চল্লিশপাড়ের জীবন
হাল্কা আলো এখনো ঢুকছে জানলার বুক চিরে।এখনো উত্তাপ লেগে আছে উপত্যকায় ।স্তনবৃন্তে দাঁতের সাক্ষর,ঠোঁটে রক্তস্বাদ।ব্যথাতুর আয়েসে পাশ ফেরে পর্ণা।আরো একটু।আরো কিছুক্ষণ মৌজ করে কোঁচকানো চাদরের আরামে।চৌম্বকে ডুবে যায়।এখন সময় তার।একার।
প্রতাপ চলে গেছে অনেক্ষণ।কিছু এসে যায় না।নিকোটিনের গন্ধ দামী ডিও ছাপিয়ে ,"স্ল্যাপ মি ববি ,মোর ,গিভ মি পেইন....." ঘরের সিন সিন এসির বাতাস প্রতিধ্বনি করে।"আহ্হ" বাছা বাছা খেউড় বেরোয় মুখ দিয়ে আর আরো বন্য হয়ে ওঠে পর্ণা।
তার কোনো ভালোবাসা নেই।তার কোনো প্রেমিক অথবা স্বামী নেই।কিবা যায় আসে! ভালোবেসে কে কবে বন্য হতে পারে!
পর্ণার কোনো প্রেম নেই।তার নেশা আছে শুধু।
পর্ণা একসময় উঠে পড়ে। বাথরুমে নিঃসরণে কষ্ট ,চারিয়ে আছে ব্যথা।যেকদিন ঠোঁট ফুলে থাকে,ব্যথা থাকে পর্ণা আমেজে থাকে।অতীনকে ভালোবাসত কিনা মনে নেই আর।তবে সঙ্গমটা অভ্যেসে।অতীনের ছিলো নরম সরম যৌনতা,পর্দার আড়ালে চুপি চুপি ।গাড়ি দুর্ঘটনায় অতীন চলে যেতে সে যে অনেকটাই ভেঙে পড়েছিলো ঠিক তা নয়।আর্থিক অবস্থা একই ছিলো।হঠাত অনুভব করেছিলো অতীন কে সে ভালোই বাসেনি।বিহ্বল দিনগুলোয় রাতে একা।মা আর পুত্রহারা কাকীমা বলতেন "সন্তানকে নিয়ে বাঁচো।তুমি ত মা।"সদ্যস্বামীহারাকে আর কিবা বলবেন তাঁরা।মন মেনে নিয়েছিলো শরীর অবাধ্য।পোষ মানেনি।সেসব বড়ো উত্যক্ত হবার দিন।উদগ্র কামনাকে অবদমন করার দিন......
রাস্তার আলো আর ঘরেও জ্বলে উঠেছে আলো।পর্ণা গুনগুন গান করে ।চা বানায় খুশীতে।মেয়ে দিল্লী উনিভার্সিটি তে এম এস সি করতে গেছে, ছেলে হোস্টেলে চলে গেলো এঞ্জিনিয়ারিং পড়তে।নিয়মিত ফোন।ভিডিও কল।মা কাকীমা ননদ,করপোরেট চাকরী.....র পরেও শরীর ক্লান্ত হতে চাইত।একথা কি বলা যায় কাউকে! সে ত মরেনি তার কামনাও......।
এমনকি ইদানিং অতীন হাঁপিয়ে যেত উত্তাপহীন হয়ে যেত সেকথাও বলা যায় না কাউকে।
" জীবন্ত নারীর ক্ষিদে পায় পর্ণা"__ তার কলিগ কর্পোরেট সি ই ও রাজেশ আগরওয়াল এক অন্যরকম রাতে তাকে বলেছিলো প্যারিসের হোটেলে ।তবু সে ছিলো ব্যতিক্রমই।অতীন ছিলো তখন ও।তারপর অনেক শীত ।মিন্টোপার্কের মোড়ে হঠাত্ পাশাপাশি গাড়িতে স্কুল বন্ধু প্রতাপ।অলিপাব থেকে বাড়ির ডিনারে একান্ত।প্রতাপের সঙ্গে তার কোনো মিল নেই।
অতীনের সঙ্গেও ছিলো না।তবুও আচম্কা ঝড়ে উড়ে গেলো মাঝে দরজার পর্দাটা।পিপাসার্ত ছিল পর্না।ভীষণ।প্রতাপ মিটিয়ে দেয় তার তিয়াস।দেহের নেশাটা।
_____
সুচিন্তিত মতামত দিন