২৪×৭। কবিরুম
রাতের পর রাত। এটা পড়তেই
পাঠক আঙুল ভাঙছে
তার মাঝে অন্তত সূর্যের লাল
যেকোন টেবিল থেকে নরম চরম দিনের ঘোষণা
সকালে পুকুরের জল ঘেঁটে যাচ্ছে
নকুলের মা যতক্ষণ বাসি ন্যাতা ধুচ্ছে
একটু পুকুর অনেক স্থানু হওয়ার সুযোগে
দেখা যাচ্ছে সূর্যের উবু উবু মুখ
সূর্য নিজেকে এখন নকল করছে
এইসব ন্যাতা। শংরী। নকল সূর্য। হাগু মুতু
পেরিয়ে পেরিয়ে আবার পাঠকের কবিতা পাচ্ছে
যেকোন সিন্ডিকেটহীন দাওয়াত ছাড়াই
পাঠক খালি গায়ে আবার পড়ছে। রাতের পর রাত
এখন পাঠক নেমে যাতে পারে ঐ দিকে
যেদিকে কবিলাইন। ট্রেনলাইন। চাঁদলাইন
যেকোন আদমশুমারী থেকে তারা একসঙ্গে
পৃথিবীর সুরভাৎ ঘোষণা করছে ...
ভাষা_বলতেই_অবেলা
তিনমোড়ে ভাঙছে রাস্তার লোকজন।
ভাগ হচ্ছে খদ্দের। দোকানী। কবির পায়চারী
কেউ ডানদিক ধরে ধনেপাতা তুলছে
কেউ বাম হয়ে ঝন্ডু বাম
কেউ মাঝখান দিয়ে ট্রেনলাইন পর্যন্ত
সবার ইনবক্সে সই। আর কালি সমেত শব্দহকার
এই মোড়ের আগে সবাই খদ্দের হয়ে আসছে
এই মোড়ে এসে সবাই দোকান হয়ে উঠছে
দোকানীরা খদ্দেরের রঙ দেখছে না
দোকানীরা রঙ রঙের খদ্দের দেখছে
দোকানের কাঁচে পাগলা আবছা মানুষ দেখছে
একটাই কুকুর তাদের অদ্ভুত fuck দেখছে
পড়তে থাকা কাগজের মুখ দেখা যাচ্ছে
সত্যিই খদ্দের আবার দোকান হতে আসছে
দোকানীরা ক্রেতা সুরক্ষায় রঙ্ দেখছে
চিত্রগুপ্তের খাতায় ধার লেখা হচ্ছে
এভাবেই আমি দোকান হতে আসছি। দোকান থেকে
এভাবেই আমি ভাষা পাচ্ছি হাঁটুর ভিতর থেকে
১৮ মার্চ, ২০১৬
এতে সদস্যতা:
মন্তব্যগুলি পোস্ট করুন (Atom)
দুটিই ভালো কবিতা। দ্বিতীয়টা বেশি ভালো।
উত্তরমুছুনভালবাসা দাদা
মুছুনহাঁ ভালো কবিতা পড়ে মজা পেলাম
উত্তরমুছুনহাঁ ভালো কবিতা পড়ে মজা পেলাম
উত্তরমুছুনভালবাসা দিদি
মুছুন