গায়ে পুবের স্টেশনের ভেপার ল্যাম্পের আলো এসে পড়েছে। আর দেয়ালে একদম সেঁটে গা ঘষটে ঘষটে নিঃশব্দে দরজার দিকে চলেছে একহারা দেহটা। 

  বিজন..

-শ্লা বোকাচ্চিও...আমাকে বিপদে ফেলে সটকানোর তাল! ক্যালানি খেয়েছি একবার, বাড়ি গিয়েও এক প্রস্থ হবে জানি। আয় শ্লা সুদখাউনির ভাই...মদ মেরেই যা। চিন্তা নেই তোর বাপের কাছেও খবর যাবে...আয় শ্লা..!

    দেয়াল ছেড়ে স্পাইডারমন্য বিজন মাথা লটকে পুনরায় বারান্দায় এসে বসলো। আরেকটা সিগারেট ধরিয়ে টান দিয়েই আবার লাফিয়ে উঠলো,

-গ্রু..বলরাজ কই ব্বে? 

    তাই তো, সেই যে দেহ ও ভর্জিত মৎসবতার নিয়ে সে উধাও হলো, তার তো আর রা পর্যন্ত নেই। কাদায় টাদায় আছাড় খেলো না তো?

   পুরো চত্বর সার্জিক্যাল সার্চ চললো টানা আধ ঘন্টা। 
   
 ঝোপ ঝাড়, গাছের ডাল, ভাঙা অব্যবহৃত পায়খানার চেম্বারের গর্ত, স্টোররুমের পিছন ..নাহ্ কোত্থাও নেই।

   এবার দুজনের গায়ে কাঁটা দিল। তবে কি কাঁচামিঠে আমগাছের সরসী, বলরাজকে ওঁ পেটায় নমো ..করলো?

    দুজন, দুজনের মুখ চাওয়া চাওয়ি করছে, এমন সময় ...উত্তর দিক থেকে একটা গোঙানির আওয়াজ এলো।

   সর্বনাশ! এ তো বলরাজের গলা! 

ছুট ছুট ছুট...

    আদিত্য আর বিজন যখন উত্তরের পাঁচিলের ভাঙা ফোকরের কাছে পৌঁছল, বলরাজ মূর্ছিতপ্রায়।

   ব্যাপারটা হয়েছে কি, আদিত্যের বাবার সাড়া পেয়ে বলরাজ মাছমুখো হয়ে সোজা ছুট লাগিয়েছিল ভাঙা ফোকর গলে পালানোর উদ্দেশ্যে। কিন্তু এক চক্ষু হরিণের মত,ফোকরটাই শুধু দেখেছি, নিজের ঘটোৎকচীয় দেহখানাই বেমালুম ভুলে মেরে দিয়েছে।

    মাথা গলা অব্দি গলে গিয়ে যখন কাঁধখানি পৌঁছলো গর্তের দোরগোড়ায়, দেখা গেলো অমন তিনটি ফোকর লাগবে দেহটি পুরো ওপারে নিয়ে ফেলতে। আর গর্তের ওপাশেই ডোবার সংকীর্ণ পিচ্ছিল দক্ষিণ পাড়। গতিরুদ্ধ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে মুখ থুবড়ে পড়লো বলরাজ। আর মুখের মাছের লোভে গুচ্ছের পোকা, পিঁপড়ে এসে মুখময় বইতে লাগলো।

  ওঠার উপায় নেই, উপরেপাঁচিলের ছুঁচলো ভাঙা কংক্রীটের খোঁচা।

   গড়িয়ে পিছিয়ে আসবে? 

না বাপু, সেটি করতে গেলে ভাঙা ইঁট কংক্রিটের টুকরো, ভাঙা বোতলে বুক পেট চিরে একদম ওপন্ হার্ট সার্জারি হয়ে হয়ে যাবে।

     আদিত্য আর বিজন হাজার চেষ্টা করেও ওই বিশাল বপুকে এক ইঞ্চি নাড়াতে পারলো না। বেশী টানাটানি করলে আবার অঙ্গহানি, গেন্ডুয়াহানি, বেলনহানি হওয়া অসম্ভব নয়।

     মদ -মাছের মুখে নুড়ো জ্বেলে, আদিত্য ফোন লাগালো হরিহর মিস্ত্রীকে।সেও কোনও কোনও সন্ধ্যায় গেলাশ নাড়াচাড়া করে এই মদিরবৃত্তীয় কার্যকলাপে।

   ছেনি -হাতুড়ি দিয়ে দেয়াল ভেঙে বলরাজকে বার করতে করতে হরিহরের জিভ বেরিয়ে গেলো। বর্ষার রাত বলেই পাঁচিল ভাঙার ঠং ঠং শব্দ বেশী দূর পৌঁছয়নি।

       সেই ধকল কাটিয়ে উঠতে বেশ কিছুদিন লেগেছিল ওদের।

   তা বলে কি আর মৌতাত বন্ধ হতো? চলতো যখন তখন, যত্রতত্র। পরবর্তীতে বলরাজ খোরাক হতো বাকি আড্ডাধারীদের।

        তবে এখন বোঝা যায়, সেই একসঙ্গে বসে নিজেদের সুখদুঃখের ভাগবাঁটোয়ারার নেশার চেয়ে বড় নেশা কিছু হয়না।

     সেই কাঁচা মাটির গন্ধে বর্ষার আকাশগন্ধী টুপ টাপ, সেই নেশায় আধো আধো জড়িত গলায় বলা, "ভাই, তুই আমার নিজের ভাই ..",সেই কাঁচামিঠে গাছের নীচের নিম নিম মোমের আলো, -তার টানে আই.সি.এস প্রিলিমস্ ক্র্যাক করা সত্বেও মেইনস অ্যাটেন্ড না করে কেউ বাড়ি ফিরে আসে, খোলা মাঠের পাশে মারকিন মুলুক ফেরতা বিজ্ঞানী ছোট্ট বাগান ঘেরা বাড়ি তৈরি করে তার নাম দেন, "ফিরে এলাম "।

   এই নেশার টানেই কিনা?

  আসলে জন্মভূমির মাটির গন্ধে যে নেশা,উচ্চভূমিতে ফলা ভূমধ্যসাগরীয় আঙুর নিংড়ে তৈরি হাজার গ্যালন মদির পানীয়তেও সে নেশা নেই।

        বন্ধুত্ব, আত্মার যোগই সবার বড় নেশা। 

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

Featured post

সোনালী মিত্র