অশোক তাঁতী - মায়াজম

Breaking

২০ সেপ, ২০১৫

অশোক তাঁতী

                                                             ১০৮ ---








১।
১০৮ এর মধ্যে দুটো তোর চোখ।
২।
যা কিছু তোর দুঃখ সেগুলো সব কি তোর?
৩।
এখন তুই চা ঢালছিস, কাপ হল পূর্ণ, তারপর তোকে অবাক করে চলকে পড়ল নীচে।
৪।
বৃষ্টি, বাতাস, আকাশ সবাই আমার মত থমকে আছে, কখন তুই হ্যাঁ বলিস।
৫।
ভবিষ্যৎ সামনে। (পেছনে নিশ্চই নয় !!)
৬।
ইভের ঠোঁটে আজো আপেলের শাঁস লেগে আছে।
৭।
তোর পাশে বসে সেই প্রথম নদীর গল্প শুনলাম।
৮।
তোর গোপন কথার অর্ধেকটা তোর অজানা।
৯।
তোর পায়ের পাতা প্রথমবার আমার পায়ের ওপর দাঁড়াতে, আকাশে একটা জেট প্লেনের ধোঁয়া আর মাটির ফাটলে শীতকালীন ধান।
১০।
সম্ভোগ = সম্ +√ ভুজ্ + অ (ঘঞ)।। এ দেহ কৈলুঁ আমি কৃষ্ণে সমর্পণ। তাঁর ধন, তাঁর ইহা সম্ভোগসাধন।।
১১।
নিজের সঙ্গে নিজের খেলা বন্ধ রেখে আমার দিকে তীব্র কটাক্ষে বলে উঠলি, হে পুরুষ !
১২।
শাশ্বতর স্বাদ নিবি বলে সকালের ধোঁয়া ওঠা সূর্যটার দিকে তাকিয়ে স্থির বসে রইলি বারান্দায়।
১৩।
আকাশে ঘন মেঘের মাঝখানে রুপোলী সূর্যের রেখা। তোর হাত থেকে চিরুনি পড়ে গেল।
১৪।
কবিতা কি শুধু রামধনু, ঘন কালো মেঘের কান্না থাকবে না ?
১৫।
সবই সাজানো ঘটনা। জীবনটা ছক। ধ্বসে না পড়া পর্যন্ত।
১৬।
নুন হলুদ মেখে ভিনিগারে চুবিয়ে অলিভ অয়েলে ভেজে খেতে দেওয়া। চাটের মত।
১৭।
স্তিরি সবে ভন্ডিবেক স্যামি আপনার।
১৮।
হাইড্রোক্লোরিক অ্যাসিডে আলু ভেজে দেখার ইচ্ছে অনেক দিনের। কেমন করে সব জ্বলতে জ্বলতে গলে যায়।
১৯।
ব্যাঙ্গমা ব্যাঙ্গমী নজর রাখছে। রূপোলী জ্যোৎস্না থেকে নোনাঘাম অন্ধকার।
২০।
মান অভিমান যেন নাহি আসে রে, তাঁকে কহি ...
২১।
নদীর বুকের পাথর গুনল, আরও একটা ঢেউ।
২২।
দ্বিতীয়ার চাঁদ পাথরটাকে ডেকে ডেকে অস্ত চলে গেল।
২৩।
নক্ষত্রপুঞ্জ দীর্ঘশ্বাসের মত তাকিয়ে থাকল যাত্রাপথে।
২৪।
অন্ধকার তেপান্তরের পথে তীব্র শরীরী সুগন্ধে একটা জুঁই।
২৫।
পৃথিবীর সমস্ত ঘরই ওয়েটিং রুম।
২৬।
একটা জোনাকি কবিতার মত এসে বসল তোর ঘুমন্ত বুকে।
২৭।
হাওয়াও থমকায়, যখন কিছু জন্ম নেয়।
২৮।
কখনো শরীরের প্রাচীন রক্তে ইতিহাসের আদিমতম যুদ্ধের ডাক।
২৯।
তোর আমার মাঝের দেওয়াল ভেঙে পড়তে আকাশটা হুড়মুড়িয়ে ঢুকে পড়ল।
৩০।
আকাশটা একসাথে ছুঁয়ে দিতেই উড়ে চলল বলাকা।
৩১।
শরতের মেঘের মতো আমার শরীরের ওপর দিয়ে তুই উড়ে গেলি।
৩২।
ম্যাসিডনিয়া থেকে গঙ্গাটিকুরি - বৃষ্টি এল। শান্ত নিঃশব্দ। পরাক্রান্ত দিগ্বিজয়ির মতো।
৩৩।
তোকে ছুঁয়ে থাকলেও মনের মধ্যে একটা হালকা দুঃখ।
৩৪।
স্যানিটারি ন্যাপকিন, ট্যাম্পন। এ নিয়েও কবিতা ! ছিঃ! ভিন্ন জীবন।
৩৫।
আমি কবিতা লিখব তোর বুকের উপসাগরীয় গন্ধ নিয়ে।
৩৬।
চাতকের ডানা থেকে ঝরবে বৃষ্টি।
৩৭।
সাকির সুরার মতো মদির হবে তোর ঠোঁট।
৩৮।
রিসাইকেল বিন থেকে তুলে এনে অবাক তাকিয়ে থাকব আমার হৃদয়ে।
৩৯।
হন্যে হয়ে তোর শরীর হাতড়াচ্ছে চলমান ভিড়। খবর চাই, খবর।
৪০।
পৃথিবীর সব কাজ শেষ হতে, বড়ই একাকী।
৪১।
অপেক্ষায় আছি। কবে ভেসে যাই। বৃষ্টি নামুক।
৪২।
প্রকৃতির মধ্যে পুরুষ।
৪৩।
না-এর মধ্যে আছে অসংখ্য হ্যাঁ।
৪৪।
তোর আলতা পরা পা কখনো দেখিনি।
৪৫।
নাটা মল্লিক কখনো কারো পায়ে আলতা পরিয়েছে ?
৪৬।
প্রকৃতিতে যোগের মতো কুৎসিত কিছু নেই। আছে গুণন ও জনন।
৪৭।
প্রত্যেকবার চোখ খুলে তোকে নতুন দেখি।
৪৮।
তোর কথা ভাবতে ভাবতে বুঝলাম তুই না থাকলেও চলে। ভাবনাটা সঙ্গে থাকে।
৪৯।
সবকিছু সরিয়ে নেবার পরও যা থাকে তা শূন্যতা।
৫০।
বেড়ালেরা তাদের ছায়ার মতো নিঃশব্দ, অস্তিত্বহীন।
৫১।
তোর থাকা না থাকার মাঝে স্রোয়েডিঙ্গারের নৈশব্দ।
৫২।
গোলাপ পোড়া ছাইয়ের রঙ কি ?
৫৩।
হৃদয় পুড়তে পুড়তে সোনা রঙ হয় ?
৫৪।
ছায়া গেলে রোদও কালো দেখায়।
৫৫।
মৃত জলে জলজ শ্যাওলা।
৫৬।
তোমার গলা ভেসে আসছে বাতাসে। তুমি কি গান করছ?
৫৭।
মৃত্যুকে নতুন আঙ্গিকে চিনছি বলে বুঝতে পারি বয়স বাড়ছে।
৫৮।
হিজড়েকে চুমু খেয়ে বুঝতে পারি কেন সব ডিম নিষিক্ত হয় না।
৫৯।
শুনতে পাচ্ছিস? আমি এখানে।
৬০।
বেঁচে আছি বলে এত আনন্দ, বেঁচে আছি বলে তোর সঙ্গে কথা বলতে পারি।
৬১।
জানালা খুললে মাঠ ... মাঠ ছাড়িয়ে দিগন্ত ... দিগন্তের পর আকাশ ...।।
৬২।
আবার নিজেকে ফিরে পাচ্ছি, এক পশলা বৃষ্টি আর ভাদ্রের লাল মেঘ।
৬৩।
নিজেই নিজেকে বৈধতা দিতে পেরে খুব খুশি।
৬৪।
বই, নারী আর জীবন ; উচ্চারণের মাঝ বরাবর অসংখ্য সম্ভবনা।
৬৫।
ঝড় আঁকতে গিয়ে দেখলাম পেন হারিয়ে গেছে ঝড়ের মধ্যে।
৬৬।
একটা রঙিন মাছ তোর আর আমার পায়ের খাঁজে চুপ বসে থাকল।
৬৭।
রাত বারোটায়। হৃদয়ে গভীর ক্ষত জন্ম নেয়।।
৬৮।
দান্তে বা রাঁবো নয়, আমারো একটা নিজস্ব নরক আছে।
৬৯।
নিজের কণ্ঠনালি চেপে বললাম, আর্তনাদ করিস না। সব চাওয়া তোকে মানায় না।
৭০।
দেয়ালে ঝুলছে গ্র্যান্ডফাদার ক্লক; পেন্ডুলাম দুলছে না।
৭১।
তোর জন্য যখন আমি পাথর হয়ে যাই, তখন ঘাস গজানোর চিহ্নেও নিরাসক্ত হাসি পায়।
৭২।
কতদিন দেশলাই কাঠি জ্বালাই নি। তোকে দেখতে পেতাম।
৭৩।
খাদের কিনারায় দাঁড়ালে চরিত্র বোঝা যায়।
৭৪।
তুই না, অ্যান্টিম্যাটারের মুখোমুখি হলে বিলীন হবে অস্তিত্ব।
৭৫।
তোর সাথে গুণন।
৭৬।
বড় তৃষ্ণা পাচ্ছে। তোর জন্য। কবিতা।
৭৭।
তোর মধ্যে খুঁজছি। নিজেকে।
৭৮।
দিনের রোদ এতো খাঁটি ! আনন্দিত! তোর সাথে কথা বলার মতো।
৭৯।
গালিবের তাকিয়ায় যখনি বসেছি, তোকে বলা কথা কবিতা হয়েছে।
৮০।
আর কোনোদিন যদি তোর সাথে কথা না হয়, ভুলে যাবি? আমি একাএকা বাতাসকে বলব তোর কথা।
৮১।
অন্ধকার হাতড়ে মাটি ছুঁতে পেলেও তা অর্থহীন, যদি না খুঁজে পাই তোর কথা।
৮২।
প্রেম আর শরীর দুই কি আলাদা ? হে বাউল!
৮৩।
আমি মারা গেলে শব্দরা ঘিরে থাকবে তোর শরীর। হাত ধরাধরি।
৮৪।
তোর শরীর জুড়ে শরীরহীনতার স্বাদ। দুই হয়। কখনো দুই মিলে এক।
৮৫।
নীরবতা আর ভাঙাচাকা।
৮৬।
ভগীরথ নন, ইবন বতুতা গঙ্গার স্রোত খুঁজে দেন।
৮৭।
কড়ি খেলার মতো করে শব্দ ছুঁড়ি তোর দিকে। তুই কেন উল্টে দিস?
৮৮।
হে কামলি, আমার দাঁড় শক্ত করে ধর্।
৮৯।
পোশাকআশাক ছিঁড়ে ফেলে, কান পাত বুকে।
৯০।
আমি যাত্রী, তাই ঘুম নেই চোখে।
৯১।
জানালায় খোলস রেখে চলে যায় সাপ। বিষ থাকে সাথে।
৯২।
ঈশ্বর। আঁকড়ে ধরতে গিয়ে, কিছু বাতাস কেটে গেলো।
৯৩।
কবি। মারা গেলে কোয়াড্রেটিক ইকুয়েশান ছাড়া অন্যকিছু থাকে না পৃথিবীতে।
৯৪।
ধুলো। প্রত্যেকদিন আলাদা করতে করতে যা পড়ে থাকে তাও ধুলো।
৯৫।
ইতিহাসে বাঁচতে চাইনা । এরকমই রোদ চাই। আর তোকে।
৯৬।
ফুল না ফুটলেও বলতে না পারার বেদনা যেন না থাকে।
৯৭।
তোর জন্য চেতককে বললাম, আকাশে ওড়। এখন আমরা হলদি নদীর ওপর।
৯৮।
তোর চোখে চুমু খেলে নিজেকে রাজাধিরাজ মনে হয়।
৯৯।
পৃথিবীর ম্যাপ সামনে। তোর জন্য নিরিবিলি জায়গা খুজছি।
১০০।
তুই বললে চলে যাব। কোথায় জানিনা।
১০১।
পৃথিবীর নিয়ম আর আমার ডিএনএ। তোকে নিয়ে দড়ি টানাটানি।
১০২।
আমাকে আর ঘষিস না প্লিজ। আমি প্রদীপের জিন নই।
১০৩।
কাগজে তৈরি আমার হৃদয়। রক্ত দিয়ে লিখছি আর ছিঁড়ে পাঠিয়ে দিচ্ছি তোকে।
১০৪।
তাকিয়ে আছি তোর দিকে। এখন মাধ্যাকর্ষণ ছাড়া আর কোনও শক্তি নেই।
১০৫।
চোখ বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। আঙ্গুলের ডগা থেকে এলোমেলো শব্দগুলো উড়ে যাচ্ছে তোর দিকে। শুনতে পাচ্ছে তোর শরীর ?
১০৬।
কবি আর প্রেমিকার এতো শত মিথ, তোর জন্য মিথ্যে হয় সব।
১০৭।
... তুমি ...
১০৮।
: ( . ) :

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

Featured post

সোনালী মিত্র