অয়ন ঘোষ - মায়াজম

Breaking

২০ সেপ, ২০১৫

অয়ন ঘোষ

                                                   সাইলেন্ট চ্যাপ্টার










আমাদের পাঁচিলে ফাটল ধরেছে আজ বহুদিন হলো
তবু জোড়া-তাপ্পি দিয়ে যতদিন চলে
সাড়ে তিন বছরে আস্ত হদিশ ঠিক সেরকমভাবে পাইনি
তবু দাগের গভীরতা এখানে তীব্র হয়।
ঐতিহ্যের ব্যারিকেড টপকে আমরা কোনোদিনই নিয়ম ভাঙ্গিনি।
ফিসফাস,কলহ বাজারে তো ঝাঁঝালো ছিলোই
তবু সত্যি একটাই, আমরা কখনও এসপার-ওসপার করার দুঃসাহস প্রয়োগ করিনি।
আসলে এটা একটা সাইলেন্ট চ্যাপ্টার
এখানে শুধু তুমি আর আমি এবং আমি আর তুমি
মাঝখানে তিনভাগ জল, একভাগ স্থল।
জানি তারাখসা সকাল থেকে মধ্যবিত্ত এলোপাথাড়ি হাওয়া বেশি তেজী, বেশি জোড়ালো
তবু শখ হয়।
শখ হয় প্রতিদিন বেনোজলে বডি চুবিয়ে রাখি
অথবা উত্তর কলকাতায় হঠাৎ করে বেছে নেওয়া একটা সরুগলিতে হাঁটতে হাঁটতে
তোমার চুল খুলতেই আচমকাই এক হলুদ বিকেল নামবে।
সেসব কথার কথা
আসলে বিকেল মানেই ব্যস্ত ট্রাফিক
অনেকটা পথ হাতড়ে এসে বিকেল ব্যালায় ঝিলের ধারে জিরিয়ে নেওয়া।
ছটফটানি দমকা হাওয়া লাগলো এসে তোমার চোখে
তোমার নাকে
তোমার মুখে
তুমি চুল ক'খানা আসতে করে চোখের থেকে সরিয়ে নিতেই
আমি বিষম খেলাম
চাকদা থেকে টেকনোপলিস
রাস্তা থেকে যুদ্ধবিমান
শ্যামবাজারের খয়েরি স্ট্যাচু আমার সাথে বিষম খেলো।
তুমি ভিড় শহরে স্ট্রাগল করে মায়ের চোখে চোখ মেলালে
নালিশ দিলে পাড়ার ক'টা ছেলের নামে।
মা তোমার বড্ড ভালো
মনের কথা বুঝতে পেরে তোমার জন্য গরম গরম স্যুপ বানালো
তুমি দিব্যি খেলে।
ঠিক এমন সময় মাথার উপর তিনটি ডানার স্পিডের কোথাও কমতি ছিলো
তবু নিয়ম মাফিক চোখের উপর চুল গড়ালো
কায়দা করে চোখের থেকে চুল সরাবার ভঙ্গিমাতে তোমার নোটিশ হলো;
পথের বাঁকে নখের পালিশ খেয়ালস্রোতে হারিয়ে গ্যাছে
তাই দিনের শেষে নতুন করে মনের ভেতর কুতুবমিনার মেঘ জমালো
তুমি কষ্ট পেলে
তাই সন্ধ্যে হলো।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

Featured post

সোনালী মিত্র