মুক্তপতন
হৃষিকেশ থেকে বাঞ্জি জাম্পিং এর অভিজ্ঞতা আছে কিনা জানতে চাইলে - অধিকাংশ কিশোরীর থেকেই জবাব পেতাম............. "না"
এই "না"-এর মাধ্যমে একটা ডমিনেশন এর সুযোগ আমায় উপহার দিতেন অজান্তে কিশোরীরা,
আর
সেই সুযোগের দড়ি টানাটানি খেলায় প্রায় চরম মুহূর্তে দড়ি ছেড়ে দিয়ে
মাধ্যাকর্ষনের কাছে হার মানতাম আমি। পৃথিবীর সমস্ত বেড়াল তখন চোখ বুজেছে।
আয়েশ করে বসেছে আদর খাবে বলে...
অথচ
সেই একই প্রশ্নের উত্তরে "হ্যা" বলেছিলো ক্ষিতীজা। শুধু তাই না,
জীবন-মৃত্যুর মাঝামাঝি সূঁচসম চওড়া অথচ মারিয়ানাসম গভীর খাদে কিভাবে
প্রাণের স্পন্দন আর অ্যাড্রিনালিন মাখামাখি হয়ে যায়,
আলো-ভয়-ব্যথা-প্রিয়জন-ঘূর্ণন-গা ছ-গাছের সবুজ... কিছু অপ্রাসঙ্গিক শব্দ
বিক্ষিপ্ত টোকা মারে অস্তিত্বে, কিভাবে নিজের ভেতর থেকে নিজের কোয়াণ্টাম
আমি গুলো ছড়িয়ে ছিটিয়ে বিচ্ছুরিত হতে হতে আছড়ে পড়ে হাওয়ায় বিদ্ধ হাওয়ার
শলাকায়! বলেছিলো, আঠারো বছরের নাবালক গতিপথে যেসব ইচ্ছাকৃত বা অনিচ্ছাকৃত
বমিরা সংঘটিত হয়েছিলো অথবা, হবো হবো থেকে হয়ই নি কোনওদিন - তাদের ভেতরে
কিছু অদ্ভুত আকৃতি মুখের কথা! যাদের সাথে বাপের জন্মেও পরিচিতি ছিল না
ক্ষিতীজার... এরা কারা?
আমি যে মুগ্ধ শ্রোতার মত এইসব শুনেছিলাম, তা না -
নির্জন পাহাড়চূড়ায় অতিসাধারণ এক ঘণ্টাধ্বনি যেভাবে খাঁ খাঁ বেজে ওঠে.. বাজতে থাকে...বাজতেই থাকে...পাথরে...পাহাড়ে...মাথায়
আমারই
গভীরে ঢুকে, আমারই প্রশ্নের দেখানো পথে ক্ষিতীজা মাথার ভেতরে সেই
ঘণ্টাটিকে নাড়িয়ে দিয়েছিলো। তার সেই হ্যাঁ-অধিক "হ্যাঁ" এবং নিখুঁত অনুপাতে
মেশানো বিনয়... আমার ডানগালে এক মোক্ষম থাপ্পড় মেরে খাঁচার বাঘটাকে
আস্কারা দিয়ে ফেলেছিলো যেন
এখন,
লোকালয় ছেড়ে বহুদূরে... ক্ষিতীজার চেও বহুদূরে... এক রোদেলা হাওয়ার হিমেল
তাবুতে বসে সেই বাঘটার ক্ষত মেরামত করছি। চাবুকের ভালোবাসা এবং ভালোবাসার
চাবুক দুইয়ের ভেতরেই ভালোবাসা কিভাবে খুঁযে নিতে হয় শুধু এই ডোরাকাটা
জানে... যেটা জানে অথচ কিছুতে বুঝতে চায় না, সেটা হল বেড়ালের ভাষা নরম
হলেও আদতে সে মাংসাশী
ক্ষিতীজা কে লেখা চিঠিগুলো কেও আর অনুবাদ করে দেয় নি
খুব সুন্দর বললেন। প্রসার বিস্তার কথন মিলিয়ে ভাষান্তরের প্রয়োজন পড়ে না। ক্ষিতীজা সাবলীল ভাবেই বুঝবে সন্দেহ নেই...
উত্তরমুছুন