এবং দেউলঘাটা ও একটি ইতিহাসকল্প
১
পাথুরে হাঁটা পথে দশ মিনিট হলেও রাত্রের গাঢ় কালিমা কিছু দেখতে দিচ্ছে না। পাথরের কোনো খাঁজে পড়লে হাত পায়ের হাড় গোড় ফেটে ফুটিফাটাও হতে পারে, সে কথা মাথায় রাখতে হচ্ছে পা টিপে টিপে হাঁটতে গিয়ে। হোমড়াচোমড়া মানুষদুটোর সতর্ক চাউনি চারিদিকে ঘুরে বেড়াচ্ছে। রাতের অন্ধকারের সাথে রঙ মিলিয়ে পরনের পরিধেয়, মুখচোখ চিনবার কোনও উপায় নেই দূর থেকে। শুধু চোখের মণি ইতস্তঃত ঘুরছে সীমাহীনভাবে। হাতে জোরালো টর্চের আলো থাকলেও ধরা পড়ে যাওয়ার মারাত্মক ভয়ে তা জ্বালতে মানা। এরা দুজন প্রত্নতাত্ত্বিক মূর্তি পাচারকারী।
রাঢ়বঙ্গের আনাচে কোনাচে ছড়িয়ে আছে এরকম কত রত্ন , যেখান থেকে অনাবিষ্কৃত ইতিহাস রাতের অন্ধকারে গা ঢাকা দিয়ে হাতবদল হয় প্রতিনিয়ত। দেউলঘাটা সেরকম একটা জায়গা। পুরুলিয়ার জয়পুরের কাছে কাঁসাই নদীর তীর ধরে এবড়ো খেবড়ো লাল পথ চলে গেছে । পথের শেষে ঝোপ জঙ্গলের মধ্যে দাঁড়িয়ে আছে ভাঙাচোরা দেউল। দেউলগুলোর গায়ে অবহেলার ঝোপ লতাপাতা চাপ বেঁধে আছে। পলেস্তারা খসে পড়া দেউলের গা থেকে ঝরে যাচ্ছে নাজানা অতীতকথা। ঠিক এই জায়গাতেই লোকদুটো ঘুরঘুর করছে আজ। কিছুদিন আগেও মনের সুখে সারাদিন ধরে ধীরেসুস্থে টুকটুক করে সরিয়ে নেওয়া যেত মূর্তিগুলি, ছাড়িয়ে নেওয়া যেত দেওয়ালের নকশা! কিন্তু কিছুদিন হলো এক মহিলা এসে জুটেছে। ধ্বংসস্তুপ থেকে বেছে বেছে ছড়ে যাওয়া পাথরের মূর্তিগুলো বের করছে আর ভাঙা দেউলের ভিতর সাজাচ্ছে। যেন নিজের সাম্রাজ্য। ঘর সংসার নেই !... বিড়বিড় করে লোকদুটো। সেই থেকে তেমন সুবিধা করতে পারেনি এরা। সাধুবাবার মারফত খবর পাওয়া গেছে আজ দেউল ফাঁকা। কেউ নেই সেখানে। সুযোগের সদব্যবহার করার দিন আজ। চতুর্ভুজ দেবীমূর্তি আর গণেশের মূর্তি, এ দুটো হাপিশ করতেই হবে। মোটা লাভের আশা ও আনন্দে চকচকে চোখ সঙ্গত করে দুই মূর্তিমানের। তাড়াতাড়ি পা চালায় এরা।
হঠাৎ পাশের ঝোপের আড়াল থেকে অন্ধকার ফুঁড়ে এদের সামনে বেরিয়ে আসে একটা লম্বাচওড়া মানুষ। নাদুসনুদুস পেট। পরনে সবুজ মখমলী পাড় ধুতি। তর্জনী থেকে অনামিকা বহু রত্নছটায় সজ্জিত। গিলে করা আদ্দির পাঞ্জাবি, গলায় শেকলের মতো মোটা সোনার চেন। ব্যস্তসমস্ত ছুটে চলেছে জঙ্গুলে পথ বেয়ে দেউলের দিকে।
১ম পাচারকারী- মহা ফ্যাসাদ তো! এই লোকটা কোত্থেকে জুটল! আমরা আসব জানতে পেরেছে নাকি!
২য় পাচারকারী—চল, আজ পালাই। কি দরকার ল্যাফড়া বাঁধিয়ে!
১ম পাচারকারী- - কিন্তু এই লোকটাকে বেশ মালদার পার্টি মনে হচ্ছে! কি মতলবে এসেছে না দেখেই ফিরে যাব?
হাঁসফাঁস করে নাদুসনুদুস ভুঁড়ি চলতে চলতে থেমে যায়। কোথাও যেন চাপাস্বরে কিছু কথাবার্তা হচ্ছে! হাঁক পাড়ে—কৌন হ্যায় রে! ইধার আও! কেয়া চাহাতে হো তুমদোনো?
২য়পাচারকারী--- তুমিই বা এই জঙ্গলে রাত্রিবেলা কি চাও চাঁদু? কোন মতলবে এসেছ? কিতনে মাল নিকালে ইঁহাসে!! হেঁ হেঁ হেঁ সিগারেট পোড়া ঠোঁটের ফাঁকে হলুদ দাঁত উঁকি দেয়।
চোখ কপালে তোলে লোকটা । “ইঁহা পর হামলোগ মন্দির বানা রেহে হ্যায়। হামলোগ পুজাপাঠ করনে কে লিয়ে ইয়ে কিয়ে! আব হাম খুদ হি চোরি কিউ করুঙ্গা !”
খ্যাঁকখ্যাঁক হেসে লুটোপুটি খায় দুই চোর। ‘কি আমার সাধু এলেন রে । পোড়ো মন্দির থেকে চুরি করবেন না দামী মূর্তি। মূর্তি বসাচ্ছেন! হি হি হো হো!
বিস্ময়ে হতবাক মোটাসোটা লোকটা বলে, তো চলো! দেখবে চলো! দেউলের দিকে সবাই এগোতে থাকে। ঘুটঘুটে অন্ধকার জঙ্গলের মধ্যে সারবাঁধা তেলের বাতির ঔজ্জ্বল্য জায়গাটাকে দিনের রূপ দিয়েছে। কত লোকজন! কি পেল্লায় মন্দির নির্মাণ চলছে! চারটে প্রায় সম্পূর্ণ। তার মধ্যে একটি ৬০ ফুট উঁচু। আরেকটি মন্দিরের কাজ শুরু হয়েছে। বিরাট এলাকা জুড়ে চলছে খনন। ছোটো ছোটো ইঁট স্তুপীকৃত রয়েছে একপাশে। দেউলের গায়ে ইঁটের উপর কেমন একধরণের চুনের পুরু আস্তরণ। সে আস্তরণের উপর অসীম দক্ষতায় রাজহাঁসের প্রতিকৃতি, ফুল, রাক্ষসের মুখ, বিভিন্ন বিভঙ্গের নরনারী আঁকা হচ্ছে ধৈর্য সহকারে। চোখ কচলে নেয় চোরেরা। এসব কি! এখানে , এই পান্ডববর্জিত জায়গায় এত লোক এল কিকরে! সরকার থেকে পাঠিয়েছে নাকি , রাতারাতি সব সংস্কার করার জন্য! মুখ ফসকে কথাটা বেরিয়ে যেতেই তীব্র প্রতিবাদ করে উঠলেন নধরকান্তি মানুষটি।
“নেহি নেহি সরকার নেহি! সরাক সম্প্রদায় আছি হামলোগ।“
“নাহে মামু! এসব গল্প শুনিওনা! আমরা সরকার জানি, সরাক জানি না! তুমি পয়সাওয়ালা মনে হচ্ছে ! আরও বড় চোর! কোত্থেকে টপকে পড়লে হে!”
রেগে গেলে লোকটার গাল দুটো লাল হয়ে যায় । গড়গড় করে বলে চলে, হামলোগ কুশীদজীবি। বেওসা আছে তামাজুড়ি, তামাখুন কোলিয়াড়িমে। তামা, লোহা লে কে তৈলকম্প বন্দর সে কাঁসাই নদী হো কে তাম্রলিপ্ত যাতে হ্যায়। যিনলোগোকা বেওসা নেহি, উও খেতিবাড়ি করতে হ্যায় । হামলোগোকা মন্ত্র হ্যায় নমোকার! জৈন শ্রাবক হ্যায় হামলোগ!
একঝলক মধ্যযুগীয় ভারতবর্ষের সামনে দাঁড়িয়ে ঢোক গিলে একবিংশ শতকের পাকা মূর্তি চোর। বুঝে উঠতে পারে না এরা ঠিক কারা! ঘুরে ঘুরে দেখতে থাকে দেউল চত্বর। জৈন শ্রেষ্ঠী তাদের গাইড এখন। বেদীর আসনে রথ , উপরথের বিচিত্র কৌশল দেওয়াল বেয়ে শিখর অবধি পৌঁছে গেছে, মন্দিরের গায়ে আলো ছায়া যাতে পরস্পরে খেলা করে। সেই উৎকর্ষতার খোঁজে সুদূর উড়িষ্যা থেকে এসেছে শিল্পী। পলাশ গাছের গোড়ায় পড়ে আছে দামী শিলা আমলক আর কলস। ভিতরে বসানো হয়েছে এক পুরুষের মূর্তি।
‘তীর্থঙ্কর কা মুরত হ্যায়! ঔর ভি দেখো!’ চারফুট উচ্চতা বিশিষ্ট অসাধারণ সৌন্দর্য মন্ডিতা দেবী। অলংকার সজ্জিতা দেবীর অস্ত্র বা প্রতীক কোনোটাই তেমন পরিচিত নয়। পাশের কক্ষে সিংহ পৃষ্ঠে দন্ডায়মানা এক দেবী। দেবীর চার হস্তে চারটি প্রতীক। দেবীর উপরে খোদিত দুই মালাধারী রমনী মূর্তি। সুগন্ধি দীপে স্বল্প আলোয় মূর্তিগুলোর গা থেকে অলৌকিক আলো চুঁইয়ে পড়ছে। দেখে থমকে যায় এরা। ‘এসব কেমন দেবী! নিশ্চয় কিছু ঘাপলা আছে’—ভাবতে গিয়ে হোঁচট খায়। পাশেই চেনা দেবদেবী চোখে পড়ে। বাহন ইঁদুর নিয়ে বসে আছেন চতুর্ভুজ গনেশ। আরও খোদিত আছে, চতুর্ভূজ বিষ্ণু ,হংসবাহনা সরস্বতী মূর্তি। এদের থম হয়ে থাকা মুখ দেখে গলার জোর বাড়ে শ্রেষ্ঠীর --- ‘ইয়ে সব দেখনে কে বাদ তুমলোগ বোলেগে কি ম্যায় চোর হুঁ! তুমলোগ হামারা গুপ্তশত্রু তো নেহি হো!
মুহূর্তে পরিবেশ ঘোরালো হয়ে ওঠে। জৈন শ্রেষ্ঠীর গমগমে গলার আওয়াজে বল্লম উঁচিয়ে ছুটে আসে কিছু প্রহরী। এক পা দু পা পিছোতে থাকে চোরের দল। নাহ, এখানে থাকলে মার খেতে হবে! এক পল দেরী না করে দৌড় লাগায় । কিছুটা ছুটে আসে, পিছু ফিরে তাকায়, হাঁফাতে থাকে। আশ্বস্ত হয় এই ভেবে যে, কেউ তাদেরকে তাড়া করেনি । তেষ্টায় ছাতি ফেটে যাচ্ছে এদের, কিন্তু জল নেই তাই বড় অর্জুন গাছের গোড়ায় বসে চোখ বুজে একটু ঝিমিয়ে নেয়।
২
কতক্ষণ পাচারকারীরা ঝিম ধরেছিল সে তাদেরও মনে নেই। ঘুমে হয়ত চোখ জড়িয়েই এসেছিল, খট খট শব্দে চমক ভাঙে তাদের। কি আশ্চর্য! যেখান থেকে একটু আগে অত আলোর আভা আসছিল, সেখানে দুএকটা টিমটিমে আলো দেখা যাচ্ছে । ‘কি ধড়িবাজ লোকের পাল্লায় তারা পড়েছিল ! ভোজবাজি করে ম্যাজিক দেখিয়ে শেষে উবে গেল! না না এভাবে বুদ্ধু বানিয়ে তাদেরকে কিছুতেই ফেরত পাঠানো যাবে না। দুজনে মনের জোর এনে গুটি গুটি পায়ে আবার এগোতে থাকে। তবে বেশিদূর এগোতে পারে না। এদের তো দেখেনি একটু আগে! সশস্ত্র সৈন্যদল ঘিরে আছে দেউলগুলোকে। শিমুল, পলাশ গাছের গোড়ায় বাঁধা তেজী ঘোড়া। খট খট শব্দের রহস্য এবার পরিষ্কার হয় । কিন্তু, গাছের তলায় সেই শিলাগুলো কোথায় গেল? এরাই সরিয়ে দিয়েছে তাহলে! পা টিপে টিপে এগিয়ে যায় দুজনে- আড়ি পেতে শুনতে হচ্ছে কথোপকথন । দেখা খুব দরকার কিসের ষড়যন্ত্র!
এগিয়ে দেখে দেউলগুলি সম্পূর্ণ তৈরি হয়ে গেছে। সুবৃহৎ দেউলগুলির গায়ে পাথরনির্মিত বড় হস্তিমুখের সুন্দর জলনিষ্কাশন পদ্ধতি। ব্যোমকে যায় এরা! এই কিছুক্ষণ আগে দেখেছিল দেউল নির্মাণ চলছে! আর এখন নির্মাণ সম্পূর্ণ! হাতে বড় শিবলিঙ্গ ধরে লোকগুলো কি বলছে! এখনও মূর্তি বসানো হয়নি! কিন্তু একটু আগে মোটা লোকটার সাথে ঘুরে যে তারা দেখল সব কক্ষেই মূর্তি বিরাজমান! সবিস্ময়ে দ্যাখে দূরে ঝোপের মধ্যে অবহেলায় পড়ে আছে মস্তক ছেদিত ভাঙা পুরুষ মূর্তি, তীর্থঙ্করের মূর্তি। উপড়ে ফেলে দিয়ে বসানো হচ্ছে সিদ্ধেশ্বর মূর্তি। স্নান করানো হচ্ছে দুধ, মধু, ঘি-এর সুগন্ধীতে। পাশের কক্ষে চিরচেনা মা দুর্গা। শুধু অসুর বাঁদিকের পরিবর্তে ডানদিকে রয়েছে। চামর দুলিয়ে দেবীর ব্যজন করছেন ব্রাহ্মণ পুরোহিত।
এতক্ষণে চেনা পরিবেশ পেয়ে সাহস বাড়ে লোকদুটোর। তার মানে গোটাটাই ছক! কি মারাত্মক প্ল্যান ছকে এরা এসেছে! মোটা লোকটা হয়ত এদেরই দলের। আর সন্দেহ নেই , এরা বেশ বড়সড় গ্যাং ।এবার গলায় তেজ পায়, বুকে বল আসে । গলা চড়িয়ে চীৎকার করে--- “এই তোমরা কোন দলের? কোথা থেকে এসেছ? এটা আমাদের এলাকা ! এখানে ভাগ নিতে গেলে বখরা দিতে হবে আমাদের। নাহলে পুলিশ লেলিয়ে দেবো। পুরুলিয়া থানায় আমাদের ভালোই চেনাশোনা আছে।“ খান খান শব্দের আঘাতে ঘুরে দাঁড়ায় মানুষগুলো। এত প্রশ্ন শোনার অভ্যেস রাজারাজড়ার কর্মচারীদের নেই! জিজ্ঞাসু দৃষ্টিতে তারা তাকায় তাদের কাজে ব্যাঘাতসৃষ্টিকারীদের দিকে। অশ্বারোহীদের অশ্ব দ্রুতবেগে ধেয়ে আসতে থাকে চোরদুটোর দিকে। দ্রুতগামী অশ্বের সাথে তাল মেলাতে না পেরে তারা মাটিতে হুমড়ি খেয়ে পড়ে। জ্ঞান হারায়।
৩
পুরুলিয়া থেকে সাতাশ কিলোমিটার দূরে কংসাবতীর পাড়ে করম-কুসুম- পলাশ-অর্জুন-শিমূলের ঘন জঙ্গলে সবে ভোরের লাল রঙ ধরেছে সেদিন। লোকজন বছরের নির্দিষ্ট সময় ছাড়া তেমন একটা আসেনা এখানে। মিঠু মা, জঙ্গলের মধ্যে আশ্রম বানিয়ে পাহারা দিচ্ছেন তাঁর ধ্বংসপ্রাপ্ত সম্পত্তি। সাথে আছে এলাকার দু চারজন বাসিন্দা। তাঁরাই সেদিন অবাক বিস্ময়ে দেখলেন দুই প্রত্নমূর্তি পাচারকারীকে দিনের আলোয় কাঁচুমাচু মুখে দাঁড়িয়ে থাকতে। ইতিহাস এদেরকে স্বপ্ন হয়ে ছুঁয়ে গেছে। আসলে আমরা আমাদের বোধ ও মননের আনুপাতিক হারে ইতিহাস রচনা করে গেছি বরাবর। বাড়ির কাছে আরশিনগরে জঙ্গলের গর্ভে লুকিয়ে থাকা ভাঙাচোরা ইতিহাস তাই পাত্তা করতে পারে না আমাদের চেতনায়। আর প্রান্তিক মানুষেরা তেল- সিঁদুরে কালভৈরব, মা রঙ্কিণী, বাবা সিদ্ধেশ্বরের পূজন ভজনে বহন করে চলে এক মিশ্র সংস্কৃতি। যে সংস্কৃতির খননে পরতে পরতে দেখা মিলবে সরাক জৈন শ্রেষ্ঠীর জীবনাচরণ, ব্যবসাদারী অথবা পাল বংশের প্রতাপ, নাহয় কিংবদন্তীর শশাঙ্ক। দেউলঘাটার মাটিতে, ভেঙে পড়া দেউলে, টুকরো টুকরো সিঁদুরলেপা ভাস্কর্য মূর্তিতে মহাকাল এক জীবন্ত ফসিল। শেষ প্রশ্ন থাকে একটাই আমরা কি হারিয়ে যেতে দেব অমূল্য অতীতকে! নাকি চোরা ব্যবসার লোভ ঝাঁঝরা করে দেবে সংস্কৃতি? রাজনৈতিক ,আর্থ সামাজিক এই দুই ক্ষেত্রের সর্বোচ্চ স্তর থেকে গভীরে গিয়ে ভাবনার খুব প্রয়োজন হয়ে পড়েছে আজ। স্বয়ং সময় এসে বুঝি সেকথার উপলব্ধি দিয়ে যায়।
সুচিন্তিত মতামত দিন