চিয়ার্স গুরুদেব
কবির মাথায় বহুকালের ছিট ৷ একরোখা , শিরদাঁড়া ঋজুও বটে তাঁর ৷ একদা , শরৎ অার সুনীলের সাথে চানাচুর অার পেঁয়াজী বড়ার চাট দিয়ে মাল খেতেন , অার উৎপল চাঁদের অালোয় মেপে পেগ পাইল করতেন ৷ শক্তির সাথে কতবার হাতাহাতি করেছেন খালাসীটোলায় ! কমলকুমার মজা নিতেন দাঁড়িয়ে খালি ৷ মলয়কে তিনি মার্লো বলে ডাকতেন ৷ বিহারে থাকাকালীন মলয়ের বাড়িতে গিন্সবার্গের সঙ্গে কম তর্ক লাগেনি তাঁর ! পুরুষ বীর্য অার নারীর যোনি প্রপাত নিয়ে পোষ্ট মর্ডাণ ক্ষুধার্ত রাসায়নিক চিন্তাধারা তিনিই প্রথম সুবিমল অার দেবীকে খিদিরপুরের একটা খাটা পায়খানার গা লাগোয়া চা'য়ের দোকানে,ডিম টোস্ট খেতে খেতে বুঝিয়েছিলেন ৷ শঙ্খর সাথে টানা চার বছর কথা বলেন নি ৷ মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের যে গল্পটা কবি নিজের পত্রিকার জন্য নেবেন বলে ঠিক করেন , সেটা শঙ্খ , ছলে-বলে নিজের সম্পাদিত পত্রিকার জন্য গাপিয়ে নেন , লেখাটাও হয়েছিল সুপারহিট ৷ শঙ্খ এখন জ্ঞানপীঠ !
কবি , তাঁর তরুণ কালে বুদ্ধ দা'র হাতের চড় এখনো ভোলেন নি ৷ কল্লোলের একটা মিটিং কে কেন্দ্র করে ৷ প্রেমেন মিত্তির এসে না থামালে ,বুদ্ধদেব বসুর সাঁড়াশি মার্কা অাঙুল তাঁর গালের ভূগোল পাল্টে দিত ! কি ক্যাচাল , পরে অচ্যিন্ত সেনগুপ্তর টাকায় সোডা অার হুইস্কির চুমুক তুফানে , মান অভিমান ধুয়ে মুছে - বুকে অাসো ভাই ৷
সমরেশ বসুর সাথে তো নৈহাটি গঙ্গার ঘাটে দুপুরের খাওয়া শেষে অাড্ডায় বসতেন , চলতো সিগারেটের পর সিগারেট , সন্ধ্যায় যথাবিধি সুরাপান ৷
এহেন কবি , অারো যারা , থ্রিস্টার , ফাইভস্টার ,সেভেনস্টার ; মায় হালফিলের অাপার , লোয়ার , ব্লগার থেকে তেল চুকচুকে টাকু , উকুন দাড়ি নেকু - যত কবি সাহিত্যিক যারা জাত হাভাতে মালখোর অথবা থ্রো লাইনের তেলানি চরণ সেকু , সবার সাথেই কাঁধে কাঁধ ( নিজে জগন্নাথ ) রেখে , চপ - ঢপ - মুড়ি - মুরগী কারি , নিদেনপক্ষে কিছু জোটাতে না পারলে গেঁড়ি গুগলির ঝাল চাট দিয়ে বাংলা , টাকিলা , জিন , স্কচ , রাম , ভদকা , হুইস্কির শ্রাদ্ধ করে ট্রটস্কি টু দয়স্তোভেস্কি মারিয়ে চলেন৷
কবির সতীর্থরা অধিকাংশই সম্মানিত ও পুরস্কৃত ৷ অনেকে অাবার তাঁর কাছে , কবিতার অাঙ্গিক,দর্শন , অর্ন্তমুখীন ভাষ্য , ব্যপ্তি ইত্যাদির বিস্তৃত পাঠ নিতে এসে , অপরিমনস্কতা প্রদর্শনের জন্য ক্যালান খেয়ে ইন্টারন্যাশনাল হয়ে গ্যাছেন ! মানে বিদেশের মাঠেও তাঁদের কবিতা পাঠের ডাক অাসে; অার কি ৷ অার , কবিদের এই ব্রহ্মা সম পিতা হুতাশন ঝাঁঝ মার্কা বিতিকিচ্ছিরি বেলঘরিয়া রেললাইন পট্টির ধেনো , চোলাই ( যখন যেটা পান , পকেট অনুযায়ী ) খেয়ে , গীতা বুকে চিতায় ওঠার টাইম গুনছেন ৷
—"সব শ্লা বাবাচোদা , সওওব" ৷কবির একপাটি চটি খোওয়া গ্যাছে , সাট্টার ঠেকে গিয়ে ৷ কোনো ম্যাডি-মোদো , নিজের 'পা' টি ছেড়ে , তাঁর চৈত্র সেলের একদর - একদাম নিয়ে কয়েক কদম অলরেডি হেঁটে নিয়েছে ৷
সেই চল্লিশ টাকার কথা মনে পরে তাঁর ৷ সন্দীপনের ওপর যত রাগ গিয়ে পরে , শালা অার শোধ করেনি ...ওই কটা টাকায় অারেক জোড়া জুটে যেত...
—" সন্দীপন , জাদু অামার , টাকাটা বলেছিলি , দু'মাসের মধ্যে শোধ করবি, সাথে চা , ওমলেটের বিল ৷ কেটে পড়ল ব্যাটা , অাস্তানা গুটিয়ে ৷ শৈলেশ্বরদের সাথে তোর কফিহাউসে পরিচয় কে করালো ? অ্যান্টি-এস্টাব্লিশমেন্ট মারানো ! সি.পি.এম ছিপির সিপ্ খেতে তো নোলা পুরো ঢোলা হয়ে গ্যাছিল ৷
বৈশাখ মাসের পঁচিশ তারিখ ৷ চারদিকে , টেস্টিং
ওয়ান টু থ্রি ফোর ——অাতা গাছে তোতা পাখি——এই মণিহার—— দই চাই দই —— মাগো অামায় ——ছোঁয়াও প্রাণে —— শান্তিনিকেতনে শান্তি নেই কারণ ——কেষ্টা ব্যাটাই চোর ——মৃণালিনী দেবীর নয়নে শয়ন করিয়াছিলেন যুবক রবীন্দ্রনাথ.........৷ চারদিকে ফুল খচড়ামো গোয়িং অন ৷
কবির শুকনো মুখে ঘাম ৷ ডান বগলে গোটা , বাঁ বগলে বাংলার পাঁইট ৷
—" ওয় শ্লা , সরে দাঁড়া "৷
অাসন্ন কাল বৈশাখী ঝড় উপলক্ষে এক ভ্যান চালক ছোকরা , কল্কে টেনে , নাগিন ডান্স করছে রাস্তা জুড়ে শুয়ে , অারেক লাল চোখা পাতা খোর খিঁচ খেয়ে কি করবে বুঝে না পেয়ে কুঁচকি চুলকে একসা করছে , মধ্যে মধ্যে —"সুন্দরী , তোকে কোথায় দিই' " ,বলে জোড়াতালি দিচ্ছে ৷
—" এই হতভাগা , অ্যাকাডেমীর ১০৮ করে দেওয়া কবিকে পথ ছাড় ওয়ারা "৷ হুঁশিয়ারি দেন কবি ৷
—" কে বে তুই খোকা দাদু "৷ নাচ থামিয়ে ছোকরা বলে ৷
—" অামি .... অামি কে , সেটা তোকে বলবো শালা ছোটোলোক ?"
—"ভাগ , বোক্কা.. , কদমার অাবার থুতুনিতে চুল ,বিউতিফুল ৷ এ শান্তিগোপাল , নিশ্চই মালখোর রবীন্দনাত সেজেচে " ৷ কুঁচকি দ্বিগুণ ভাবে চুলকে নিয়ে পাতাখোর বলে বসে ৷
—" মাঅাঅারবো এমন না খানক্ষি ..." কবি থেমে যান , মাথায় তরঙ্গ উঠতে থাকে , চৌম্বকীয় ৷ নেশা ঘোর নিয়েই বাড়ির দিকে হাঁটার লয় বাড়ান ৷ একজনের সাথে বোতল শেয়ার করতে হবে অাজ ৷ কেন যে এতদিন নমস্য মানুষটার কথা মাথায় অাসেনি ! গুরুদেব লোক বটে উনি ৷
ভানুসিংহর একটা কাচফাটা ছবি তোরঙ্গ থেকে টেনে বার করে দেওয়ালে ঠেস দিয়ে দাঁড় করালেন ৷ এর অাগে বাড়ি ঢোকার সময় মোড়ের মাথার বারের মন্দিরের গ্রীলে হাত গলিয়ে দুটো ধূপকাঠি ঝেপেছেন কবি ৷ ধূপ ধরিয়ে , জানলার খাঁজে গুঁজে দেন কবি ভক্তিভরে ৷
—" হে গুরুদেব , ঠাকুর সাব , বংশের জ্বলন্ত গৌরব , নিন , সোম স্নিগ্ধ হন ৷ অামি বাতি নিভালাম ৷" কবিগুরুর ফটোর সামনে গ্লাস এগিয়ে দেন কবি ৷ নেশার ডিগ্রী চরমে কবির , কি করছেন বা কি বলতে চলেছেন - তার কোনো ঠিক ঠিকানা নেই ৷ কালশিটে খাওয়া বাল্ব নিভিয়ে দেন কবি ৷ স্ট্রিট লাইট ঘরে ঢুকছে , রবির ছবিতে তেরছা মেরে পড়েছে মিউনিসিপ্যালিটির দান খয়রাতি টিউবের প্রতিবিম্ব ৷
— "নিন , মাল খান " ৷
কবি নিজের ভাগেরটা চকাস করে মেরে , খামচা করে চানাচুর মুখে পোরেন ৷ অপলক ভাবে ভানুসিংহ কবির দিকে চেয়ে রন ৷কিন্তু ফটো ফুঁড়ে কোনো হাত পেগ নিচ্ছে না দেখে , কবির বিরক্তি লাগে ৷ বেশ একটা থ্রিল অনুভূতি , বঙ্গর চাট বিঙ্গো উইদ ভানুসিংহ , খোয়ারিটা জমে যেত ৷সুনীলটা বেঁচে থাকলে অাজ শালা , হিংসায় ডুবতো কবির পার্টনারকে দেখে ৷
—" বিস্ময় কবিশ্রেষ্ঠ বিস্ময় ! অাপনার কি দিশি তে রুচি নেই ৷ না নেশা ভাং করেননি কখনো ! "
উত্তর মিললো না, কবি হতাশ হয়ে অারো এক গ্লাস খেলেন , তারপর ভাবার চেষ্টা করতে থাকলেন , অার বাংলার ফাইল ঘরে রাখা অাছে কিনা ৷ বাইরে জোর হাওয়া বইছে ৷সোঁ ও ও ও ও স্যাঁ অা অাও ৷ ঝড় উঠছে বেশ বড় সড় ৷ কবি ভারী হয়ে ওঠা চোয়াল নিয়ে চানাচুর পিষতে থাকেন ৷ ভাস্করটাই সেরা ছিল , কথার কি ওজন ! সাদা পাতা নষ্ট করার জন্য কবিতা লিখি - বলার যার ক্ষমতা অাছে , সেই অাসল সিকন্দর ! ওর কবিতার চলন গুলোই কাঁটা লাগায় , কফির ধোঁয়ার মতন গাঢ় ডিপ্রেশন ৷ মেঘ গর্জে ওঠে ৷
বৃষ্টিও জারি হয়ে গ্যাছে ৷ জলের ছাঁট জানলা দিয়ে ঢুকে রবি ও কবি যুগপৎকে ভেজাতে থাকে ৷ বিড়িতে দমের টান দিয়ে বৃদ্ধাঙ্গুষ্ঠ অার তর্জনীর কৌশলে তাচ্ছিল্য ভরে উড়িয়ে দেন কবি ৷ অাধখাওয়া বিড়ি বুলেটের মতন ছুটে ছবিতে ঠোক্কর খেয়ে গ্লাসের গা' ঘেষে মাটিতে পড়ে জ্বলতে থাকে ৷
শেষ পেগটা মুখে তুলতে গিয়ে কবি বলেন
— " অার কেন ! একটাই তো চুমুক , সুড়ুৎ করে টেনে নিন , হে ভাবুক ! খিক্ ! বিড়ির কাউন্টারও জুটে গেল শেষ বেলায় ৷ "
কড়্কড়ারকড়াৎ !!!! কান মাথা চুল হেঁকে দিয়ে বাজ পড়লো কোথাও ! বোতলের তলানীটুকু অমৃতসম , খেতে চলেছিলেন কবি , হাত কেঁপে গ্লাসের মদ চলকে পড়ল ৷ পেটে চাপ অনেকক্ষণ টের পাচ্ছিলেন , জানলা দিয়ে জল ছেড়ে হালকা হবেন ভেবেছিলেন — না উঠেই, অন দ্য স্পট স্বস্তি অনুভব করলেন ৷ ঘরে ছাট অাসা জলে , জামা গেঞ্জি সপসপে হয়ে গ্যাছে ৷ রাত এখন অনেক ৷ বজ্র নাদে নেশাও পাততাড়ি গুটিয়েছে ৷ উঠে দাঁড়ালেন কবি ৷ ভারসাম্যে স্বাভাবিকত্ব ৷ মাথাও পরিষ্কার , ঠান্ডা ৷
ঘরের মেঝে বাইরের অনাহূত বৃষ্টির জলে ভেসে যাচ্ছে ৷ মাসল্ ফুলিয়ে হাওয়ার বিরুদ্ধে জানলা অাটকান কবি ৷ ঘরের অালো জ্বালিয়ে দেন ৷ খিদে নেই অাজ ৷ মুড়ি খেয়ে দুটো , শুয়ে পড়বেন ৷ নিজের ওপর রাগ হতে থাকে ৷ সেই সব লেখক যাঁদের তিনি সান্নিধ্য পেয়েছেন , তাঁদের সাথে ড্রিঙ্ক করেছেন বলে , রবি ঠাকুরের সাথেও তাঁকে সুরা পানে বসতে হল ! তাও কিনা , মৃত্যুর এতগুলো বছর কেটে যাওয়ার পর , তাঁর প্রতিকৃতিকে জোরজবরদস্তি জ্যান্ত ভেবে নিয়ে ৷ ইল্লি নাকি ! নেশার ঘোর কাটলে এমনই লজ্জায় পরেন কবি , নিজের হঠকারিতায় ! নেশায় টং-এ চেপে ভানুকে মদ অফার করতে গেলেন ৷ কাঁদবেন না হাসবেন ঠিক করতে না পেরে , ছবির সামনে রাখা মদের গ্লাসটা তুলতে যান কবি ৷ ........ একটা শিহরণ !
ট্রান্সফর্মারের থেকে বেশী ভোল্টেজের ঝটকানি খেতে শুরু করেন কবি ৷ সামনের বাংলা মালের টইটুম্বুর গ্লাসটা ফাঁকা ! হেঁচকি ওঠে 'হিক্' ৷
চোখ ডলে অাবার চান , মরুভূমির শূন্যতা কবি দেখেননি ৷ এই প্রথম , গ্লাসের মধ্যে তা চাক্ষুষ হল ৷ রবি বাবু সুরাপায়ী ছিলেন কি না , বা এই নিয়ে রবীন্দ্র তাত্ত্বিকদের গবেষণা — কোনো মাথা ব্যথা নেই কবির ৷ ফটোর রবীন্দ্রনাথ , মর্ত্য দর্শনে এলেন কোন যুক্তিতে , সেটারই চিন্তার রিপারকেশনে কবির দাঁতে দাঁতে ঠোকাঠুকি !
পায়ের ধাক্কা লেগে ওল্টায়নি গ্লাস, তা তিনি একশো ভাগ নিশ্চিত ৷ অার হবেন না কেন , যদিও বা গ্লাস ওল্টায় , তবে ব্যাটা অাবার খাড়া হয়ে দাঁড়ালো ক্যামন করে !!!
ডাইভ মেরে কবি চৌকির নীচে সেঁধোন ৷ হাতড়ে টের পান একটা অাস্ত ভর্তি বোতল ৷ছিপি খুলে ঢকঢকিয়ে গলায় ঢালতে লাগেন ৷
তীব্র হাওয়ার ক্রোধ , অাদ্যিকালের জানলার পাল্লা দুরমুশ করে চলেছে ৷ লটরপটর ঘুণে খাওয়া কাষ্ঠহাসি............. কবি দু' ফাইল নেটিভ টেনে খাটের তলায় টানটান ৷ কবিগুরু রবি ঠাকুরের ভাগের প্লাস্টিকের গ্লাস , মাটিতে গড়াগড়ি খাচ্ছে ৷ সারা ঘর জলময় — থইথই ৷ গুরুদেবকে দেওয়া বিড়ির কাউন্টার পার্ট , ভিজে ফুলে পড়ে অাছে ৷ নিরীহ , অাধফোঁকা বিড়িটা অন্য রং নিয়েছে ৷ বুনো , কালচে খয়েরী রং ৷ মশকরা করে ছুঁড়ে মারা গেঁয়ো বিড়ির কি ক্ষমতা ! ফটোতে গোত্তা মেরে মদ ভরা প্লাস্টিক গেলাসের গায়ে হামলে এমন ভাবে ছ্যাঁদা করবে , তা কি কস্মিনকালে কেউ চিন্তায় অানতে পারে ! ভড়কানোর একশো পারসেন্ট রাইট অাছে ৷ অার কবি ... ! ওঁর কথা না হয় বাদই থাক ৷ সাধে কি অার , উনি কবি হয়েই রইলেন, বুদ্ধিজীবির তকমা জুটলো না !!
বিদ্যুতের ইন্দ্রজালে ক্ষণিকের অতিথি ভানুসিংহ ঝলসানো মুচকি হেসে দেখে নেন , ফ্রেমের ওপারের ঝোড়ো বৈশাখ ৷৷
................................
কৌস্তভ গাঙ্গুলী
( গল্পে বর্ণিত চরিত্র গুলি বাস্তবে বিদ্যমান হলেও , ঘটনাস্থল ,চরিত্রচিত্রণ এবং কার্য বিবরণী , সব কল্পনাপ্রসূত ৷ বাস্তবের সঙ্গে এর কোনো যোগসূত্র নেই ৷ এই লেখার মধ্যে দিয়ে আমি বাংলা সাহিত্যের ঈশ্বরদের কোনোরূপ অবমাননা করতে চাই নি , বরং বলা চলে তাঁদের পদপ্রান্তে আমি অবনত হয়ে শ্রদ্ধা জ্ঞাপণ করেছি ৷৷)
লেখক পরিচিতি-কৌস্তভ গাঙ্গুলী
দারুণ । পোস্টমডার্ন আলালের ঘরের ।
উত্তরমুছুন