শিবু মণ্ডল - মায়াজম

Breaking

২৪ জুন, ২০২৩

শিবু মণ্ডল

 

   ধারণা-১



রো থ্রীএক্স রাম একটি তরল রক্তমাংস, ধরো এক্সএক্সএক্স রাম একটি ধর্ম আর ধর্ম একটি মধুর চাক! সে রোজ আমার পাশে বসে থাকে তার কিছু ধারণার পিপা নিয়ে; এমন একটি সৃষ্টি নিয়ে আমি কী করবো? আমি কী তার সৃষ্টিকর্তাকে জিজ্ঞেস করবো কী উদ্দেশ্য নিয়ে সে এমন একটি তরল নেশা বানিয়েছে যার কণায় কণায় তীব্র অসূয়া অথচ প্রভুত্ব করবার নিম্ন রুচি!
সেই তরলে কি একটু আগুন ঢেলে দেবো। আগুন পেটে পড়লে রক্তমাংসের তরল কি পুরাণের শ্লোক হয়ে যাবে? সে কি কোনও কুটিল উপমা হয়ে কর্মক্ষেত্রে আমার চারপাশে যজ্ঞের ধোঁয়ার মতো ঘুরপাক খাবে!
আমি কি সেই রক্তমাংসে আরো একটু মাংস পুরে দেবো? মাংসের জিন মাংসের জিনকে গ্রহণ করলে সে কি তার মধুকে অস্বীকার করবে? নাকি তার রুচিবোধ আমাদের মধুর লোভ দেখাতে দেখাতে পূর্বের মতোই বিষে ভরা নেশা হয়ে নগর থেকে গ্রামে ছেয়ে যাবে? তার হীন রুচি ঘুরঘুর করবে আমার পাড়ায় আমার চারপাশে!
যদি রক্তমাংসে প্রাণ আসে তবে তাকে নিয়ে আমি কুমোরটুলির ঘাটে যাবো। ট্রামের চলাচলহীন লাইনগুলি দেখবে কেমন করে মাটির পিণ্ড থেকে জ্যান্ত মানুষ উঠে আসে। সূর্য ওঠার আগেই মহানগরের ফুটপাথ ফুঁড়ে তারা উঠে আসে টলতে টলতে শ্রমের সন্ধানে! টলতে টলতে তারা একদিন জীবনানন্দ হয়ে উঠতে চায়। দুপাশে বাহু ছড়িয়ে চিৎ হয়ে শুয়ে থাকে রবীন্দ্রসরণিতে। অপেক্ষা করে তার ভবিষ্যতের কোনও প্রেমিকা একদিন না একদিন হেঁটে যাবে তার বুকের উপর দিয়ে!
ধারনা-২
যে শরীর বহুগামি স্বপ্নে, যে শরীর ব্যাকুল নব নব নারীসঙ্গে সেই শরীরেও একটা মধুর ভাণ্ড আছে। সেই শরীরেও ষড়ভুজাকার হাজারো ছিদ্র আছে - সবই অদৃশ্য। সেই সব অদৃশ্য ছিদ্র দিয়ে যেমন বাতাস প্রবেশ করে তেমনি বেরিয়ে যায়। অথচ বাতাস দরকারি। যে নারীর অস্তিত্ব আছে সে নারীর অদৃশ্য অস্তিত্বহীন শরীরও যেমন প্রবেশ করে তেমনি বেরিয়ে যায়। অর্থাৎ শরীরের সেই নারীরও প্রয়োজন আছে- অস্তিত্বে বা অস্তিত্বহীনতায়!
মন কথাটা মনে আসা মাত্রই তার একটা শরীরও অস্তিত্বে চলে আসে। মনে না হলে কিছুই নেই। ষড়ভুজ ভেঙে একাকার; সব ছিদ্র একাকার; সব মধু গলে গলে পড়ে গোধূলির রঙ যেমন আদিগন্ত ছড়িয়ে পড়ে!
বিনসার
সবই তো হল শুধু বিনসার বাদে। বিনসার
খুব উঁচু! উঁচু থেকে দেখি, দেখি সবকিছু ভালো।
মহলেরও ছিদ্র থাকে। মৌমাছির গুনগুন আসে যায়
তারাদের মিটিমিটি আলোর মতন।
অন্ধকারে ঘুমের মধ্যেও জেগে থাকে কোনও এক
আলো! সবই তো হল বিনসার বাদে। বিনসার খুব উঁচু!
উঁচু থেকে দেখি, দেখি সবকিছু ভালো
ধ্যানের মধ্যে দেখা তোমার চূড়ার মতন!
চিত্র
চিত্র চুরমার করে দিয়ে চলে যাবে একদিন
বিড়ালও তোমার মুখের দিকে চেয়ে আছে কালপুরুষের মতো
আমি জানিনা এর অন্য কোনও মানে আছে কিনা
তারাদের সাথে গুনগুন গুঞ্জন করে রাত্রি
শিশুদের হিসুর মতো গন্ধ শুধু মনে পড়ে। জানিনা
এর অন্য কোনও মানে আছে কিনা!
চৌকি চুরমার করে সেই গন্ধও
একদিন যেমন বড় হয়ে গিয়েছিলো তেমনি
মনের মৌতাত ছেড়ে মৌমাছিটিও
উড়ে চলে যাবে কোনও একদিন!
মধুচক্র
আমার বিষয়ী বুদ্ধি, আমার মধুলোভী মন
আগুন লাগায় যখন মৌমাছির ঘরে ঘরে
তুমি চেপে ধরতে চাও স্তন আমার মুখে
স্তন খুব উঁচুতে! স্তন্য পান করতে হলে
আমাকে সেই উঁচুতে উঠতে হবে
আমি কি পারবো সেই উঁচুকে ছুঁতে?
যদি না পারি তুমি যেন কিছু মনে কোরো না
আমাদের সন্তানেরা রইলো
তাদের জন্য রইলো যেমন চেরি ক্ষেত
তেমনি রইলো এক মধুচক্র ভুবনজোড়া
শুধু তারা যেন ব্যাপারী না হয়ে কৃষিকাজটুকু মন দিয়ে করে!

৫টি মন্তব্য:

Featured post

সোনালী মিত্র