বোগেনভেলিয়া ১
আমাকে কাগজ ফুলের দরকার
জীবনের এতটা সময় যে ট্রেনেই কাটালাম
সেতো ফিরতি ট্রেনে নয়
তবু আমাকেই দরকার তার
মার্চ পড়বে, পরীক্ষার মরশুম
পাখি, সূর্যাস্ত আর ফাকা স্টেশনে
চাষ হবে দেবব্রতর
অফিসে নতুন চায়ের কাপ
অঙ্ক কষা শেষ হলে
তবু ফুরোয় না আমি
কাগজ ফুলের আমাকে দরকার
বোগেনভেলিয়া ২
আমি গান ভালবাসি
তুমি জানতে চেয়েছিলে ফুল ভালবাসি কিনা
আর শিশু
বাসস্টপে (তলিয়ে?) যেতে যেতে
তিনরকম ভালবাসা দিয়েই হাত ধরলে
কবিতার বাড়ি
হ্যাঁ তোমাকে বলেছি আমি
কাঁপে
তোমাকে বলেছি, তা কাগজ ফুলেই বানানো
চুমুর আলোতে পথও হারিয়েছি
অনেক কথা হয়না আজকাল
সমুদ্রের শব্দ হয়, শুধুমাত্র দীঘার হোটেলে
যাদুবাস্তবের গান
তোমাকে খুঁজছি বিকেলময়, সন্ধ্যেময় করে
বাড়িতে অন্ধকার স্নান করে গেলে
মৃতদেহ হয়ে পড়ে গল্পের অবয়ব
আমি শুনেছি অথবা শুনতাম
রান্নাঘরগুলো একদা বেজেছিল
একদা নৌকাযাত্রাগুলো
তোমার কাছে, আমার কাছে
এক একটা চেনা সমাধান
হাওয়া যদি সত্যিই অন্ধকারে দেয়
যদি সত্যিই সমুদ্র আসে স্বপ্নের ভেতর
আমাদের স্বদকোরকগুলি ভরে ওঠে নুনমাফিক
মাথা, মেজাজ ও কয়েকটা সাধারণ খেলা
তখনো তোমাকে খুঁজছে
বিকেলের প্রত্যেকটা ঘর তছনছ করে
সন্ধ্যের সমস্ত ব্যালকনি সরিয়ে দেখছে
তুমি আছ কিনা
তোমার দেহ-স্বাদকোরকগুলি ভেজা কিনা
আমার ছায়ায় ছায়ায়
টুকরো
ভেঙে যায় শোক, স্তব্ধ শৃঙ্খল
মানুষ ও কলকাতা অনুসারী ট্রাক
জলেরা শান্ত
স্টিমারের ভাঙে ছায়া
বুড়ো পোস্টম্যান কবে
শেষবার গিয়ে আলমবাজারে
তার অনুপস্থিতি ভেঙে ফিরে আসে
বড় রাস্তায় ভাঙে রোব্বার
পৌরবাজারে চায়ের জ্যামিতি
তাছাড়া খুব কিছু ঢেউ নেই গাছে
খুব কিছু কোলহল নেই
চিকিৎসায় মৃত মানুষের ভেজা-স্বর
দেওয়া নেওয়া হয়
ছাগলছানার মতো চরে শোক, কাছাকাছি
অন্য বাগানে গেলে, যাকে কেটে খেয়ে নেওয়া হবে
ইয়ার্কি
অঢেল হাওয়ায় আমি খেলি
হাতের জ্যামিতি নিয়ে,
নখের একাগ্রতা নিয়ে খেলি
অনেক হেঁটে এলে
আয়নার ভেতরও উঁকি দিচ্ছে পরবাস
সমুদ্র ওড়ে গ্রীষ্মাবকাশ নিয়ে
বালিয়াড়ি, ঝাউবন ইত্যাদি শব্দবন্ধ ওড়ে
হলিডে হোমের পর্দায়
তুমি ওড়ো দমকে দমকে
দৃষ্টিসীমার ঘোর ফেটে
নীল নৌকোর খোলে
মাছের মোটিফ খাওয়া শেষ হয়
বেলা পড়ে এলো
কম্পাসহীন নাবিকের জ্বর হাঁটে
আকাশি হাওয়ায় দেখি জাহাজের দাগ
ঢেউয়ের দোলনকাল মেপে
তুমি দিয়ে গুণ করি
আয়তক্ষেত্রে ঘোরে হাওয়া
হাওয়ার চালাকি
সুচিন্তিত মতামত দিন