১
চাটুকারের সিগারেটে ধোঁয়া বেশি
নগদ,
পকেটের তোয়াক্কা না করে
বেপরোয়া সন্ত্রাস
এ দুটো
বাক্যে কবিতার নামগন্ধ ডুমুরফুল
অনন্যা, সন্ধ্যায় আসছো না ফিরছো?
আরও বাজবে বাজবে করছে শঙ্খ ও সর্বনাম
সবুজ
আলোর গন্ধে
ম
ম করছে ঘর
আসবাবেরা ফোটোসেশনে এই মিলিত হল বলে
চক্ষুশূলে চোখ দেদার ওষুধে কোটরগত
সেখান
থেকে আর পাখি উড়ে যাওয়া বিকেল পাওয়া
ভাববিলাসীর লেডিকেনি
কোন ফাঁকে চাটুকার বিছানায় মদির-মেসো হয়ে
আসবে, জানা নেই...
২
রাস্তা কুড়িয়েছে পথের ধুলো
ভুলগুলো আর নিরাপদ নয়
কোথাও ড্যাগারের বর্ষাবিনোদনে
কাঁপা কাঁপা রাতের নিকেল
এখানে এখন আটপহরের সাবানসংকীর্তন
দূরেলা ছবির ভোজে
সারমেয় সোহরত
অন্ধচোখের মণি ঘোরানো অলীক ফটক
আশ্বাসগুলোর রোঁয়া ওঠা ডুরে শাড়ি
পরবে কি পরবে না
ভাবতে
থাকা অরণ্য নিষাদিনী
ফেলে গেছে শুশ্রুষার বিধি বনাম অমিতাচার
ভাসতে ভাসতে প্রকৃত ফেরার তার কিস্যা বলতে থাকে...
৩
বেদনাকে ছুটি দিলে কবিতা কল-পুতুলের
চোখে জল, ছল
স্কিপিং কিশোরী আটান্ন উনষাট ষাট একষট্টি
গুনছে, বয়স
হাতের স্বভাব হতাশাকে তুড়িয়ে ওড়ানো
গুনে গুনে প্রেমপত্র লেখা
অগুন্তি প্রেমি কে
প্ররোচনাও
দহনের শেষ পাতে দই
জেল্লায় সুন্দরি গাল
মুখশুদ্ধির নানা বাহানায়
আরেকটু থেকে যাওয়া সিগারেট
দহনে হতাশ বেদনা জলপিপিদের সঙ্গে খেলছে...
৪
চা, অতিথি
হয়ে এলে
বাগানবাড়িতে ধুম লেগে যায়
শুকনো
হাত স্ব-আগতের জন্যও
স্বাগতম
বাড়ির কোণে কোণে রশ্মিঘাতে
নমস্কারের ফুল ফুল ভাব
কার্পেট
শুয়ে পড়তে উথল
পা-পীড়নের আশায়
এটুকুই, এটুকু পা-প্রনালীর আলপনা
সুধীসব অসংখ্য রবের
ভেতর
থেকে
উলুগুলিকে আলাদা করে
স্নানের পর গা মুছতে মুছতে চা
পিঁপুল গাছের খোঁজখবর নিতে থাকে
৫
রোদের আগে হরেকরকম বিশেষণ বসালে
তার বহুমাত্রিক তাপ
আলোচ্য বিষয় হতে পারে
চেয়ারের হাতলদুটো টেবিলের গায়ে
সেট করে দিলে
দোলনার দোলনকাল নিয়ে
সরেস সেমিনার
তারাদের তাপ সংগ্রহশালায় প্রিজার্ভ করলে
ফুলেদের ফুটে ওঠার সম্ভাবনায়
কিছু মৌমাছি
ডানাতালি দিয়ে উঠতে পারে
‘মহাভারত সত্যিই অমৃত’ সভার মতে
ওষুধেরা পক্ষে বিপক্ষে তর্ক শুরু করে...
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন