ঢাক ঢোল পিটিয়ে কলস স্নান
যেন কতো মান্য করে তোকে
প্রতিবারই সেই চারদিনের নৌটঙ্কি তবু
ধকল সয়ে তোর যাওয়া চাই-ই I
কয়েকদিন একটু সাজুগুজু করবি বলে আটপৌরে শাড়ি আর তোর ভালো লাগে না
একবারও ভেবেছিস আমরা কাকে নিয়ে থাকবো
কার কাছে বলবো সুখ-দুঃখের কথা!
তখন তো মেকি জড়োয়ার সাজে তুইও মেতেছিস উৎসবে I
তোর বিজ্ঞাপনে চারিদিকে শুরু হয় হরির লুঠ
কিছুটা পেলে হয়তো ধান রুইতে পারতাম এবছর
পুরস্কারের লোভে তোর ধনী সন্তানরা আমূল পাল্টে দেয় তোর মাতৃরূপ
চারিদিকে ধন্যি ধন্যি পরে যায় শিল্পীর
অথচ অস্থায়ী রাজবাড়ীর থামের আড়ালে দাঁড়িয়ে তোরই অভুক্ত সন্তান দেখে পঙতি ভোজন I
কাঁসর বাজাতে বাজাতে ঢাকির ক্লান্ত ছেলেটার গালে তখনও লেগে থাকে একটা বেলুনের জন্য কান্না ,
নাড়া দেয় না কিছুই তোকে
কেমন মা তুই ?
চারদিনের এই অভিনয় নাই বা করলি
তার চেয়ে একেবারে থেকে যা সারাবছরের ভিটেয়
ওদের অনেক পয়সা
চাইলেই ভাড়া করতে পারে জ্যান্ত নায়িকা I
আর আসতে পারবি না বলে তাড়াতাড়ি ফিরে আয় মা
চুলাও এ কয়দিন অনশনে
শাপলা-শালুকে সেজে দীঘিও কেমন আনমনা
কাশবন ভুলে গেছে মাথা নাড়াতে
যত্নে নিকোনো দাওয়া নিষ্প্রাণ তোর আলতা পায়ের খোঁজে
সুচিন্তিত মতামত দিন