সৌমাভ

মায়াজম
4
মল্লিকা




ল্লিকা এক নষ্ট মেয়ের নাম, মল্লিকাদি আমাদের বাগানে ফোটে,
মল্লিকাদির দিকে সবাই তাকায় আড়চোখে, মল্লিকা পরপুরুষের বাড়ি যায়,
পিঠের খাঁজে তার ছাতিম ফুলের গন্ধ, কোমরে মাছের ট্যাটু আঁকা,
সে তার ভরা গতরের পোশাক খুলে আসে শহরের ভদ্দরলোকদের বাড়িতে,
আমি বাগান থেকে মল্লিকাদিকে তুলে এনে কবিতার খাতার উপর রাখি,
কলম দিয়ে তার চোখ আঁকি রাতে, কানের লতিতে ঠোঁট নামাই,
চুল আঁচড়ে দিই, বাতাসে শোনা যায় তার দীর্ঘ নদীর মতো চুল আঁচড়ানোর শব্দ-
খস খস, খস খস... আমার তপ্ত নিঃশ্বাসে গরগর করে তার ঘাড়ের খয়েরি রোম,
আমি মল্লিকার স্তনের উপরে পোকার ছবি আঁকি,
মল্লিকাদির দুই বুক শিকারী বিড়ালের মত ফুলে ফুলে ওঠে
মল্লিকা তার পায়ের আঙুল ঘষে আমার পায়ের আঙুলে,
খসে পড়ার আগে দেখি ফুলের উপচে ওঠা রঙিন জলজ পাপড়ি…
এভাবে কোন কোন দিন মল্লিকা নামের ফুলেরা
বাতাসে সমস্ত মেক আপ আর ব্লাউজে গোঁজা ভাঁজ করে টাকা
বাতাসে উড়িয়ে দিয়ে হাত হাত, পায়ে পা, পাপে পাপ ছুঁয়ে থাকে,
সেদিন তারা শিস দেয় না, বাজারে যায় না, কেনা বেচা বন্ধ থাকে সেদিন,
যে ফুল বিক্রি হয় না, তার ঝরে পড়াটির নীচে আমি সারারাত মাটি হয়ে থাকি।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

4মন্তব্যসমূহ

সুচিন্তিত মতামত দিন

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন