মানস চক্রবর্তী - মায়াজম

Breaking

৩ আগ, ২০১৫

মানস চক্রবর্তী

                                     নবজাতকের সম্ভবনা   




আমি জানতাম তোমার পুজোয় না লাগে ঘট না থাকে ঘটি সাজসরঞ্জামহীন এই আরাধনা তোমার জীবনের পাত্রখানি যত ভরে তত শূন্যতাও দখল নেয় সব পথঘাট হোটেলমোটেল হাসপাতাল বাজার সিনেমাহল ক্রমাগত ফাঁকা হয়ে যায় এমনকি খিড়কির পুকুরের শানবাঁধানো ঘাটও ফাঁকা ফাঁকা ঘাট দেখে ওবাড়ীর সোমত্ত মেয়েটা বুকের কাপড় সরিয়ে জল ঢালে কিন্তু তাতে ভেজে না কিছুই কিছু থাকলে তো ভিজবে এইমাত্র তার পুরুষ্ট বুকটা হাপিশ হয়ে গেল বিন্দুবিসর্গ বোঝার আগে আরও অবাক-কাণ্ড পুকুরটাতে জলই ছিলনা তো সে বুক ভেজাবে কিকরে যেন নাটকের রিহার্সালের স্যাডো প্র্যাকটিস তুমি তবু রোজ ভোর হতে না হতে সাজি নিয়ে গাছের কাছে যাও আর যতগুলো সম্ভব শূন্যফুল তুলে সাজি ভরে ঘরে আসো প্রার্থনার জন্যে তখন তোমার যাওয়া আর যাওয়াহীনতার মধ্যে মাকুর মত দৌড়োদৌড়ি নিজেকে না দেখার ছলে দেখে আসতে চাও তাতে স্পর্ধা দিয়ে নিজেই নিজের পীঠের ছাল ছাড়িয়ে সন্দেহ কর যন্ত্রণাকে শেষ পর্যন্ত শূন্যতাকে বুকের ওপর চাপিয়ে আমাকে ওই অংশের সব অহং চেটে পরিস্কার করতে বলো যদিও আমিও শূন্য হয়ে তোমার সব শূন্যের মধ্যেই অবলীন হয়েছি ইতিমধ্যে জানাজানি হতে চাইল সব চাটা নাচাটা শোক আর সেই বিশেষ নোনতা স্বাদ চুঁইয়ে নামতে থাকলো এলোমেলো এমনকী মাঝবয়সী নুয়ে পড়া মাই ছুঁয়েও যাতে তোমার মুখে লজ্জার দাগ গড়ালো বহুদূর যতক্ষণ না তুমি নিশ্চিত হলে আমি থুঃ থুঃ করিনি শূন্যতার দিকে বেয়ে যাওয়া লাল পিঁপড়েদের গায়ে আর তখনি আবার তোমার পূজোরঘরে ধ্যান জমিয়ে বসে পড়া উবু হয়ে পা ঢেকে নেলপালিশের সুড়সুড়িতে যদিও আমার হেলদোল নেই তবু যদি দেওটা নড়ে ওঠে যেকোনো ওজোরে  তুমি স্যাটাস্যাট লাফিয়ে গলির মুখে পৌঁছে খুলে ফেলতে পার হলদে ব্রেসিয়ার তাই কিছুতেই তুমি শূন্যকে আমার কাছে তুলে দিতে পারলেনা তোমার দুচোখে মায়া গভীর কিছুতেই গলির মুখে আমার লিকলিকে শরীরটার সমস্ত ঘা ঘেউরির উপদ্রব সহ চিহ্নিত করার ইচ্ছাটাই অনুপস্থিত তোমার চিৎ শরীর বেয়ে হামা দিতে দিতে হাঁটুর দগদগে ঘা পালানোর উপায়হীন এমন সুবিধাজনক বিচি সমেত তল পেটে সপাটে লাথি ওঃ এত মায়া করলে হয় শ্রদ্ধানন্দ পার্কের গেটের দিকে ওই আকাশী শূণ্যতার দিকে লেপটে থাকা বিকেলের দিকে নতুবা দে'জ এর দেয়ালে চেপে ধরে মারো শালা একলাথি কুঁইকুঁই করে আমি নাহলে ঝাঁপিয়ে পড়বো আমার লক্ষ জন্মের ভালোবাসা নিয়ে কবিতা শুদ্ধু তোমার ওখানে ঢুকে যাবো জন্মজন্মান্তরের অভ্যাসে আর পেট ফুলতে ফুলতে বছর ঘোরার আগে একদিন নিজেই বিয়োবে তোমার গর্ভফুলের মধ্যে আমার ফুটফুটে ভালোবাসা

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

Featured post

সোনালী মিত্র