মন্দির নগরীতে কোনও একদিন
‘ময়দানের শেষপ্রান্তের নিঃসঙ্গ বকুল গাছটির’ মতো নিঃশব্দ অভিমানও ছায়া দিয়ে ঘিরে রাখে। সময়ের ছাপ এসে পড়ে এক দীর্ঘ শাদা পাতায়। অথচ কলমের আঁচড় ফুটে ওঠেনি তাই ওই শুভ্রতা আড়াল করে রেখেছিল মুগ্ধতা, সঞ্চয় অথবা অপচয়। ক্ষয় যাকে নিঃশেষ করে দিতে পারেনি সেইসব অভিযাত্রী প্রাণ সাবধানী রোদের নাড়াচাড়ায় মুঠোর মধ্যে এনে দেয় হলুদ হয়ে যাওয়া পাতা, মৃত শাদা ফুলের গান। আর এভাবেই স্মৃতি ও বাস্তবের মিথোস্ক্রিয়া ঘটতে থাকে। জন্ম নেয় কিছু অসমাপ্ত ভ্রমণকাহিনী।
এই ভ্রমণকাহিনী সদ্য জন্ম নেওয়া নয়। কিঞ্চিৎ পুরনো এক ভ্রমণের স্মৃতিগুলো ডায়রির পাতায় ছিল। এলোমেলো ভাসা ভাসা লেখা হয়ে জমেছিল এতদিন। আজ সেইসব জড়ো করতেই বহুকাল আগের লালমাটির পথে হেঁটে যেতে ইচ্ছে হল। ইচ্ছে হল পুরনো এক মন্দির চাতালে বসে থাকি অথবা কিছুটা দূরে একটা মাজা পুকুর ও তার আঘাটায় জমে থাকা শ্যাওলা দেখতে দেখতে তৈরি করে নিই কোনও ক্যালিডোস্কোপ। যেখানে কখনও রঙিন হয়ে ওঠে পৌরাণিক কাহিনী থেকে সদ্য জন্ম নেওয়া কোনও মানবীর ইতিহাস অথবা দূর থেকে ভেসে আসা অচেনা কোনও রাগরাগিণীর বিস্তার।
তখন আমরা দুর্গাপুরে থাকতাম। সাপ্তাহান্তের এক ছুটিতে হঠাৎ জেগে উঠত ভ্রমণ পিপাসা। বাড়ীতে কিছুতেই মন টিকত না। একদিন উঠলো বাই তো বিষ্ণুপুর যাই! আলেক্স রাদারফোরড আর উইলিয়াম ডারিম্পল পড়ে ইতিহাসে মজেছিলাম। মুঘল স্মৃতির ছোঁয়া পেতে গেলে ছুটে যেতে হবে দিল্লি-আগ্রা। ইতিমধ্যে হাতে এসেছিল অভয়পদ মল্লিকের “বিষ্ণুপুরের ইতিহাস-পশ্চিমবঙ্গের এক প্রাচীন সাম্রাজ্য”। আনুমানিক ৬৯৫ বঙ্গাব্দে রাজা আদিমল্ল বাঁকুড়া জেলার কোতলপুর ও তার সংলগ্ন অঞ্চলে মল্ল রাজবংশের প্রতিষ্ঠা করেন। প্রায় ৩০০ বছর পরে মল্ল রাজা জগ্যমল্ল বিষ্ণুপুরের প্রচলিত মা মৃণ্ময়ীদেবীর ভক্তে অনুপ্রাণিত হয়ে বিষ্ণুপুরে মল্লরাজধানী স্থাপন করেন।
রাজা বীরভদ্র ছিলেন মল্ল রাজবংশের শ্রেষ্ঠতম রাজা। তিনি মুঘলদের সাথে মিত্রতা স্থাপন করেছিলেন এবং আফগানদের বিরুদ্ধে যুদ্ধে মুঘলদের পাশে ছিলেন। বৈষ্ণব গুরু শ্রী নিবাস আচার্যের সান্নিধ্যে এসে বীরভদ্র বৈষ্ণব ধর্মে দীক্ষিত হন। বিষ্ণুপুরের ইতিহাসে এ এক তাৎপর্যপূর্ণ ঘটনা। এরপর তিনি বিষ্ণুপুরকে বৈষ্ণব ধর্ম ও স্থাপত্যের কেন্দ্র হিসাবে গড়ে তোলেন। বীরভদ্র এবং অন্যান্য মল্ল রাজাদের কল্যাণে বিষ্ণুপুর আজ ‘পশ্চিমবঙ্গের মন্দির নগরী’। ল্যাটেরাইট অথবা ইঁটের উপর টেরাকোটার কাজ করা এই ঐতিহাসিক স্মৃতিসৌধগুলি এক অভূতপূর্ব ভারতীয় স্থাপত্যকলার সাক্ষী।
দুর্গাপুর থেকে গাড়ীতে আড়াই ঘণ্টায় পৌঁছে গেলাম ‘পশ্চিমবঙ্গের মন্দির নগরী’ বিষ্ণুপুর। এই বাংলার সবকটা বাসস্ট্যাণ্ডই একে অপরের যমজ। সেই ধোঁয়া ওঠা চায়ের কাপ, ডেকচিতে আধসেদ্ধ ভাতের ফেন উপুড় করছে কোনও কিশোর বালক, ছোটো ছোটো দোকানে ব্যস্ততা। কচুরি, শিঙাড়া আর চপের গন্ধে এক অদ্ভুত মাদকতা। যে মাদকতায় নিজেকে ধরে রাখা যায় না বেশীক্ষণ। তাই আর অপেক্ষা না করে স্বাস্থ্যের কথা বেমালুম ভুলে গিয়ে চপ কচুরির প্লেটে আত্মসমর্পণ করলাম। লাল মাটির ভাঁড়ে পুরনো জমা দুধের চায়ে কিছুটা ঢেঁকুর তুলে গ্যাস, অম্বল শব্দগুলো নিজস্ব অভিধান থেকে বাদ দিয়ে আপাতত সরু গলির রাস্তা দিয়ে রওনা হলাম।
শুরু হল আমাদের যাত্রা। প্রথমে ৫ টাকা দিয়ে প্রবেশপত্র কিনতে হল। এটা আর্কিওলজিক্যাল সোসাইটি অফ ইণ্ডিয়া দ্বারা সংগৃহীত। এই টিকটেই তিনটি মন্দির ও তার টেরাকোটার কাজ দেখা যাবে। রাসমঞ্চ, জোরবাংলা(কেষ্ট-রাই) মন্দির আর শ্যাম-রাই মন্দির। এই মন্দিরগুলো ও বিষ্ণুপুরের অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ মন্দিরগুলো সব আরকিওলজিকল সার্ভে অফ ইন্ডিয়া দ্বারা সংরক্ষিত।
টেরাকোটার মন্দিরগুলোয় ইতিহাসের হাতছানি, অশরীরী সংকেত
প্রথমে গেলাম রাসমঞ্চে। এই রাসমঞ্চের প্রতিষ্ঠাতা রাজা বীরহাম্ভীর(১৬০০খ্রীষ্টাব্দ)। ভারতের প্রাচীনতম পোড়ামাটির মন্দির। ইটের উপর সূক্ষ কারুকাজ করা মঞ্চটি বর্তমানে একটি স্মৃতিসৌধ। মন্দিরের গঠনশৈলী লখনৌয়ের ভুলভুলাইয়াকে মনে করিয়ে দেয়। বাংলার রাজারাও কি তাহলে তাঁদের রাণীদের সাথে লুকোচুরি খেলা খেলতেন ভুলভুলাইয়ায়?
শত শত রাধাদের মধ্যে একজন কৃষ্ণ কতজনকেই বা শোনাতে পারতেন তাঁর মধুর বাশী? আজন্ম অপেক্ষায় থাকা রাধারাণীদের দীর্ঘশ্বাস শুনতে পেলাম যেন লালমাটির দেওয়ালে। কিছুটা এগিয়ে গিয়ে আবার শুনলাম। নাহ! এবার শব্দটা যেন ফোঁসফোঁস শব্দ। তাহলে কি কোনও সরীসৃপের নিঃশ্বাস? একটু ভয়ই পেলাম। তাড়াতাড়ি বেরিয়ে এলাম ভুলভুলাইয়া থেকে।
বাইরে আর্কিওলজিক্যাল সার্ভের বোর্ড থেকে জানলাম এখানে ১৯৩২ খ্রীষ্টাব্দ পর্যন্ত রাস উৎসব পালন করা হত।
দ্বিতীয় গন্তব্য জোড়বাংলা, কেষ্ট-রাই মন্দির। মল্ল রাজা রঘুনাথ সিং ১৬৫৫ খ্রীষ্টাব্দে এই মন্দিরটি প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। ক্লাসিকাল একচালা শিল্পরীতি অনুযায়ী নির্মিত এই মন্দিরটি দেখলে মনে হবে যেন দুটো কুঁড়েঘর একটা ছাদ আর দেওয়াল দিয়ে জোড়া। মন্দির গাত্রে খোদিত টেরাকোটার কাজগুলো অসাধারণ। তৎকালীন রাজাদের কীর্তী, রামায়ন-মহাভারতের কাহিনী বর্ণিত আছে এই টেরাকোটার কাজে অপূর্ব সব ছবির মধ্যে দিয়ে। এই কারুকাজ যে-কোন ভ্রমণার্থীর কাছেই অত্যন্ত আকর্ষণীয়।
জোড়বাংলা মন্দির থেকে এগিয়ে এরপর গেলাম শ্যাম-রাই মন্দিরে। টেরাকোটার কারুকাজ করা এই মন্দিরটি ১৭৫৮ খ্রীষ্টাব্দে মল্ল রাজা চৈতন্য সিং প্রতিষ্ঠা করেছেন। ডোম আকৃতির শিখর যুক্ত এই মন্দিরটির গায়ে পুরাণের কাহিনী আঁকা আছে। শ্রী কৃষ্ণ এই মন্দিরের আরাধ্য দেবতা।
এরপর আমরা গেলাম দুর্গের দিকে। পথে পড়ল গুমঘর। এটাই ছিল মল্ল রাজাদের আমলে কয়েদখানা। এরপর এল দুর্গের দরজা। দরজা দিয়ে প্রবেশ করে দেখলাম একটা ছোটো জলাধার। একে বলে মোর্চা হিল। এখানে দুর্গাপূজোয় কামান দাগা হত। আরও একটু এগিয়ে দেখলাম পাথরের রথ। এটি ল্যাটেরাইট পাথরে তৈরী।
দুর্গের ভেতর দেওয়ালে বটের ঝুরি, যত্রতত্র শ্যাওলা আর বুনোগাছের জঙ্গল। একটা অতিরিক্ত শীতভাব আর সেই রাসমঞ্চে ফেলে আসা সরীসৃপের ফোঁসফোঁস আবারও শুনতে পেলাম। এইবার একটু তীব্র। যেন খুব কাছেই আছে উৎস। ভয় নয় কেমন যেন আবেশ। ওই বটের ঝুরি পেরিয়ে ভেতরে যাওয়ার নেশা পেয়ে বসল। এক পা এক পা করে ফেলে মোহাচ্ছন্নের মতো এগোতে থাকলাম। দুর্গের ভেতর যাওয়ার নেশা পেয়ে বসল। আর পথে দেখাতে লাগল একটা সরীসৃপের দীর্ঘশ্বাস। যেন লুকিয়ে আছে অজানা এক জগত। না দেখা সব দৃশ্য। বাস্তব অথবা কল্পিত কোনও চলচ্চিত্রের নির্মাণ হয়ত! তাই অজস্র চড়া কৃত্রিম আলোর থেকেও ঘন একটা সবুজ অন্ধকার যেন ক্রমশ তার হাঁমুখ বড় করে এগিয়ে আসছে। আর আমিও সেঁধিয়ে যেতে চাইছি ওর ভেতর।
পিছনে একটা শব্দ যেন অশরীরী ইশারাকে ভেঙে ফেলবে বলেই তার আগমন। “ওদিকে আর এগোবেন না। এখানে সাপখোপের বাসা। অনেকদিন সংস্কার হয় নি এই দুর্গের।”
মনে পড়ল বাইরে আর্কিওলজিক্যাল সার্ভের বোর্ড এখানে দেখিনি। অরক্ষিত অবহেলিত এক দুর্গের প্রাচীর মৌন এক অভিমানে পড়ে রইল। আমরা এগোলাম পরবর্তী গন্তব্যে।
এরপর আমরা গেলাম লালজিউ মন্দির আর রাধেশ্যাম মন্দির। এই মান্দিরগুলো প্রত্যেকটি এক একটা অসাধরণ শিল্পরীতির সাক্ষর বহন করছে।
মন্দির দর্শন শেষ হলে আমরা গেলাম লালবাগের দিকে। লালবাগ একটি স্মৃতি উদ্যান। কোনোএক মল্ল রাজা তাঁর মুসলমান স্ত্রী লালবাঈ-এর উদ্দ্যেশে এই উদ্দ্যানটি নির্মাণ করান। উদ্যানের সামনে একটা বড় দীঘি। সেই দীঘির পাড়ে বসে গল্প শুনলাম। রাজা লালবাঈয়ের প্রেমে মগ্ন। ঠিক যেমন বাজবাহাদুর আর রুপমতীর গল্প যেন। কিন্তু সে গল্পে বাইরের শত্রু ছিল। মুঘল সেনা, সেনাপতি আধম খাঁ-এর লিপ্সা, উচ্চাকাঙ্ক্ষা মিশে ছিল বাজবাহাদুর আর রূপমতীর প্রেমের গল্পে।
লালবাঈয়ের গল্প কিছুটা অন্যরকম। রাজার প্রথমা স্ত্রী লালবাঈকে সহ্য করতে না পেরে তাঁর স্বামীকে বিষ দিয়ে হত্যা করেছিলেন। এই অব্ধি বলে কথক থামলেন। তারপর দীঘির জলে একটা পাথর ছুঁড়ে দিলেন। ছোট্ট একটা নুড়ি পাথর। খুব সামান্যই একটা তরঙ্গের আভাষমাত্র দিয়ে আবার সেই কাজল কালো জল শান্ত স্থির। কথক শুরু করলেন আবার।
-লালবাঈয়ের কী পরিণত হয়েছিল জানেন?
-যে পরিণতি রূপমতীর হয়েছিল?
-নাহ। রূপমতী আত্মহত্যা করেছিল। লালবাঈ তখনও জানতে পারেন নি রাজা মৃত। কোনও এক দাসী এসে খবর দেয় রাজা লালবাঈয়ের বিচার করবেন। রাজসভা বসেছে। রাজ্যে অনাবৃষ্টির জন্য লালবাঈ দায়ী। রাজ সভায় উপস্থিত সবারই মতামত নিয়ে রাজা সুবিচার করবেন এবার। তাঁকে মৃত্যদণ্ড দেওয়া হবে সর্ব সমক্ষে। দাসী লালবাঈকে পালিয়ে যেতে অনুরোধ করেছিল।
-লালবাঈ পালিয়ে গিয়েছিল?
-সে তখন তার তানপুরা নিয়ে বসেছিল। হাসতে হাসতে দাসীকে উত্তর দেয়, “রাজার জন্য নতুন একটা সুর তুলছি। তিনি এলেন বলে। আমি তার জন্যই অপেক্ষা করছি। তুমি আসতে পারো।”
দাসী আবারও সতর্ক করে দিতে চাইলে, লালবাঈ হাত তুলে তাকে থামিয়ে দিয়ে বলেছিল “যাও রাণীমাকে বলো আমি তাঁকে সেলাম জানালাম। কিন্তু তাঁর রাজাকে তাঁর হাতে ইহজীবনে আর কখনোই তুলে দিতে পারব না।”
-তাহলে লালবাঈ রাজাকে ভালবাসত? সেইজন্য এই নিশ্চিন্ততা, সেই কারণেই এই নির্ভীক সুস্পষ্ট ঘোষণা?
-পুরনো কাহিনী বলছি আমি। ভালবাসার কিছুই জানিনা, বুঝিনা।
-আচ্ছা, তারপর কী হল? রাজা কি বিষপ্রয়োগে মারা গেলেন?
-হ্যাঁ। রাজার মৃত্যুর পরই তো দাসী গিয়েছিল লালবাঈয়ের কাছে। বললাম তো আপনাকে আগেই। রাজা মৃত।
একটু অন্যমনস্ক হয়ে পড়েছিলাম বুঝি। তাই শুনলাম ‘ভালবাসা মৃত।’
-রাণী এক বাইজির ঔদ্ধত্য আর সহ্য করতে পারলেন না। হাতপা বেঁধে, মুখ ঢেকে রীতিমতো ধাক্কা দিয়ে লালবাঈকে দীঘির জলে ফেলে দিলেন।
কথকের দীর্ঘশ্বাস ছাপিয়ে সেই প্রথম শোনা সরীসৃপের ফোঁসফোঁস শব্দ আবারও শুনতে পাচ্ছি। এবার আরও বেশী স্পষ্ট। দীঘির কালো জল বড় বেশী ঠাণ্ডা আর শান্ত। ঘাটের শেষ ধাপ থেকেই পা ছুঁয়েছিল সেই কাজল কালো জল। যেন পা জড়িয়ে ধরে কেঁদে উঠল। আবার পেছন থেকে ডাক। এইবার চিৎকার। “জল খুব গভীর। এখানে এই কদিন আগে একটা কিশোরী মেয়ে ডুবে গেল। আর উঠল না। উঠে আসুন আপনি।”
ফোঁসফোঁস শব্দ যেন সম্মোহন। তখনও শুনতে পাচ্ছি। ‘উঠে আসুন’ শব্দের বিপরীতে যেন মাধ্যাকর্ষণ শক্তি। কীকরে সেই শক্তির প্রভাব কাটিয়ে উঠে এলাম তা অন্যকোনো গল্পের জন্য অপেক্ষায় থাক।
লালবাগ থেকে এরপর গেলাম দলমাদল কামান আর ছিন্নমস্তা মন্দির দেখতে। দলমাদল কামান এক ঐতিহাসিক সাক্ষী বহন করছে। কথিত আছে রাজা গোপাল সিংহ-এর আমলে গৃহদেবতা মদনমোহন স্বয়ং এই কামানের সাহায্যে বর্গী আক্রমণ রুখেছিলেন। ছিন্নমস্তা মন্দিরটি প্রায় ১০০ বছর পুরোনো।নিয়মিত এখানে পূজো হয় ও রক্ষণাবেক্ষণের কাজ চলে।
এবার ফেরার পালা। ড্রাইভারের কাছে শুনলাম ‘মেঘমল্লার’-এর পোস্তর বড়া আর মাছের ঝোল না খেলে বিষ্ণুপুরের এক বড় আকর্ষণ মিস করে যাবো। এই কথায় মনে পড়ল বালুচরিও তো আরেক আকর্ষণ। বিষ্ণুপুরি সিল্কের ওপর ফুটে ওঠা নকশীকাঁথা, বালুচরি কিছুই তো দেখা হল না। হাতের কাছে পোড়ামাটির দুটো ঘোড়া দেখতে দেখতে বললাম, “মেঘমল্লারে চলো”। একটু ভয়ও ছিল। সেই ফোঁসফোঁস শব্দের সম্মোহনী ক্ষমতার কাছে হেরে যাওয়ার ভয়, তাকে ভয় পাওয়ার ভয়। কিন্তু ভেবে দেখলাম, একবেলা অথবা এক জীবন বড়ই ছোটো। তাই অসমাপ্ত সব শব্দ ও দৃশ্যদের সাথে নিয়েই চলেছি সেই কবে থেকেই।
চমৎকার লেখা। ছবির মতো। মন্দির নগরী বিষ্ণুপুরের দুর্দান্ত ভ্রমণ কাহিনী। বেশ ভালো লাগল রিমি।
উত্তরমুছুনঅনেক ধন্যবাদ দাদা।
মুছুন