কস্তুরী সেন - মায়াজম

Breaking

২২ অক্টো, ২০২০

কস্তুরী সেন





ঋতু


শীত বলতে উচিত শিক্ষা, ধরে নিন রাষ্ট্র ঠিক করে দিল
আসলেই নাগরিক কী কী ভাবতে পারে...
গ্রীষ্ম কিছু দ্বিধাদ্বন্দ্ব, না এখন ঠিক তত উদগ্রীব হয়ে নেই আর,
হেমন্ত তো শতবর্ষ, এই যেমন এই লেখা
বঢ়কে চুম না লে আপকে কদম!
শরৎ পাকজনাবেষু, ভোরভোর ভোলবদল,
ফের খুব যুদ্ধ হবে নাকি!
মায়ের ডালের হাতা, সঠিক বসন্তকাল
তাড়াহুড়োয় সাদার মধ্যে, এসে বসল একফালি গন্ধরাজ রোদ --
বর্ষা বলতে কী ধরবেন?

এই যে, সব এক আষাঢ় বলতে চেয়ে সারাদিনে কয়েকবার আমাদের দুলাইন কথা...




সন্ধ্যাকালগাথা


ততও সূত্র কিছু নেই
বেলা ঘুরে যাবে,
আর মুছে নেওয়া যাবে বেশ
কী লিখেছি সকালবেলায়!
উতোর দেব না কেউ কারও...
অথচ কথাই হবে, হতে থাকবে
জ্বলে উঠবে নিভু নিভু বাতি
'বুঝি' বলতে মনে পড়বে আহা এই বাংলা ভাষারীতি
এমনই জ্বেলেছে আলো কতবার
প্রথম মুদ্রণ!
এ ওকে নিজের কথা বলে যাব বহুদিন পর
আশ্রয় হারাল যা যা ফিরে আসবে কাহিনির বাঁকে!
তুমি লিখবে - বুঝি কার উড়ো চুল,
- বুঝি কার কাঁধব্যাগ,
-বুঝি কার ঘরে এসে বসা যত সন্ধ্যাকালগাথা...

আমি মনে মনে বলব 'ভুলে গেছ,
মনে নেই বুঝি?'
যে আমার সন্ধ্যা ছিল, কাল ছিল,
তাকে!


বাকি


পথ এসে মিশে যাচ্ছে
আবার আলাদা হয়ে দূরে যাচ্ছে পথ
এসবে নতুন কিছু নেই
আমার উত্তর তবে এই
মিশে যাওয়াটুকু নিয়ে যথাসাধ্য ভোর হয়ে থাকি?
এই রোদ অসময়ে এই বৃষ্টিজল
সকালবেলাটি বলতে ধুয়ে যাওয়া চোখ
ফের ফুল ফুটে ওঠা বিষ নয় ধুলো নয়
শ্বাসশব্দ একদিন, 'হ্যাঁ শুনছি' একদিনের নামে,
এই তো, লেখার মধ্যে কথা বলতে এটুকুই বাকি!



আয়ু


এক পা এগিয়ে এল
শব্দ আর বাক্য আর আলো...
মুষ্টি থেকে আয়ু খসে যায়

ফের বাজছে কলিংবেল,
ফের বলো পদ্ধতি যা জানো তুমি
ক্ষুণ্ণিবৃত্তি, অঙ্ক কষা,
টব ফুল প্রত্যেকের সৌষ্ঠবের কাজ
শব্দ সও আলো সও দিবারাত্রি অন্ধকারে
কাজ কী রে তোর!

মুষ্টি থেকে আয়ু খসে যাক

লেখার খাতার মধ্যে সারাদিন
শুধু অসফল এক কবিতা না হয়ে ওঠা ভোর



মেলা

একদিন ক্ষারগন্ধে হাসপাতাল নীল
একদিন পুঁথিগন্ধ
মথগন্ধ রোদগন্ধ নাম

একদিন জ্বরে চার্ট

মেঘে ভাসল তাপ আর
একদিন 'জোরে বলো, কথা কাটছে
এইভাবে বোঝা মুশকিল'

একদিন জলস্রোতে শব্দ হয়েছিল

সতেরো বি-এর স্ট্যান্ড,
একদিন ভুল বাক্য ভেঙে
দুরন্ত সবুজ পাখি উড়ে গিয়েছিল

স্বপ্নে পড়া মেলা বাঁধা গ্রাম

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

Featured post

সোনালী মিত্র