রুখসানা কাজল - মায়াজম

Breaking

২৯ জুল, ২০১৬

রুখসানা কাজল

কাঙাল মন






অংক স্যার মার্কার ছুঁড়ে মারেন, হারামজাদা শূয়োর দিনকে দিন নাস্তিক হয়ে উঠতেছিস। দাঁড়া তোর বাপকে আজকেই জানাতিছি.।”খুকখুক করে হাসে লেনিন। সাশার পিঠের আড়ালে মুখ নিয়ে হাসিটা ছুঁড়ে দেয় পেছন বেঞ্চে। মুরাদ,শুভ্র,রাজিবও ফু ফু হেসে উঠে। কেবল রিংকি, প্রীতি, টুম্পা তাকিয়ে থাকে লেনিনের দিকে । ওদের চোখে রাগ। কোচিং ক্লাশটা মাটি হল প্রায়!কি দরকার ছিল ব্লগার হত্যা্ নিয়ে ধর্মপ্রাণ অংক স্যারকে ক্ষেপিয়ে তোলার! পরীক্ষার মাত্র কয়েক মাস বাকি। স্যররা গলা শুকিয়ে ফেলছে। গোল্ডেন এ প্লাস পেতেই হবে। ওদের লক্ষ্য ডক্টর, ইঞ্জিনিয়ার হওয়া।
সাশা আস্তে করে বলে, কি করছিস কি! ক্লাশ ত করতে দে!” বড় বড় চোখে সাশাকে দেখে উঠে পড়ে লেনিন, দুশ্লা এই গরমে কে ক্লাশ করে। চললাম। বাসায় আইসেন স্যার ড্যাডাকে বলে রাখবানি। আস্লামু- স্যার আগেই বলে উঠেন, ওয়ালাইকুম আস্লা্ম বাবা! যাও রেস্ট কর। অনেক পড়িছ আজকে!” লেনিন চলে গেছে নিশ্চিত হয়ে দাঁড়ি পাটপাট করতে করতে স্যার বলেন, তোরা কি এমপির ছাওয়ালমাইয়ে যে ওর কথায় নাচিস? গরিবের ছাওয়ালপাওয়ালদের লক্ষ্য হবি খালি পড়াশুনা করি ভাল রেজাল্ট করা। বিসিএস দিয়ি ডাক্তার,এঞ্জিনিয়ার হয়ি বাবা মার সংসার দেখতি হবিনা তোগের? তোগো কি ওর মত টাকার পাহাড় জমা আছে? হারামজাদা বাপের হারামজাদা ছাওয়াল! ঢাকার কলেজ ছাড়ি এহেনে আইছে জ্বালাতে! প্রীতি অংকটা কি বুঝিছিস?” প্রীতি মাথা নাড়ে, স্যর শেষের দিকটা-- অংক স্যার জাহাংগীর আলম পাঠান খুশি হয়ে প্রথম থেকেই শুরু করেন আবার।
মরা নদীর পুবপারে নতুন পার্কের বেঞ্চ ছুঁয়ে ভিক্ষে করছে রহমত। গনগনে সাদা রোদ্দুর। বেঞ্চির ছোট্ট ছায়ায় গা ঘেঁসে গামছা মাথায় পুড়তে পুড়তে ঝাঁঝালো ভিক্ষাগীত গাইছে, আমার আল্লা নবীজির নাম, দিলে কর শান--- লেনিন ঘ্যাচ করে হোন্ডা থামিয়ে গালি দেয়, অই রহমত গুখোরের বাচ্চা, এখানি বসিছিস যে আবার?”
রহমত তড়িঘড়ি বস্তা তুলে ভিক্ষের বাটি নিয়ে দেবদারু গাছের নিচে গিয়ে বসে। পাশেই মহিলা কলেজ। তার গেটে আইস্ক্রিম,ফুচকা, লেবুজল, ঝালমুড়ি শসা আর ছোলাবুটের ভ্যান। মেয়েরা দেদার কিনছে। রহমতের ভিক্ষার সুর কিছুতেই উঁচুস্বরে উঠে না। যে জ্বালা মাখানো সুরে সে ভিক্ষে করত তা ঠিক আসছে না। নতুন জায়গার নতুন দৃশ্য। তাছাড়া শসা দেখে চোখ চকচক করছে। নুনঝাল বরফটুকরো ছড়িয়ে শসা বিক্রি করে আফতাব।খাবে কি করে!এক প্লেট দশ টাকা। তাও হাতের তালুর মত ছোট্ট প্লেট।সারাদিন ভিক্ষে করে পঞ্চাশ টাকা মতন পায়। একটাকা দুটাকা ভিক্ষে দেয়। অই টাকায় এক কেজি চাল হয় তো নুন হয় না। এখানে বসলে মহিলা কলেজের দারোয়ানকে আবার ঘুষ দিতে হয়। রাগে মনকলা করে খিস্তি করে রহমত, চোরের ছাওয়াল কি তা বোঝে? তার বাপের বানানি পার্কে বসি ভিক্ষে করলিই যত দোষ!”
আচমকা লাফিয়ে উঠে রহমত। ঠিক তার পেছনে হোন্ডা থামিয়ে নেমে আসছে এমপির ছেলে । বাঘের মত শব্দ এই হোন্ডার। এইরকম এক গাড়ির চাপায় তার ডান পাটা খোঁড়া হয়ে গেছে। মাথায় ছিল ধানের বস্তা। সবেমাত্র বড় রাস্তায় উঠেছে। আজরাইলের মত উড়ে এসে রহমতের ঠ্যাং ভেঙ্গে পালিয়ে যায় হোন্ডাওয়ালা। সেই থেকে সে ভিখেরি। খোঁড়া মানুষকে কে কাজ দেয়! এক কাঠার ভিটেবাড়িতে পুরানো টিনের উপর পলিথিন দেওয়া নড়বড়ে ঘর। ছেলে ইশকুলে পড়ে। বউ চাতালে কাজ করে পড়ার খরচ যোগায়। রহমত বউকে বলে দিয়েছে, এক কেজি চাল ছাড়া সে আর কিছু দিতি পারবে না। তাতে ছেলে শালা পড়বে না কাজ করবে তার সে কি জানে!
মহিলা কলেজের গেটে লেনিনের বন্ধুরা হইহই করে আইসক্রিম খাচ্ছে । আইস্ক্রিমওয়ালা মিন্টুর চোখ তেলতেলে। মনের ভেতরে যদিও ভয়, পয়সা দেবেনে তো এমপির ছাওয়াল! যদি না দেয়? ঢঙ দেখো মাইয়াগুলোর! একেকজন সত্তর টাকার বাদামঠাসা আইসক্রিম নিচ্ছে। অন্যসময় ললি নেয় আর অনুযোগ করে, মিন্টুভাই পনের টাকা ইজ টু মাচ! দশ টাকা দেব!” মিন্টু আঁতকে উঠে, আফা জানে মাইরেন না। এহন বাকি খান টাকা পরে দিয়েন।” কেউ অবশ্য বাকি খায় না তবে কেউ পনের টাকাও দেয় না। মিন্টু খুশি হয়ে নেয়। আহা কচি কচি মেয়েরা হোস্টেলে থাকে। এরাইতো তার লক্ষ্মী সরস্বতী!
মিন্টু আইসক্রিম দেয় আর হিসাব করে, তিন শ আশি, এইবার হল নয়শ সত্তর। আল্লারে লেনিনভাই যদি টাকা না দেয়? যদি বলে পরে নিস্‌- এ জম্মেও আর সে টাকা পাবে না । তবু হাসি ঝুলিয়ে দাঁড়িয়ে থাকে। মিন্টুকে চমকে দিয়ে হাজার টাকার নোট দেয় লেনিন। তিরিশ টাকা ফেরত নিতে গিয়ে দেখে অনেকখানি ছায়ায় বসে রহমত এদিকেই চেয়ে আছে। গামছা পাশে রাখা। যাক লোকটি এখন ছায়া পাচ্ছে। কি যে রোদ্দুরে বসে ভিক্ষে করত । খারাপ লাগত। লেনিনের ইশারা পেয়ে দৌড়ে টাকাটা দিয়ে ফিরে আসে মিন্টু। হাবুল মেম্বারের ছেলে ফাউ খেতে মহাওস্তাদ। কেউ না থাকলে টুক করে এটা সেটা তুলে নেয় । আঙ্গুলের বয়সি লেনিনের দিকে হাসি দিয়ে মন্টু হাঁপায়, ভাইজানের দিলে বড় শান। আপনি দেশের পোরধান মনতিরি হবেনই হবেন এই আমি কয়ি দিলাম।” হেসে উঠে সবাই। হোন্ডা স্টার্ট দিতে দিতে লেনিন বলে, সি ইউ ফ্রেন্ডস বাবাইইইই--
মহিলা কলেজের গেটের সামনে আসে লেনিন। ঘূর্ণি তুলে গজরাচ্ছে হোন্ডা, নুরুমিয়া রহমতরে আমি অইখানে বসায়ে গেলাম। দেখভাল তোমার। কোন নালিশ যেন না শুনি।” ভুস করে চুপসে যায় নুরুমিয়া। শালার ভিখেরির রাজকপাল। এতক্ষণ সে খুশিমনে হিসাব করছিল কুড়ি টাকা আদায়ের। ফসকে গেল!তবু গলে গলে বলে, ক্কি যে কন ভাইজান!” লেনিন কিছু শোনে না। শুনতে পায় না। সাদা রোদ্দুরে চিতার মত ছুটে চলে হোন্ডা।সাশার বাস এখনো উজানঘাট পেরুতে পারেনি।
শশ্মানবাড়ি ছাড়িয়ে স্পীড বাড়ায় লেনিন । ইংলিশ সিনেমার ফাস্ট শটের মত পেরিয়ে যাচ্ছে দৃশ্য। সবুজ গাছপালা, ঘরবাড়ি, দু একটা দোকানঘর, গরু ছাগলের ভয়ার্ত চোখ, ঝাঁ ঝাঁ রোদ্দুরে সড়কের নিচু জমিতে কিষান কিষাণীর উদলা ঘাম পিঠ। একঝাঁক শুয়োরের নাদুসনুদুস বাচ্চারা রাস্তা পার হচ্ছে। দাড়িওয়ালা ছাগলও আছে দু একটা। হোন্ডা থামিয়ে এক পায়ে হেলান দিয়ে দাঁড়িয়ে থাকে লেনিন। কি জ্বালা শুয়োরগুলো ঘিরে ধরেছে। গোল নাকের কালোকোলো বাচ্চারা মুখ উঁচু করে ঘোঁত ঘোঁত করছে। ভাল কাণ্ড হল! সাশাকে আজ আর ধরা যাবে না । লেনিন গলা তুলে হাঁক দেয়, আরে অই শুয়োরের রাখাল শুয়োরেরবাচ্চা! কই গেলি?” কঞ্চি হাতে দুটি মিশনারী ছাত্রী বেরিয়ে এসে হেট হেট করে বাচ্চাগুলোকে নামিয়ে দেয় রাস্তার পাশে। একটু লজ্জা পায় লেনিন। কিশোরীরা মুখ গম্ভীর করে আরো লজ্জা দিয়ে বলে, গুড মর্নিং স্যার।
মর্নিং ? তাই ত ঘড়িতে দশটা চল্লিশ। ক্লাশ ছিল ভোর সাতটায় । আধঘন্টা ক্লাশ করে বেরিয়ে কেশবের দোকানে পরোটা ডাল খেয়ে মরা নদীর পারে বসে সিগারেট টেনেছে। সাথে শুকনো গাঁজা। অনেক রাতে ড্যাডা ফোন করেছিল, কেমন আছিস চে? কি আনব তোর জন্যে? ড্যাডা এখন মালয়েশিয়া। সাথে অই ন্যাদা বান্ধবীটাও আছে । অংক করছিল তখন। অংক ওর ফেভারিট। স্যরের চাইতেও এগিয়ে রেখেছে। কিছুটা কেমেস্ট্রি পড়ে গাঁজা নিয়ে বসেছিল ছাদে । মোবাইল স্ক্রিনে তখন মিয়া খলিফার উদ্ধত বুক কচলে দিচ্ছে অদৃশ্য কোন পুরুষের হাত। লোমভর্তি বয়স্ক হাত। কেমন ঘিন ঘিন করে উঠে। চোখের সামনে ভেসে উঠে মায়ের নগ্ন পিঠ খামচে ধরে থাকা জামাল আংকেলের রোমশ হাতদুটো।
লেনিন পর্ণ দেখে ক্লাশ সেভেন থেকে। বাস্তবেও কম দেখেনি। অসাবধান ড্যাডা মা অথবা ড্যাডার অনুপস্থিতিতে জামান আংকেলের সাথে মা। লেনিনের এখন রাগ অভিমান ঘৃণা কিচ্ছু লাগে না। স্বাভাবিক বলেই মেনে নিয়েছে। মানুষের আদিম প্রবৃত্তি কি পোশাক আসাক আইন দিয়ে বদলানো সম্ভব ? ভোরে মার ফোনে মেজাজ বিগড়ে গেছে। একগাদা নালিশ গালাগাল। অথচ ড্যাডিকে ছেড়ে যবে না। লেনিন কত বার বলেছে, মাম ভাল্লাগে না এইসব, ইউ মে গো।”
কিন্তু মা যাবে না। জামানের টাকা আছে ক্ষমতা নেই। ড্যাডার টাকা যেমন ক্ষমতাও অফুরন্ত। এত ঝগড়া ভাংচুর হলে কি হবে ইলেকশনের সময় মাথায় ঘোমটা লক্ষ্মী বউয়ের মত ড্যাডার জন্যে খেটে কাজ করে।ভোট ভিক্ষা চায় ডোর টু ডোর । সবাই মুগ্ধ হয়। আর এর জন্যে কড়ায় গন্ডায় টাকা আদায় করে ।ড্যাডাও দিয়ে দেয়। এই জায়গায় দুজনের দারুণ মিল। দুজন লোভীর সন্তান সে। কিন্তু কেন তার মায়া লাগে মানুষের জন্যে? আচমকা হোন্ডা থামায় । এতক্ষণে সাশার বাস উজানঘাট ছেড়ে রূপাতলি পৌঁছে গেছে। মূহূর্তমাত্র! লেনিন অন্যপথে ছুট দেয়। আজ সে সাশার বাসায় যাবেই যাবে!
“তুই? সাশা অবাক। “অংকটা বুঝতি আসলাম দোস্ত!” “শয়তান!” লেনিন দাঁত কেলায় । টিনের গেট খুলে ডাকে সাশা, মা, মা ওমা!” লাল বারান্দার কাঠের চেয়ারে বসে পড়ে লেনিন। যেন ওর চেয়ার। যেন ও ডাকছে, মা, মা ওমা! লম্বা বারান্দার কোণের দিকে নির্নিমেষ তাকিয়ে ভাবে, আসুক সে ! শুধু একবার দেখবে তাকে। এতদিনে খুঁজে পেয়েছে তাকে। সাত বছর প্রেম করে ড্যাডা যাকে ঠকিয়ে উপরে ওঠার সিঁড়ি তার মাকে বিয়ে করেছিল। সেই মহিলাকে শুধু একবার দেখবে লেনিন! কেমন দেখতে সে ? সে কি ঝগড়া করে তার গরীব স্বামীর সাথে? ঝগড়ার সময় রাগে ছুঁড়ে ফেলে তার শিশুসন্তানকে? যখন তখন বেরিয়ে যায়! কুত্তার জাত সহজে মরে না বলে জ্বর তপ্ত ছেলেকে ওষুধ খাওয়ায় হিংস্র আদরে ?
লেবুজলের শরবত আর ছিটরুটির নাস্তা হাতে বেরিয়ে আসে সাশার মা। “ বেশ নাম ত তোমার। বসো। আমি এখুনি চলে আসব।” “ মা আজ কিন্তু চিকেন রোষ্ট খাবো - সাশা মহাখুশি। “তুমি কি খাবে লেনিন?” লেনিনের বলতে ইচ্ছা করে, আমি চে। আপনাদের চে। পোস্টার লিখতে লিখতে সেই যে আপনারা ঠিক করেছিলেন ছেলে হলে নাম রাখবেন চে । আমি সেই চে! শুধু গর্ভ আলাদা। সাশার মত আমিও চাই--
শার্টের নীচে লুকানো কনুইয়ে ব্যাথাটা টনটন করে উঠে। তিন বছরের লেনিনকে ছুঁড়ে ফেলে মা চলে গেছিল লাক্সারী ট্রিপে। হাতটি ভেঙ্গে কিছুটা বাঁকা হয়ে গেছে। ঢাকার বন্ধুরা বলে লেংড়াহাতু লেনিন। ভয়াবহ কুৎসিত হিংস্র হলুদ চোখে মা এখনো আঙ্গুল তুলে শাসায়, তোর জন্যে শুধু তোর জন্যে এই লম্পটের সংসার করি আমি! তুই মরিস না কেন শয়তান?” লেনিনও ক্ষ্যাপাটে গলায় আজকাল বলে উঠে, আর তুমি ? সাত ধোয়া তেঁতুলের আঁটি তাই না? যাও যাও আমার রুম থেকে বেরোও তুমি।” অজস্র কান্নায় ডুবে আত্মসমালোচনা করেছিল লেনিন। সেও কি নীচে নামছে? বেরিয়ে এসেছিল ঢাকা ছেড়ে। এখানে এসেই সে শুনতে পায় এই নারীর কথা।
ডিম্পল ফেলে হাসে সাজিয়া, স্থানীয় ইশকুলের হেডমিস্ট্রেস।সাশার অনন্ত মা। কেমন খাচ্ছে ছেলেটা! মুরগীর ঝাল খেয়ে শিশুর মত ঠোঁট শুষছে! আরো কিছু রুটি থাকলে দেওয়া যেত! ঝাপটে স্নেহ আসে। ঝাল তাড়াতে সাশাও এমন ঢকঢক করে জল খায়! আজ একটু ভাল রান্না করবে। ব্যস্ততায় হয়না। সাশাও খেতে খুব ভালবাসে।
চে হয়ে অপেক্ষা করে লেনিন। ভাল লাগছে ওর। অদ্ভুত শান্তি লাগছে মনে। অস্থিরতার জাল কেটে মাথাটা আয়না হয়ে যাচ্ছে। ও জানে এই মা ফিরে আসবে। সাশার আগে ছুটে সে গেট খুলে দেবে! সাশার লেগপুলিং, লেনিনের দামী হোন্ডা, মরিচজবা ফুল, ঝাপালো আমগাছ, আকাশছোঁয়া মেহগনির গাঢ় সবুজপাতা, টালির রান্নাঘর কাছে দূরের সবকিছু কেমন সহজ সুরে ডেকে উঠছে, চে আমাদের চে এসেছে গো!
সাশাকে চমকে দিয়ে গেট খোলে লেনিন। বাজারের ব্যাগ কেড়ে নিয়ে মনে মনে বলে মা, ওমা জানো আমারও চিকেন রোষ্ট খুব প্রিয়!
--------------------

1 টি মন্তব্য:

Featured post

সোনালী মিত্র