আত্মস্বর
সুমি আজ এই প্রথমবার একা আছে এই বাড়িটাতে। এটা অবশ্য ঠিক বাড়ি নয় বরং ফ্ল্যাটবাড়ি। একটা তিনতলা বিল্ডিং। প্রত্যেক তলায় তিনটে করে ফ্ল্যাট। সুমিদের ফ্ল্যাটটা দোতলায়। ফ্ল্যাটটা সুমিদের নয়। বিশ্বাস বাবুদের। এই বিশ্বাস বাবু লোকটা যে কে, সেটা সুমি জানে না। ওই নামেই সম্বোধন করে বাবাকে কথা বলতে শুনেছে ফোনে। পরে মায়ের সঙ্গে আলোচনাও করতে শুনেছে বাবাকে, ‘বিশ্বাস বাবু লোকটি ভালো’, ‘বিশ্বাস বাবু একবারেই দশে রাজি হয়ে গেলেন’, ‘প্রথমে পনেরো বললেও বিশ্বাস বাবু আমার অফিসের মাইনে শুনে নমনীয় হতে সময় নেননি’ ইত্যাদি ইত্যাদি।
আপাতত এই ফ্ল্যাটে ওরা ভাড়া আছে। বাবার বদলির চাকরি। তাই কোথাও দু’তিন বছরের বেশি তাদের থাকাও হয় না। এর আগে ছিল শিমূলতলা, একটু নিরিবিলি। এখন উঠে এসে সোদপুর। জমজমাট শহর। এই ফ্ল্যাটবাড়িটা একদম যে বড় রাস্তার ওপর তা নয় বরং একটু ভিতরের দিকে। টোটো রিক্সায় মিনিট দশেক লেগেই যায় বাড়ি থেকে শহরের প্রাণকেন্দ্রে পৌঁছতে।
বাবা আজ অফিস থেকে সরাসরি বাড়ি ফিরবে না বদলে স্টেশনের কাছে অপেক্ষা করবে আর সময় মতো মা পৌঁছে যাবে ওখানে, তারপর দু’জনে মিলে কিছু কেনাকাটা করবে নতুন ঘরের জন্য। এমনটাই ওদের কথা হয়ে আছে। সুমি’কে নিয়ে যাওয়া হবে না কারণ সুমির ওই সময় অনলাইন ক্লাস আছে। শিমূলতলা থেকেই আগের স্যার ওর ক্লাস নেবেন। এখানে এখনো টিউশন ঠিক করা হয়নি। স্কুলটা অবশ্য হয়ে গেছে। এই নিয়ে সুমির গত দশ বছরে চতুর্থ স্কুল। সুমির এখন ক্লাস টেন। বাবা মা দু’জনেই চেয়েছিল বোর্ডটা মিটে গেলে হোক ট্রান্সফারটা কিন্তু বাবার উপরতলার লোকজন বিষয়টা মঞ্জুর করেনি। অগত্যা নাইনের পর্ব মিটতেই বদলি। এই অনলাইন ক্লাসটার বাহানায় সুমি নিজেই হয়তো যেত না বাবা মায়ের সঙ্গে বাজারে কারণ ক্লাস চলাকালীন সদ্য পুরনো হয়ে যাওয়া বন্ধুদের দেখতে পাবে। বিশেষ করে এক ঝলক হয়তো দেখা হয়ে যাবে হিরণের সাথে। রাহুল স্যার কি একবারও ক্যামেরাটা ঘোরাবেন না বাকিদের দিকে? হিরণ’কে ও পছন্দ করে... না না ভালোবাসে। ভীষণ ভালোবাসে। এর আগে কখনো বাবার বদলিতে কষ্ট হয়নি সুমির। এইবার হয়েছে। তখনই বুঝেছে ওটা শুধু পছন্দ নয় বরং আরো বেশি কিছু। হিরণও ওকে হয়তো ভালোই বাসে। আগের সপ্তাহে শেষবার ক্লাস করে ফেরার সময় পুরো পথটা ওর পাশে পাশে সাইকেল নিয়ে এসেছিল। একদম বাড়ির গেট পর্যন্ত। তারপর সুমিই ওকে বললো, ‘এবার তুই যা। মা দেখে ফেললে খুব বকবে। বাবাকে বললে মারধোর করবে। জানি না কখনো দেখা হবে কিনা কিন্তু তোর কথা সবসময় মনে থাকবে।‘
তারপরেও দাঁড়িয়েছিল হিরণ। কিছু বলেনি। এমনিই দাঁড়িয়ে থাকলো চুপ করে। দেখতে লাগলো সুমিকে। ওইরকম করে এর আগে কেউ দেখেনি কখনো। সেই চোখ থেকে চোখ ফেরানোও সহজ নয়। তবু সুমি চলে এলো অনেক শক্তি জড়ো করে। ছেড়ে চলে যেতে অনেক শক্তি লাগে, এটা সেদিন প্রথম অনুভব করেছিল সুমি। একটা সপ্তাহ কেটে গেছে তারপর। এখনো চোখ বন্ধ করলে ওই তাকিয়ে থাকাটাই দেখতে পায় চোখের ভিতর। ইচ্ছে হয় মা’কে বলে হিরণের কথা। মা কি খুব রেগে যাবে? যদি বাবাকে বলে দেয়? বাবা তো পিটিয়েই দেবে। ভীষণ রাগী মানুষ একটা! সুমির ভয় করে।
মা বেরিয়ে গেছে পনেরো মিনিট হল। দরজার বডি লকটা বাইরে থেকে চাবি দিয়ে গেছে। বলে গেছে পড়তে বসার আগে ঠাকুরকে জল বাতাসা দিয়ে ধূপ দেখিয়ে দিতে। মা থাকলে অবশ্য প্রদীপটাও জ্বালে। সুমির জন্য শুধু ধূপ পর্যন্তই নির্দেশ। সুমি ঘড়ি দেখলো। ছ’টা বেজে পাঁচ মিনিট হয়েছে। রাহুল স্যার সাড়ে ছ’টায় লিঙ্ক পাঠাবেন। তার মানে এখনো আধা ঘন্টা মতো সময় আছে। পড়ার জন্য যে টেবিলটা বরাদ্দ হয়েছে সেটার সামনেই চেয়ারে বসেছিল সুমি। উঠে এসে জানালাগুলো বন্ধ করার কথা মনে হল ওর। মা’ও সেটাই করতো থাকলে। নাহলে মশা ঢুকে আসে। তাছাড়া একটু একটু করে ঠান্ডাও পড়ছে। নভেম্বরের শেষ। প্রাক শীত বলা চলে। শিমূলতলা হলে তো গায়ে পাতলা চাদর দিতে হত।
সুমি বাবা-মা’র ঘরটায় গেল। আলো জ্বালালো। খাটের পিছনে জানলা। কাঠের পাল্লা নয় শিমূলতলার মতো, কাঁচের স্লাইডিং। বেরিয়ে এসে রান্নাঘরের জানলা, কমোন স্পেসের দু’টো বড় বড় জানলা বন্ধ করে ওর ঘরে ঢুকলো। এই ঘরের লাগোয়া একটা ছোট বারান্দা আছে। বারান্দার দরজটাও খোলাই ছিল এতক্ষণ। ওটাও বন্ধ করতে হবে। তার আগে একটু ওখানে গিয়ে দাঁড়াতে মন চাইলো।
বারান্দাটা লোহার রেলিং দিয়ে ঘেরা। ইঁট সিমেন্ট দিয়ে গাঁথা নয়। রেলিং এর একটা কোণে ঝালাইটা ছেড়ে গেছে। একটু বেঁকেও রয়েছে ওইখানটা। যেন কোনো ধাক্কায় হয়েছে এটা। মা হেলান দিতে না করেছে। তাই অল্প হাত ছুঁইয়েই দাঁড়িয়ে থাকলো সুমি। আরো একবার ভাবতে থাকলো হিরণের মুখ, ওই নীরবে তাকিয়ে থাকা দু’টো চোখ। পাশে পাশে বাবার রাগী মুখটাও ভাসতে থাকলো মনের ভিতর।
এইখানে দাঁড়ালে এই ফ্ল্যাটবাড়ির বাউন্ডারি পাঁচিলটাও দেখা যায়। এটা এই বাড়ির পিছন দিক। এরপরেই একটা আধবোজা পুকুর। পুকুরটাকে ঘিরে ঝোপঝাড়। সন্ধে নেমে আসায় খুব অন্ধকার হয়ে আছে চারপাশ। পাঁচিলের গা ঘেঁষে একটা ঝাঁকড়া মতো গাছের নিচে গিয়ে স্থির হল চোখটা। পাঁচিল আর পুকুরের মাঝখানে আছে গাছটা। জবাগাছের মতো গুল্ম জাতীয় কিছু একটা। পাঁচিলের সমান সমান লম্বা। ওই গাছটার গোড়ায় মনে হল একটা কিছু জ্বলছে। জ্বলছে না বলে পুড়ছে বলাই ভালো। কোনো শিখা নেই। লাল হয়ে নিভু নিভু আগুনের কিছু বিন্দু যেন উনুনের আঁচের মতো জ্বলছে। যেন একগোছা ধূপ কেউ জ্বালিয়ে গেঁথে দিয়ে গেছে ওখানটায়। ওখানে কেউ ধূপ লাগাতে গেল কেন, কে জানে! সাদা সাদা সরু সরু ধোঁয়া জড়িয়ে জড়িয়ে যাচ্ছে। ওর চিন্তার মতো জট পাকাচ্ছে আর উঠে আসছে উপরে। সুমির মনে হল ধোঁয়ার জটটা এগিয়ে আসছে ওর দিকেই! সুমির অস্বস্তি বোধ হতে লাগলো। আর দাঁড়িয়ে থাকাটা ঠিক মনে হল না।
ঘরে ঢুকে এসে বন্ধ করে দিল দরজাটা। তবে মনে পড়ে গেল ঠাকুরকে ধূপ দেখানোর কথা। সুমির পড়ার টেবিলের পাশেই একটু জায়গা করে রাখা হয়েছে ঠাকুরের ছোট কাঠের সিংহাসন। ছোটবেলা থেকেই এই সিংহাসনটা ও দেখে আসছে ঘরের কোণে। ওটার মাথাতেই ছোট স্টিলের রেকাব আর গ্লাস। একটা প্লাস্টিকের কৌটোতে বাতাসা থাকে। ধূপের প্যাকেটে থাকে ধূপ। পাশে থাকে লাইটার। সুমি দু’টো বাতাসা বার করে রাখে রেকাবে, তারপর সেটা রাখে ঠাকুরের সামনে। ঠাকুর বলতে কয়েকটা পুতুলের মতো ছোট ছোট মূর্তি। রামকৃষ্ণ, লোকনাথ, লক্ষ্মী আর জগন্নাথ সঙ্গে তার ভাই বোন। একটা কালি ঠাকুরের ছবি।
স্টিলের ছোট গ্লাসটা নিয়ে রান্নাঘরে লাগানো ফিল্টার থেকে একটু জল ভরে আনলো, রাখলো বাতাসার রেকাবের পাশে। এইবার ধূপের প্যাকেট থেকে একটা ধূপ বার করে লাইটার দিয়ে জ্বালিয়ে নিল ধূপ। আগুনটা ধরে যেতেই একটু জোরে জোরে ঝাঁকিয়ে নিভিয়ে দিল শিখাটা। মা বলেছে ফুঁ দিয়ে নেভাতে নেই। তাই এইভাবে নেভানো। এবার মায়ের মতো করে ধূপটা ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে সবখানে দেখাতে হবে। সুমি হাঁটু মুড়ে বসেই কাজগুলো করছিল। এইবার উঠে দাঁড়াতে হবে। ধূপটা সব ঘরেতে ঘোরাতে হবে। সেই মতোই সুমি উঠে দাঁড়ালো এবং ডান হাতটা তুলে ধূপটা ঘোরাতে লাগলো আর তখনই ঘটলো ঘটনাটা!
সুমি দেখলো ধূপ থেকে ধোঁয়াটা বেরিয়ে যেমন তেমন ভাবে ঘেঁটে যাচ্ছে না পরিবর্তে যেন আটকে থেকে যাচ্ছে। বাতাস থমকে গেলে যেমন হয় পরিস্থিতিটা সেইরকম হয়ে গেছে। গন্ধটাও অচেনা। কয়েকবার হাত নাড়ানোর পর ধূপ থেকে ধোঁয়াটা বেরিয়ে এসে প্রথমে কতোগুলো সমান্তরাল রেখা তৈরি করলো তারপর একটা জাল! সুমি ঘাবড়ে গেল। বেরিয়ে এলো ওই ঘর থেকে। কমোন স্পেসটা পেরিয়ে বাবা মায়ের ঘরে ছুটে এলো। একটা রাধাকৃষ্ণ’র বাঁধানো ছবি আছে দেওয়ালে ঝোলানো। সেটাতেও মা ধূপ দেখায়। সুমি’কেও তাই করতে হবে। কিন্তু একি ঘরে আলো নেভানো! এই ঘরের আলোটা তো এইমাত্র জ্বালিয়ে গেল ও। তাড়াতাড়ি দরজার পাশের সুইচবোর্ডে হাতড়াতে শুরু করলো। এখনো মুখস্থ হয়নি কোন সুইচটা কোথাকার তাই কিছুতেই জ্বালাতে পারছে না টিউবটা। এদিকে অন্ধকারে ক্রমশঃ স্পষ্ট হয়ে উঠছে ধোঁয়ার রেখা। সাদা সাদা ধোঁয়া যেখানেই বেরোচ্ছে সেখান থেকে সরছে না। সরলেও তার একটা নিজস্ব প্যাটার্ন তৈরি করছে। ক্রমে যেন একটা ফিগার তৈরি করছে। ওরই উচ্চতার একটা দেহ! মাথা থেকে শুরু হয়েছে ড্রয়িং। ওর মতোই ঘাড় পর্যন্ত খোলা চুলের আউটলাইন। আঁকা হয়ে যাচ্ছে একটা একটা করে দু’টো হাত। ওরই মতো একটা হাঁটু পর্যন্ত ফ্রক। ও নড়লে সামনের রেখাগুলোও নড়ছে। ভয়ে সুমির হাত থেকে পড়ে গেল ধূপটা। মেঝেতে শুয়ে রয়েছে ধূপটা। সেখান থেকে ধোঁয়া উঠে এসে এবার এঁকে দিচ্ছে হাঁটুর নিচ থেকে দু’টো পা, গোড়ালি, পায়ের পাতা, আঙুল।
সুমি গোঙাচ্ছে...
‘কে? কে? ক ক ক কে তু উ উ উ মি?’
কোনো উত্তর নেই। পড়ে থাকা ধূপটা থেকে আরো আরো ধোঁয়া উঠে এসে এবার জড়িয়ে ধরছে ওর কোমর। বেড় দিয়ে জড়িয়ে ধীরে ধীরে উঠে আসছে ওপরে একেবারে গলার কাছে। কি ঠান্ডা আর তীক্ষ্ণ ধোঁয়ার রেখা! ধারালো আর সরু লোহার তার যেন! সুমির মনে হল একবার যেন নড়লো ধোঁয়ায় আঁকা ঠোঁট দু’টো। যেন কিছু বলতে চাইছে। ধোঁয়ার একটা হাত ওর হাত ধরলো... সেই তীক্ষ্ণ শীতল স্পর্শ! আরেকটা হাত উঠে এসে তর্জনী দিয়ে ওর ঘরটার দিকে দেখাচ্ছে। ওই ঘরে যেতে বলছে। না ধোঁয়াটা বলছে না। ধোঁয়াটার ঠোঁট নড়ছে শুধু। শব্দটা হচ্ছে সুমির গলা থেকেই। একটা ঘড়ঘড়ে শব্দ। এটা ওর গলার স্বর নয়। অন্য কেউ কথা বলছে ভিতর থেকে। বলছে,
‘দরজা খুলে বারান্দায় যেতে হবে। বারান্দা থেকে ঝুঁকে পড়তে হবে পাঁচিলের ওপর। ওখানে পেরেক গাঁথা আছে, আর আছে কাঁটাতার। হ্যাঁ, ওটার ওপর পড়লেই মুক্তি।‘
এবার শব্দ হচ্ছে ধোঁয়ার ভিতর কলকল কলকল করে জলের ধারার মতো। অনেকটা সুমির গলার স্বর, ওই ধোঁয়ার ভিতর,
‘হ্যাঁ, মুক্তি। আমার যেমন হল। বাবা মারতে মারতে ধাক্কা দিয়ে ফেললো রেলিংএ। আমি ব্যালেন্স হারালাম। রেলিং থেকে পড়লাম পাঁচিলের ওপর আর তারপর পাঁচিল টপকে পুকুর পাড়ের গাছের তলায় গড়িয়ে গেলাম। তোকেও তোর বাবা মেরে ফেলবে নয়তো তুই নিজেই মরে যাবি অপমানে আমার মতোই ভালোবেসে আর সেই ভালোবাসা না পেয়ে। তাই এখনই জাম্প সুমি, জাম্প...’
হাত ধরে টানছে ওই ধোঁয়ার হাতটা। সুমি কোনোরকমে ধরে ফেললো দরজার একটা পাল্লা আর মুখ থুবড়ে পড়লো কমোন স্পেসে। ধোঁয়ার দড়িটা আষ্টেপিষ্টে বেঁধে ফেলছে পা থেকে মাথার দিকে। তারপর ঘষটে ঘষটে টানছে মেঝের ওপর দিয়ে। সুমি গলা ছেড়ে চেঁচাতে চাইছে কিন্তু কিছুতেই কোনো শব্দ হচ্ছে না! সুমি মেঝের ওপর ছটফট করতে লেগেছে। এপাশ থেকে ওপাশে আবার ওপাশ থেকে এপাশে গড়াগড়ি খাচ্ছে সুমি। মাথাটা একবার দড়াম করে লাগলো দেওয়ালে। সুমির দম বন্ধ হয়ে আসছে।
হঠাৎ করে বডি লক খোলার আওয়াজ। মা বাবা ফিরে এসেছে। সুমির শরীরে আর জোর নেই। অবসন্ন অবস্থা। দরজা খুলেই সংযুক্তা অবাক। আবছা অন্ধকারে দেখতে পেল সুমি মেঝেতে পড়ে আছে। সারা বাড়ি অন্ধকার। ঘরের ভিতর একটা আঁশটে গন্ধ। সংযুক্তা ফোনের টর্চ জ্বাললো।
‘এ কি সুমি! কি হয়েছে? মেঝেতে শুয়ে আছিস কেন? সুমিইই... সুমিইই।‘
সংযুক্তা দেখলো, একটা সরু সুতোর মতো ধোঁয়ার রেখা খুলে যাচ্ছে সুমির শরীর থেকে। সুমি পাক খাচ্ছে তার সাথে সাথে। সুতোটা রওনা দিয়েছে সুমির ঘরের দিকে। তারপর ঘর পেরিয়ে বারান্দার দরজার ফাঁক দিয়ে বেরিয়ে যাচ্ছে নিঃশব্দে।
‘শিগগির এসো। সুমি অজ্ঞান হয়ে গেছে। শুনছো শুনছো!’
সুচিন্তিত মতামত দিন