গুমগুমে রাগ জমেছিল গোপালের মনে এই ক'মাসে! হাসি দেখে অভয় পেয়েছে সে, কেন ছেড়ে কথা বলবে? গজগজ করে বলে উঠলো...."আমি তো সে কতাই জানতে চাইচি বড়বাবু, কিন্তু এই মেম সায়েবের ভয়ে কইতে পারিনি !" এরপর বড়বাবুও আর চুপ করে থাকতে পারল না, গল্পের ঝাঁপি খুলল! নাতির কথা, নাতির স্কুলের কথা, ছেলে বউমার কথা বলে চলল! গোপালও এটা ওটা প্রশ্ন করে জেনে নিল, মনের ভেতর জমে থাকা যত কথা। তারপর টাকাটা গুনে নিয়ে বুক পকেটে রাখল। যখন থেকে গোপালের ভেতরে ঢোকা বন্ধ হয়েছে, তখন থেকে বড়বাবু কুড়িটা করে টাকা বেশি দেয়। বলতে হয় না, দেয়। এই অসুখ এসে গরীব যে আগের থেকে আরও গরীব হয়েছে, সবাই জানে! গরীবের দুঃখ বোঝে বড়বাবু। বোঝে বলেই না তিনি বড়বাবু ! গোপাল এবার সিলিন্ডারটাকে কাঁধের গামছার ওপর সাইজ করে নেয়। অন্য হাতে সিঁড়ির রেলিং ধরে নামতে নামতে অভিমান জমা ঘড়ঘড়ে গলায় আপন মনেই ব’লে চলে..."থাকো তুমি বড়বাবু নিজের লোকেদের নিয়ে। তোমার বুড়ো বয়েসের লাটি ফিরে এয়েচে। গোপাল তোমার কে ! সে তো একন পরের লোক।"
সুচিন্তিত মতামত দিন